ঢাকা ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভ্যানচালক বাবা তার ছেলেকে বাঁচাতে আকুতি জানালেন

বাগেরহাট  প্রতিনিধি :হৃদয়বান ব্যক্তির মাত্র লাখ টাকা সহায়তা পেলে বেঁচে যেতে পারে বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার এক ভ্যানচালকের ছেলের জীবন। অসুস্থ আবু-বক্কর নাভি ছিদ্র অবস্থায় ৩ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেন।

উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ আমড়া গাছিয়া এলাকার বাসিন্দা অসহায় ভ্যানচালক মো. বাহাদুর গাজী জানান, আমার ছেলে মো. আবু-বক্কর নাভি ছিদ্র অবস্থায় গত ৩ বছর আগে জন্ম নেয়। কিছুদিন পর তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওই সময়ে শিশু হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক কিছু ওষুধ দেন এবং পরবর্তী ৩ মাস পরে দেখা করতে বলেন।

তিনি বলেন, টাকা-পয়সা জোগাড় করতে না পারায় চিকিৎসা বন্ধ থাকে শিশু আবু-বক্করের। হঠাৎ চলতি মাসের প্রথম দিকে আবু-বক্করের জ্বর আসে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়।

পাশাপাশি তার পেট ফুলে ওঠে। প্রথমে তাকে শরনখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে খুমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সম্প্রতি তাকে খুমেকে ভর্তি করি এবং ডা. সহদেব কুমার দাসের তত্ত্বাবধায়নে বর্তমানে চিকিৎসা চলছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আবু-বক্করকে সুস্থ করতে হলে দ্রুত অপারেশন করা প্রয়োজন। আর এজন্য প্রায় নগদ ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা দরকার। ইতোমধ্যে ছেলের চিকিৎসার জন্য ভ্যানচালক বাহাদুর গাজীর ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। অপারেশন খরচসহ প্রায় লাখ টাকা না হলে তার ছেলেকে বাঁচানো যাবে না।

তবে, তার মতো একজন অসহায় ভ্যানচালকের পক্ষে এত টাকা যোগাড় করা সম্ভব নয়। এজন্য তাই তিনি আবু-বক্করকে বাঁচাতে সরকারি-বেসরকারি বা দেশের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন। সহায়তা দিতে পারেন বিকাশ পার্সোনাল নম্বরে। ০১৯৮০০৭০১৫৩

ট্যাগস

ভ্যানচালক বাবা তার ছেলেকে বাঁচাতে আকুতি জানালেন

আপডেট সময় ১০:৫৪:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১

বাগেরহাট  প্রতিনিধি :হৃদয়বান ব্যক্তির মাত্র লাখ টাকা সহায়তা পেলে বেঁচে যেতে পারে বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার এক ভ্যানচালকের ছেলের জীবন। অসুস্থ আবু-বক্কর নাভি ছিদ্র অবস্থায় ৩ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেন।

উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ আমড়া গাছিয়া এলাকার বাসিন্দা অসহায় ভ্যানচালক মো. বাহাদুর গাজী জানান, আমার ছেলে মো. আবু-বক্কর নাভি ছিদ্র অবস্থায় গত ৩ বছর আগে জন্ম নেয়। কিছুদিন পর তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওই সময়ে শিশু হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক কিছু ওষুধ দেন এবং পরবর্তী ৩ মাস পরে দেখা করতে বলেন।

তিনি বলেন, টাকা-পয়সা জোগাড় করতে না পারায় চিকিৎসা বন্ধ থাকে শিশু আবু-বক্করের। হঠাৎ চলতি মাসের প্রথম দিকে আবু-বক্করের জ্বর আসে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়।

পাশাপাশি তার পেট ফুলে ওঠে। প্রথমে তাকে শরনখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে খুমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সম্প্রতি তাকে খুমেকে ভর্তি করি এবং ডা. সহদেব কুমার দাসের তত্ত্বাবধায়নে বর্তমানে চিকিৎসা চলছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আবু-বক্করকে সুস্থ করতে হলে দ্রুত অপারেশন করা প্রয়োজন। আর এজন্য প্রায় নগদ ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা দরকার। ইতোমধ্যে ছেলের চিকিৎসার জন্য ভ্যানচালক বাহাদুর গাজীর ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। অপারেশন খরচসহ প্রায় লাখ টাকা না হলে তার ছেলেকে বাঁচানো যাবে না।

তবে, তার মতো একজন অসহায় ভ্যানচালকের পক্ষে এত টাকা যোগাড় করা সম্ভব নয়। এজন্য তাই তিনি আবু-বক্করকে বাঁচাতে সরকারি-বেসরকারি বা দেশের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন। সহায়তা দিতে পারেন বিকাশ পার্সোনাল নম্বরে। ০১৯৮০০৭০১৫৩