স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ: জোর পুর্বক ধর্ষন চেষ্টায় ৪ মাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে । শুধু গর্ভের সন্তান নষ্ট করেই ক্ষান্ত থাকেনি দুস্কৃতি কারীরা এখন ঘটনার বিচার চাওয়ায় জীবিকার মাধ্যম দোকান টিও আর খুলতে দিচ্ছে না প্রভাবশালীরা । থানা পুলিশে জানানোর কারণে আসামী পক্ষের অব্যহত হুমকিতে নির্যাতিতা পরিবার টি আতংকে পার করছে দিন ।
পাশবিক নির্যাতনের ভুক্ত ভুগী পরিবার টি নওগাঁর পত্নীতলা থানার নজিপুর পলি পাড়া মহল্লার । ঘটনার বর্ননায় জানা যায় নির্যাতিতা একজন নারী উদ্যক্তা । রহিমা আক্তার নামে ওই উদ্যাক্তা স্থানীয় একটি মার্কেটে তিনি ও তার স্বামী যৌথভাবে সালমা ফ্যাসান নামে একটি দোকান পরিচালনা করে আসছিলেন ।
একই মার্কেটে তার দোকানের অদুরে গার্মেন্টস এর ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ধীর্ঘ দিন থেকেই রহিমার প্রতি অশোভন আচড়ন করে আসছিল । সব সময় কু প্রস্তাব দিয়ে উত্যাক্ত করে রবিউল ও তার সাথে থাকা আরো বেশ ক জন ।
অভিযোগে বলা হয় এর ধারাবাহিকতায় গত ৩ মার্চ অভিযুক্ত রবিউল সহ আরো ৪ জন মিলে দুপুর ২ টার দিকে রহিমার দোকানে যায় । তারা রহিমা কে একা পেয়ে দোকানের গেট নামিয়ে দেয় । এ সময় জোর পুর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায় রবিউল ও তার সহযোগিরা ।
ঘটনার সময় নারী উদ্যক্তার পেটে ৪ মাসের বাচ্চা ছিল । আসামীদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে জোর ধস্তাধস্তি হয় এতে গর্ভাবস্থায় থাকা বাচ্চার ভ্রন নষ্ট হয়ে যায় । পরে স্থানীয় হাসপাতালে পরিক্ষায় বাচ্চা নষ্ট হওয়া নিশ্চিত হন রহিমা দম্পতি ।
বিষয়টি নিয়ে আইন আদালত পর্যন্ত না গড়াতে সমঝোথার কথা বলে এগিয়ে আসে স্থানীয় ব্যবসায়ী বনিক নেতারা । তারা রহিমা দম্পতি কে উপযুক্ত বিচার করে দিবে বলে সময় ক্ষেপন করতে থাকে । আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় সমিতির নেতৃবৃন্ধরা নির্যাতিত পরিবার কে চাপ দেয় বিষয়টি নিরবে মেনে নেওয়ার ।
ভুক্তভুগীর স্বামী আব্দুস সালাম জানান, বিষয়টি নিয়ে থানায় গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে উল্টো আমাদের সমঝোতার দিকে ঠেলে দেয় । এর পর থেকেই আসামীরা আরো বেপরোয়া হয়ে অব্যহত হুমকিতে রাখে আমাদের । থানা পুলিশ সাফ জানিয়ে দেয় থানায় মামলা নেওয়া যাবে না ।
এ অবস্থায় গত ১৯ মে ভুক্তভুগী নওগাঁ নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনাল আদালতে সু বিচার চেয়ে আবেদন করে । আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে পত্নীতলা থানা কে মামলা রজু করার নিদের্শ প্রদান করে ।
এ ব্যাপারে পত্নীতলা থানার ওসি তদন্ত হাবিবুর রহমানের সাথে কথা বলা হলে তিনি ভিশন নিউজ টুডেকে, জানান. আদালত থেকে বাদিনীর ঠিকানা ভুল থাকায় তা সংশোধন করে প্রেরণ করা হয়েছে । আদালতের কাগজ পাওয়া মাত্র মামলা গ্রহন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান ।