ঢাকা ১২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

নওগাঁয় নৈশ প্রহরীকে গলা কে‌টে হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো সিআইডি

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ :  নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে ইডেন অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টের ভেতর নৈশপ্রহরী আতাউর রহমানকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার মূলহোতাসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

হত্যার পরে পলাতক মো. বাদলকে (৩৫) ঢাকার সাভার উপজেলার আমিন বাজার ও আতিউর রহমান ওরফে শীতলকে (২৭) নওগাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির রংপুর ও খুলনা বিভাগের ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম।

তিনি বলেন, নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে ইডেন অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টের ভেতর নৈশপ্রহরী আতাউর রহমানকে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় ঘাতকরা। এই ঘটনায় ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি।

ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম বলেন, প্রতিদিন নৈশপ্রহরী আতাউর রহমান ও রেস্টুরেন্টের সহকারী বাবুর্চি মো. বাদল একসঙ্গে ঘুমাতেন। কিন্তু ঘটনার পরদিন ২৯ মে সকালে রেস্টুরেন্টের প্রধান বাবুর্চি সাইফুল ইসলাম রেস্টুরেন্টে এসে দেখেন সেখানে তালা ঝুলছে। অনেক ডাকাডাকি করার পরও রুমের দরজা না খোলার এক পর্যায়ে দরজার বাইরে চাবি পড়ে থাকতে দেখতে পান তিনি।

এরপর তিনি চাবি দিয়ে ঘর খুলে মেঝেতে নৈশপ্রহরী আতাউর রহমানের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। তিনি ঘটনাটি দ্রুত রেস্টুরেন্টের কর্তৃপক্ষকে জানান এবং থানায় খবর দেন।

ওই ঘটনার পর থেকে সহকারী বাবুর্চি বাদল আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর তাকে সাভার উপজেলার আমিন বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

সিআইডির হাতে গ্রেফতারের পর প্রথামিক জিজ্ঞাসাবাদে বাদল জানিয়েছে, ঘটনার দিন (২৮ মে) রাতে প্রধান আসামি শীতলের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় আতাউরের।

একপর্যায়ে শীতল ও তার সহযোগীরা চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে তাকে আহত করে। পরে আহত অবস্থায় বাদল ও শীতলসহ কয়েকজন মিলে রেস্টুরেন্টের তিন তলায় নিয়ে একটি কক্ষে তালা দিয়ে চলে যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার বাদল জানায়, এ ঘটনার সময় আরও ৪-৫ জন উপস্থিত ছিলো। তবে সে শীতল ছাড়া আর কারও নাম জানে না।

হত্যার পেছনের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, হত্যার পেছনে বিশেষ কোনো একটি মোটিভ রয়েছে কি-না সেটি আমরা তদন্ত করে জানাতে পারব। এছাড়া এই হত্যায় জড়িত বাকিদের নাম পেয়েছি। তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

গ্রেফতার আসামিদের নওগাঁ জেলার আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার পেছনের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।

গত ২৯ মে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে ইডেন থাই অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্ট থেকে নৈশপ্রহরী আতাউর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে সিআইডি।

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

নওগাঁয় নৈশ প্রহরীকে গলা কে‌টে হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো সিআইডি

আপডেট সময় ০৪:৩২:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ :  নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে ইডেন অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টের ভেতর নৈশপ্রহরী আতাউর রহমানকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার মূলহোতাসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

হত্যার পরে পলাতক মো. বাদলকে (৩৫) ঢাকার সাভার উপজেলার আমিন বাজার ও আতিউর রহমান ওরফে শীতলকে (২৭) নওগাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির রংপুর ও খুলনা বিভাগের ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম।

তিনি বলেন, নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে ইডেন অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টের ভেতর নৈশপ্রহরী আতাউর রহমানকে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় ঘাতকরা। এই ঘটনায় ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি।

ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম বলেন, প্রতিদিন নৈশপ্রহরী আতাউর রহমান ও রেস্টুরেন্টের সহকারী বাবুর্চি মো. বাদল একসঙ্গে ঘুমাতেন। কিন্তু ঘটনার পরদিন ২৯ মে সকালে রেস্টুরেন্টের প্রধান বাবুর্চি সাইফুল ইসলাম রেস্টুরেন্টে এসে দেখেন সেখানে তালা ঝুলছে। অনেক ডাকাডাকি করার পরও রুমের দরজা না খোলার এক পর্যায়ে দরজার বাইরে চাবি পড়ে থাকতে দেখতে পান তিনি।

এরপর তিনি চাবি দিয়ে ঘর খুলে মেঝেতে নৈশপ্রহরী আতাউর রহমানের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। তিনি ঘটনাটি দ্রুত রেস্টুরেন্টের কর্তৃপক্ষকে জানান এবং থানায় খবর দেন।

ওই ঘটনার পর থেকে সহকারী বাবুর্চি বাদল আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর তাকে সাভার উপজেলার আমিন বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

সিআইডির হাতে গ্রেফতারের পর প্রথামিক জিজ্ঞাসাবাদে বাদল জানিয়েছে, ঘটনার দিন (২৮ মে) রাতে প্রধান আসামি শীতলের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় আতাউরের।

একপর্যায়ে শীতল ও তার সহযোগীরা চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে তাকে আহত করে। পরে আহত অবস্থায় বাদল ও শীতলসহ কয়েকজন মিলে রেস্টুরেন্টের তিন তলায় নিয়ে একটি কক্ষে তালা দিয়ে চলে যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার বাদল জানায়, এ ঘটনার সময় আরও ৪-৫ জন উপস্থিত ছিলো। তবে সে শীতল ছাড়া আর কারও নাম জানে না।

হত্যার পেছনের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, হত্যার পেছনে বিশেষ কোনো একটি মোটিভ রয়েছে কি-না সেটি আমরা তদন্ত করে জানাতে পারব। এছাড়া এই হত্যায় জড়িত বাকিদের নাম পেয়েছি। তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

গ্রেফতার আসামিদের নওগাঁ জেলার আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার পেছনের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।

গত ২৯ মে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে ইডেন থাই অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্ট থেকে নৈশপ্রহরী আতাউর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে সিআইডি।