ঢাকা ০২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁর রাণীনগরে গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ : নওগাঁর রাণীনগরে জেসমিন আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় থানাপুলিশ শনিবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মিরাট চরকানাইগ্রামে। জেসমনি ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসী আবদুল বারিকের স্ত্রী এবং একই এলাকার মিরাট মোল্লা পাড়া গ্রামের বাদেশ আলীর মেয়ে।

গৃহবধু জেসমিন আক্তারের মামা আজাহর আলী বলেন,গত ১৫/১৬ বছর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে তার ভাগ্নি জেসমিনকে উপজেলার চরকানাই গ্রামে আবদুল বারিকের সাথে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর একপুত্র সন্তান জন্ম নেয়। এরইমধ্যে জামায় বারিক সৌদিতে চলে যায়।

এরপর থেকে জেসমিনের ভাসুর,শ্বশুড়-শ্বাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন নানা কারণে নির্যাতন করতো। গত প্রায় একমাস আগে জেসমিনকে ভাসুর জয়বুলসহ পরিবারের লোকজন মারপিট করলে জেসমিন নিজেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এরপর স্থানীয় মেম্বার ও গন্যমান্য লোকজন বসে সমাধান করে দেয়। আজাহার আরো বলেন, তার ভাগ্নি যে মারা গেছে এই খবর আমাদেরকে কেউ জানায়নি। আমরা লোকমারফত খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছি।

আমাদের সন্দেহ ভাগ্নি জেসমিনকে হয়তো হত্যা করা হয়েছে। তবে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে লাশের ময়না তদন্তের জন্য ইউডি মামলা করেছি।
জেসমিনের ভাসুর জয়বুলসহ স্থানীয়রা বলেন, শুক্রবার দুপুরে প্রতিবেশি একটি বিয়ে অনুষ্ঠানে বরযাত্রী হয়ে যায় জেসমিন ও তার ছেলে জিহাদ।

এরপর রাত অনুমান সাড়ে ৮টা নাগাদ ফিরে আসে জেসমিন। এ সময় ছেলে জিহাদ হোসেন বাড়ীতে ফিরে আসতে দেরি হওয়ায় জেসমনি তার ছেলে জিহাদকে মারপিট করে।

এমন সংবাদ জিহাদ তার বাবা আবদুল বারিককে সৌদি আরবে মোবাইল ফোনে জানালে  বারিক ফোনে তার স্ত্রী জেসমিনের সঙ্গে কথা বলেন। এর কিছু পরেই জেসমিন আক্তার  বাড়ীতে ঢুকে গ্যাসের ট্যাবলেট খায়।

এ সময় ছেলে জিহাদ প্রতিবেশি লোকজনদের ডাক দিলে সাথে সাথে তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে অবনতি হওয়ায় ওই রাতেই রাজশাহী স্থানান্তর করলে রাজশাহী নেয়ার পথে মারা যায়।

রাণীনগর থানার ওসি মো: শাহিন আকন্দ বলেন,লাশের ময়না তদন্ত করার জন্য জেসমিনের মা জানো বেওয়া ইউডি মামলা দায়ের করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানা।

ট্যাগস

নওগাঁর রাণীনগরে গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু

আপডেট সময় ০৮:৪৭:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ : নওগাঁর রাণীনগরে জেসমিন আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় থানাপুলিশ শনিবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মিরাট চরকানাইগ্রামে। জেসমনি ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসী আবদুল বারিকের স্ত্রী এবং একই এলাকার মিরাট মোল্লা পাড়া গ্রামের বাদেশ আলীর মেয়ে।

গৃহবধু জেসমিন আক্তারের মামা আজাহর আলী বলেন,গত ১৫/১৬ বছর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে তার ভাগ্নি জেসমিনকে উপজেলার চরকানাই গ্রামে আবদুল বারিকের সাথে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর একপুত্র সন্তান জন্ম নেয়। এরইমধ্যে জামায় বারিক সৌদিতে চলে যায়।

এরপর থেকে জেসমিনের ভাসুর,শ্বশুড়-শ্বাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন নানা কারণে নির্যাতন করতো। গত প্রায় একমাস আগে জেসমিনকে ভাসুর জয়বুলসহ পরিবারের লোকজন মারপিট করলে জেসমিন নিজেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এরপর স্থানীয় মেম্বার ও গন্যমান্য লোকজন বসে সমাধান করে দেয়। আজাহার আরো বলেন, তার ভাগ্নি যে মারা গেছে এই খবর আমাদেরকে কেউ জানায়নি। আমরা লোকমারফত খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছি।

আমাদের সন্দেহ ভাগ্নি জেসমিনকে হয়তো হত্যা করা হয়েছে। তবে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে লাশের ময়না তদন্তের জন্য ইউডি মামলা করেছি।
জেসমিনের ভাসুর জয়বুলসহ স্থানীয়রা বলেন, শুক্রবার দুপুরে প্রতিবেশি একটি বিয়ে অনুষ্ঠানে বরযাত্রী হয়ে যায় জেসমিন ও তার ছেলে জিহাদ।

এরপর রাত অনুমান সাড়ে ৮টা নাগাদ ফিরে আসে জেসমিন। এ সময় ছেলে জিহাদ হোসেন বাড়ীতে ফিরে আসতে দেরি হওয়ায় জেসমনি তার ছেলে জিহাদকে মারপিট করে।

এমন সংবাদ জিহাদ তার বাবা আবদুল বারিককে সৌদি আরবে মোবাইল ফোনে জানালে  বারিক ফোনে তার স্ত্রী জেসমিনের সঙ্গে কথা বলেন। এর কিছু পরেই জেসমিন আক্তার  বাড়ীতে ঢুকে গ্যাসের ট্যাবলেট খায়।

এ সময় ছেলে জিহাদ প্রতিবেশি লোকজনদের ডাক দিলে সাথে সাথে তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে অবনতি হওয়ায় ওই রাতেই রাজশাহী স্থানান্তর করলে রাজশাহী নেয়ার পথে মারা যায়।

রাণীনগর থানার ওসি মো: শাহিন আকন্দ বলেন,লাশের ময়না তদন্ত করার জন্য জেসমিনের মা জানো বেওয়া ইউডি মামলা দায়ের করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানা।