স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ: শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে নওগাঁর মহাদেবপুরে সন্ত্রাসীদের হামলায় ছানাউল হক (৪০) নামে একজন মারাত্মক আহত হয়েছেন। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে।
তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের রফিক উদ্দিনের ছেলে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছানাউল জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের মাদিশহর গ্রামে বসবাস করে আসছেন।
বিকেলে তিনি শশুরবাড়ি থেকে নিজের বাড়ি আসার সময় সুজাইল হাটে পৌঁছলে ওই এলাকার জিয়াউর রহমান ও মোস্তাফার ছেলেসহ কয়েকজন অতর্কিতে তার উপর হামলা চালায়। তার গলায় দড়ি পেঁচিয়ে টেনে নিয়ে যাবার চেষ্টা করলে তিনি মারাত্মক আহত হন।
স্থানীয়রা সন্ত্রাসীদের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। তিনি জানান, শুক্রবার ভোরে উপজেলা সদরের হাজী মোয়াজ্জেমের সুজাইল মৌজার সাত বিঘা জমির ধান প্রতিপক্ষরা ট্রাক্টর দিয়ে বিনষ্ট করে।
শনিবার সকালে প্রতিপক্ষরা ওই জমিতে ধান রোপনের সময় খবর পেয়ে মহাদেবপুর থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে প্রতিপক্ষরা সেখান থেকে পালিয়ে যায় এবং হাজী মোয়াজ্জেমের লোকজন সেখানে পুনরায় ধান রোপন করে।
এই ঘটনার পরপরই সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা মনে করেছিল তিনি হাজী মোয়াজ্জেমের হয়ে ধান রোপনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি সেখানে যাননি।
হাজী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, তিন বছর আগে তিনি ওই জমি কিনে সেখানে ৭০টি আমগাছ লাগান। সে জমি ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ নিয়ে প্রতিবছর ফসল উৎপাদন করে আসছেন।
সম্প্রতি স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী সে জমির ধান কেটে নিয়ে গেলে নওগাঁর মহাদেবপুর সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় বিজ্ঞ আদালত প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করেন।
তিনি এবার ওই জমিতে বোরো ধান রোপন করেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ হোসেন আলী খোকা, মান্নান, জিয়াউল, মনির প্রমুখ
আদালতের ওই আদেশ অমান্য করে ট্রাক্টর দিয়ে সে ধানগাছগুলো সম্পূর্ণ বিনষ্ট করে এবং গাছগুলো উপড়ে ফেলে।
এব্যাপারে মহাদেবপুর থানায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। প্রতিপক্ষদের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।