স্টাফ রিপোর্টারঃ শুক্রবার সকালে সাতটার দিকে নওগাঁয় পৌঁছেছে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকা বহনকারী একটি ফ্রিজার গাড়ি। যাতে করে আনা হয় করোনার ৮৪ হাজার ডোজ টিকা।
সকালে গাড়িটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌঁছালে সেখান থেকে ৩৫টি কার্টন নামানো হয়। এ সময় সেখানে নওগাঁর সিভিল সার্জন এ বি এম আবু হানিফ সেগুলো বুঝে নেন। পরে সেগুলো সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ভ্যাকসিন সংরক্ষণাগারের ফ্রিজে রাখা হয়। সেখানে আগে থেকেই টিকা সংরক্ষণের জন্য প্রস্তুত রাখা ছিল ছয়টি ফ্রিজ।
নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন মুনজের-ই মোর্শেদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম চালানে ৩৫টি কার্টনে ৮ হাজার ৪০০ ভায়েল (শিশি) টিকা এসেছে। প্রতি ভায়েলে রয়েছে ১০টি ডোজ। এই হিসাবে মোট ৮৪ হাজার ডোজ টিকা এসেছে। এই টিকা ৪২ হাজার মানুষকে দেওয়া যাবে। এক সপ্তাহের মধ্যে নওগাঁয় টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হতে পারে। তিনি আরও বলেন, টিকা সংরক্ষণের জন্য আগে থেকেই সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ভ্যাকসিন সংরক্ষণাগার প্রস্তুত রাখা ছিল।
আজ সকালে ঢাকা থেকে ফ্রিজার গাড়িতে করে টিকা এলে সেগুলো দ্রুত টিকা সংরক্ষণাগার কক্ষের ফ্রিজে স্থানান্তর করা হয়।
নওগাঁ স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালসহ জেলার ১০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টিকা দেওয়ার কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি ও জেলা হাসপাতালে চারটি বুথ স্থাপন করা হবে। প্রতিটি বুথে ছয়জন প্রশিক্ষিত ব্যক্তি এই টিকা প্রয়োগের দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে দুজন প্রশিক্ষিত টিকাকর্মী এবং চারজন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
টিকা দেওয়ার জন্য দক্ষ টিকাকর্মীদের এরই মধ্যে ঢাকায় নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
জেলায় করোনার টিকা সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা, টিকা পাবেন এমন ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়নসহ যাবতীয় কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে এসব কার্যক্রম চূড়ান্ত করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওদের প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় সাংসদদের কমিটিতে উপদেষ্টা করা হয়েছে।