কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস ও ডাম্পারের (পিকআপ) মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সকালের দিকে মহাসড়কের চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের বরইতলী মাদরাসা গেট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়ার শফিউল আব্বাসের ছেলে ডাম্পার চালক মোহাম্মদ মানিক (২৬) ও শ্রমিক মো. তারেকুল ইসলাম বাবু (২২)। বাবু মুরারপাড়ার শাহাব উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বান্দরবানের লামা থেকে চট্টগ্রামমুখী সৌদিয়া পরিবহনের বাস (ঢাকা মেট্টো-ব-১৪-২০৭৫) ও কক্সবাজারের পেকুয়া থেকে মাটিভর্তি ডাম্পার (চট্ট মেট্টো-অ-১১৬) গাড়িটি মহাসড়কের চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের মাদরাসা গেট এলাকায় পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে দুটি গাড়িই দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং বাসটি মহাসড়ক থেকে খাদে ছিটকে পড়ে। এতে দুর্ঘটনাস্থলে ডাম্পার চালক ও হাসপাতালে নেয়ার পর ডাম্পারের শ্রমিক নিহত হন।
এ সময় মহাসড়কের উভয়দিকে প্রায় আধঘণ্টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। মহাড়কের চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ দুর্ঘটনায় পতিত ডাম্পার গাড়িটি ক্রেন দিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেয়ার পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দুর্ঘটনায় আহতদের মাঝে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন-সৌদিয়া বাসযাত্রী বান্দরবানের লামা উপজেলার জয়ন্তু বড়ুয়ার মেয়ে নিশীথা বড়ুয়া (১৮), স্বপন বড়ুয়ার ছেলে অতুল বড়ুয়া (২২), মৃত দুদু মিয়ার স্ত্রী সফুরা খাতুন (৭০), অংহা মংয়ের ছেলে হাচিং মং (২৪) ও পেকুয়ার দক্ষিণ মেহেরনামা বলিরপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের আবু বক্করের ছেলে মমতাজ আহমদ (২৮)।
মমতাজকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
চকরিয়ার বানিয়ারছড়া চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিছুর রহমান জানান, সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় দুইজন মারা গেছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
তাদেরকে দ্রুত সময়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।এ ব্যাপারে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।