স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশকে অনন্য এক আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিলেন নড়াইলের সাদাত রহমান। সাইবার অপরাধ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে নানা পদক্ষেপের নেওয়ার ফলে অর্জন করেছেন শিশু শান্তি পুরস্কার।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এটিকে অভিহিত করা হয় ‘শিশুদের নোবেল’ হিসেবে। গতকাল শুক্রবার এই পুরস্কারের বিজয়ী হিসেবে সাদাত রহমানের কথা ঘোষণা করে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক চাইল্ডরাইটস।
সাদাত রহমানের নাম ঘোষণার পাশাপাশি কেন তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হলো তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে বাছাই কমিটির পক্ষ থেকে। বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী আতঙ্কভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সাইবার বুলিং।
এর শিকার হয়ে অনেক শিশুই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। এমন অবস্থায় সব প্রকার সাইবার অপরাধ থেকে শিশুদেরকে বাঁচাতে ‘কার্যকর পদক্ষেপ’ নিয়েছেন সাদাত।
সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে এক কিশোরির আত্মহত্যার খবর শুনে ‘কিছু একটা’ করার সিদ্ধান্ত নেন সাদাত। বন্ধুদের নিয়ে গঠন করেন নড়াইল ভলেন্টিয়ারস।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার এক পর্যায়ে জিতে নেন একশনএইডের ‘ইয়ুথ ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ-২০১৯’। এরপর ‘সাইবার টিনস’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেন।
এই অ্যাপের মাধ্যমে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়া শিশুরা অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে সেটা চলে যায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে। তারা এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেন।
এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৬০টি অভিযোগের মীমাংসা হয়েছে। শাস্তি পেয়েছেন ৮ জন সাইবার অপরাধী। বর্তমানে ‘সেফ ইন্টারনেট, সেফ টিনএজার’ নামে আরেকটা কর্মসূচি চালু করেছেন সাদাত।
শিশুদের জন্য সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার গত বছর জিতেছিলেন আলোচিত শিশু পরিবেশ অধিকার কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ২০১৩ সালে পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই এই পুরস্কার জেতার পরের বছরই পেলেন শান্তিতে নোবেল।
এ থেকেই উপলব্ধি করা যায়, কত বড় সম্মান বয়ে এনেছেন সাদত রহমান। পুরস্কারটি জেতার শর্ত হলো, বয়স হতে হবে ১২ থেকে ১৮’র মধ্যে।