ঢাকা ০২:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মান্দায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতন, আটক ২

গৃহবধূ সুরাইয়া

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ: নওগাঁর মান্দায় যৌতুকের দাবিতে সুরাইয়া (২২) নামে এক গৃহবধূকে অমানবিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে।

ওই গৃহবধূর বাবা আব্দুর রকিবের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে (৫ অক্টোবরে) মুমূর্ষু অবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।

এদিকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে স্বামী জাহিদুল ইসলাম বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। তবে তার বাবা শাহজাহান ও মা গুলেছাকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের ভারশোঁ গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাহিদুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের শালদহ গ্রামে প্রথম বিয়ে করে ৬-৭ বছর সংসার করেন। বিয়ের পর থেকে ওই স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতেন তিনি।

পরে আদালতের মাধ্যমে প্রথম স্ত্রীকে এক বছর আগে তালাক দেন। এর কিছুদিন পরই উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামের বাবুলের মেয়ে সুরাইয়াকে বিয়ে করেন।

বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে সুরাইয়াকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন জাহিদুল। গত তিনদিন ধরে জাহিদুল ও তার বাবা-মা মিলে সুরাইয়াকে নির্যাতন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

জাহিদুলের বাড়ি প্রতিবেশীদের বাড়ি একটু দূরে হওয়ায় তারা কেউ বিষয়টি তেমন বুঝতে পারেননি। সুরাইয়ার কান্নায় প্রতিবেশীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে তার বাবাকে জানান।

পরে তার বাবা আব্দুর রকিবের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে স্বামী জাহিদুল ইসলাম বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন।

মান্দা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) তারেকুর রহমান সরকার বলেন, মেয়ের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলেছ।

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

মান্দায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতন, আটক ২

আপডেট সময় ০৫:৩৩:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ: নওগাঁর মান্দায় যৌতুকের দাবিতে সুরাইয়া (২২) নামে এক গৃহবধূকে অমানবিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে।

ওই গৃহবধূর বাবা আব্দুর রকিবের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে (৫ অক্টোবরে) মুমূর্ষু অবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।

এদিকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে স্বামী জাহিদুল ইসলাম বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। তবে তার বাবা শাহজাহান ও মা গুলেছাকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের ভারশোঁ গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাহিদুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের শালদহ গ্রামে প্রথম বিয়ে করে ৬-৭ বছর সংসার করেন। বিয়ের পর থেকে ওই স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতেন তিনি।

পরে আদালতের মাধ্যমে প্রথম স্ত্রীকে এক বছর আগে তালাক দেন। এর কিছুদিন পরই উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামের বাবুলের মেয়ে সুরাইয়াকে বিয়ে করেন।

বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে সুরাইয়াকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন জাহিদুল। গত তিনদিন ধরে জাহিদুল ও তার বাবা-মা মিলে সুরাইয়াকে নির্যাতন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

জাহিদুলের বাড়ি প্রতিবেশীদের বাড়ি একটু দূরে হওয়ায় তারা কেউ বিষয়টি তেমন বুঝতে পারেননি। সুরাইয়ার কান্নায় প্রতিবেশীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে তার বাবাকে জানান।

পরে তার বাবা আব্দুর রকিবের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে স্বামী জাহিদুল ইসলাম বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন।

মান্দা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) তারেকুর রহমান সরকার বলেন, মেয়ের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলেছ।