ঢাকা ১০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

প্রতিবেশীর ঘরে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

প্রতীকী ছবি

পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় প্রতিবেশীর ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বিথী আক্তার (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের দানাগছ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বিথী আক্তার ওই এলাকার নুর ইসলামের মেয়ে এবং স্থানীয় ভিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, কিছু দিন ধরে বিথীর মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না।

সব সময় মন খারাপ করে থাকতো। শুক্রবার সকালে তাকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের লোকজন। পরে পাশের বাড়ির সাইফুল ইসলামের ঘরে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

নিহত বিথীর বাবা নুর ইসলাম বলেন, সকালে আমি বাড়ির বাইরে কাজ করছিলাম। বিথীকে বাড়িতে না পেয়ে বড় মেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে ওই ঘরে তাকে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখে বড় মেয়ে চিৎকার দেয়।

তার চিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখি বিথী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়েছে। সেখান থেকে তাকে দ্রুত নামাই।

তখনও সে জীবিত ছিল। পরে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসককে ডেকে নিয়ে আসি। তিনি এসে বিথীকে মৃত ঘোষণা করেন। মেয়েটি কেন এমন করলো বুঝতে পারছি না।

তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি ইউডি (অপমৃত্যু) মামলা হয়েছে।

ট্যাগস

বনি আমার প্রেমিক ছিল না,ওর সঙ্গে আর সিনেমা করব না: ঋত্বিকা সেন

প্রতিবেশীর ঘরে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

আপডেট সময় ০৭:০৬:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অগাস্ট ২০২০

পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় প্রতিবেশীর ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বিথী আক্তার (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের দানাগছ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বিথী আক্তার ওই এলাকার নুর ইসলামের মেয়ে এবং স্থানীয় ভিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, কিছু দিন ধরে বিথীর মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না।

সব সময় মন খারাপ করে থাকতো। শুক্রবার সকালে তাকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের লোকজন। পরে পাশের বাড়ির সাইফুল ইসলামের ঘরে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

নিহত বিথীর বাবা নুর ইসলাম বলেন, সকালে আমি বাড়ির বাইরে কাজ করছিলাম। বিথীকে বাড়িতে না পেয়ে বড় মেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে ওই ঘরে তাকে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখে বড় মেয়ে চিৎকার দেয়।

তার চিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখি বিথী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়েছে। সেখান থেকে তাকে দ্রুত নামাই।

তখনও সে জীবিত ছিল। পরে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসককে ডেকে নিয়ে আসি। তিনি এসে বিথীকে মৃত ঘোষণা করেন। মেয়েটি কেন এমন করলো বুঝতে পারছি না।

তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি ইউডি (অপমৃত্যু) মামলা হয়েছে।