ঢাকা ০৭:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ মৃত্যু

অতিরিক্ত মহা-পরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনঃ  দেশে দীর্ঘতর হচ্ছে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃত্যুর তালিকা। গত ২৪ ঘণ্টায় এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও ৪৮ জনের নাম।

ফলে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা এখন তিন হাজার ৮৩। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাস পাওয়া গেছে আরও দুই হাজার ৬৯৫ জনের দেহে। এতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ জনে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দৈনন্দিন বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি পিসিআর-ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৬৬৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১২ হাজার ৯৩৭টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১১ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫টি। নতুন পরীক্ষায় করোনা মিলেছে দুই হাজার ৬৯৫ মধ্যে।

এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৪৮ জন।

ফলে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হলো তিন হাজার ৮৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও দুই হাজার ৬৬৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৩২ হাজার ৯৬০ জনে।

গতকালের তথ্য
গতকাল বুধবারের (২৯ জুলাই) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

১৪ হাজার ১২৭টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা পাওয়া গেছে আরও তিন হাজার নয়জনের দেহে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্ত কমলেও লাফিয়ে বেড়েছে মৃত্যু।

দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয়, ৩০ জুনের বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৯ জনের, যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে।

শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর হার
বৃহস্পতিবারের বুলেটিনে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ দশমিক ১৮ শতাংশ।

আর রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।

বুলেটিনে বরাবরের মতো করোনা থেকে সুরক্ষিত ও সুস্থ থাকতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান ডা. নাসিমা।

বৈশ্বিক সর্বশেষ
গোটা বিশ্বকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে করোনাভাইরাস। চীনের উহান শহর থেকে গত ডিসেম্বরে ছড়ানো ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৭২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

মৃতের সংখ্যা ছয় লাখ ৭০ হাজারের বেশি। তবে সুস্থ রোগীর সংখ্যা এক কোটি সাত লাখ ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর এতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।

ট্যাগস

করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ মৃত্যু

আপডেট সময় ০৩:১১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনঃ  দেশে দীর্ঘতর হচ্ছে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃত্যুর তালিকা। গত ২৪ ঘণ্টায় এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও ৪৮ জনের নাম।

ফলে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা এখন তিন হাজার ৮৩। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাস পাওয়া গেছে আরও দুই হাজার ৬৯৫ জনের দেহে। এতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ জনে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দৈনন্দিন বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি পিসিআর-ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৬৬৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১২ হাজার ৯৩৭টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১১ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫টি। নতুন পরীক্ষায় করোনা মিলেছে দুই হাজার ৬৯৫ মধ্যে।

এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৪৮ জন।

ফলে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হলো তিন হাজার ৮৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও দুই হাজার ৬৬৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৩২ হাজার ৯৬০ জনে।

গতকালের তথ্য
গতকাল বুধবারের (২৯ জুলাই) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

১৪ হাজার ১২৭টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা পাওয়া গেছে আরও তিন হাজার নয়জনের দেহে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্ত কমলেও লাফিয়ে বেড়েছে মৃত্যু।

দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয়, ৩০ জুনের বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৯ জনের, যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে।

শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর হার
বৃহস্পতিবারের বুলেটিনে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ দশমিক ১৮ শতাংশ।

আর রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।

বুলেটিনে বরাবরের মতো করোনা থেকে সুরক্ষিত ও সুস্থ থাকতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান ডা. নাসিমা।

বৈশ্বিক সর্বশেষ
গোটা বিশ্বকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে করোনাভাইরাস। চীনের উহান শহর থেকে গত ডিসেম্বরে ছড়ানো ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৭২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

মৃতের সংখ্যা ছয় লাখ ৭০ হাজারের বেশি। তবে সুস্থ রোগীর সংখ্যা এক কোটি সাত লাখ ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর এতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।