ক্রীড়া ডেস্কঃ চিকিৎসার জন্য শনিবার (২৫ জুলাই) লন্ডন যাচ্ছেন তামিম ইকবাল। শুক্রবার তামিম নিজ মুখে তা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শনিবার সকালে আমার ফ্লাইট।’
করোনার কারণে যে দেশ থেকেই যান না কেন, যুক্তরাজ্যে পা রাখা যেকোনো ভিনদেশি যাত্রীকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়।
তারপর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানোর প্রশ্ন। তামিম জানিয়েছেন, সেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়া হয়ে গেছে।
অর্থাৎ লন্ডন গিয়ে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর ডাক্তার দেখানোর দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়ে গেছে। তিনি বলেছেন, ‘চিকিৎসকের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছে। বিশেষজ্ঞ দেখানোর দিনক্ষণও ঠিক হয়ে গেছে।’
প্রসঙ্গতঃ মাসখানেক যাবত পেটের পীড়া ভোগাচ্ছে তামিম ইকবালকে। প্রায়ই পেটে অসহনীয় ব্যথা অনুভব করছেন। করোনার ভেতর দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করানোয় আছে ঝক্কি।
তাই প্রথমে দেশেই বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হওয়ার চেষ্টায় ছিলেন দেশের অন্যতম শীর্ষ ক্রিকেট তারকা। কিন্তু দেশে পরীক্ষানিরীক্ষার পর স্থানীয় চিকিৎসকরা সেভাবে রোগ ধরতে পারেননি।
তাই বিদেশে চিকিৎসা করানোর সিদ্ধান্ত তামিম ইকবালের। পেটের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসার জন্য দেশসেরা ওপেনারের প্রথম পছন্দই-
ছিল লন্ডন এবং লন্ডন যাওয়ার ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার চেষ্টাও চলছিল কদিন ধরেই। কিন্তু তাতে একটা বিপত্তিও দেখা দিয়েছিল।
করোনার কারণে লন্ডনে গিয়ে স্বল্প সময়ে ডাক্তার দেখানো, পরীক্ষানিরীক্ষা করানো সব মিলে একটা লম্বা সময়ের ব্যাপার। কারণ যে কেউ এখন ইংল্যান্ডে গেলে আগে দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
তারপর চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট আগে থেকে ঠিক না করলে ভিসা জটিলতায়ও ভুগতে হবে। তাই খানিক সিদ্ধান্তহীনতাও ছিল তামিমের। বিকল্প হিসেব-
সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের কথাও মাথায় এসেছিল। কিন্তু সেখানে এখন ফ্লাইট যায় না ঢাকা থেকে। তাই লন্ডনে যেতেই মনস্থির করা।
শেষপর্যন্ত লন্ডনে চিকিৎসকের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ হয়েছে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখানোর দিনক্ষণও হয়েছে চূড়ান্ত।
শনিবার সকালে লন্ডন যাত্রা। তামিম ভক্ত তথা বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুরাগি, সমর্থক সবাই দেশের ক্রিকেটের এ উজ্জ্বল তারকা ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন।