ঢাকা ০৯:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বকাপ স্থগিতে যে কিংবদন্তিদের ক্যারিয়ার শেষ

প্রতীকী ছবি

ক্রীড়া ডেস্কঃ করোনা মহামারির কারণে শেষ পর্যন্ত আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত ঘোষণা করলো আইসিসি।

এক বছর পিছিয়ে আগামী বছর অক্টোবর-নভেম্বরে নিয়ে যাওয়া হলো বিশ্বকাপের সূচি। একদিন আগেই এই খবর জেনে গেছে সবাই।

কিন্তু এক বছর বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়ার অর্থ- বিশ্ব কাঁপানো তিন কিংবদন্তি ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার তাহলে এখানেই শেষ? তিনজনই অবশ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছেন। দু’জন জিতেছেন অধিনায়ক হিসেবে।

বাকিজন ছিলেন দুটি বিশ্বকাপ জয়ে দলের অন্যতম কান্ডারি। এই তিনজন হলেন ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি, শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল।

ক্রিকেটের নিজেদের অবদান দিয়ে এরই মধ্যে কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছেন এই তিন ক্রিকেটার। মহেন্দ্র সিং ধোনি অধিনায়ক হিসেবে ক্রিকেটের এমন কোনো শিরোপা নেই যেটা হাতে তুলে নেননি।

২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তার নেতৃত্বেই জিতেছিল ভারত। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ লাসিথ-

মালিঙ্গার অধীনে জয় করেছিল শ্রীলঙ্কা। আর ২০১২ এবং ২০১৬ বিশ্বকাপজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন ক্রিস গেইল।

গত বছর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের পর আর মাঠে নামা হয়নি মহেন্দ্র সিং ধোনির। লাসিথ মালিঙ্গা ২০১৯ বিশ্বকাপের দু’একটি ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন।

ক্রিস গেইল বিশ্বকাপের পর দু’একটি ওয়ানডে খেলেছিলেন বটে। তবে টি-টোয়েন্টিকেই পরের বিশ্বকাপ পর্যন্ত চালিয়ে নেয়ার লক্ষ্য ছিল।

শুধু গেইলই নন, একই চিন্তা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডিজে বয় হিসেবে পরিচিত ডোয়াইন ব্রাভোরও।

কিন্তু বিশ্বকাপ স্থগিত করে এক বছর পিছিয়ে দেয়ার কারণে এই তারকা ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ার প্রায় শেষ হওয়ার পথে। আগামী এক বছর পর পর্যন্ত তাদের কে কে টিকে থাকেন ক্রিকেটে, কে কে খেলা চালিয়ে যাবেন, সেটা বলা মুস্কিল।

মহেন্দ্র সিং ধোনি
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর তার আর মাঠেই নামা হয়নি। নিজে থেকেই কিছুদিন ব্রেক নিয়েছিলেন। ধোনির লক্ষ্য ছিল এ বছরের আইপিএল দিয়ে মাঠে নামবেন।

কিন্তু গত ২৯ মার্চ আইপিএল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করানার কারণে সেটা পিছিয়ে যায় অনির্দিষ্টকালের জন্য। যার ফলে ধোনির ক্যারিয়ার পড়ে যায় পুরো শঙ্কার মধ্যে।

তবুও আশা ছিল যদি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে হয়তো দলে ফিরতে পারেন তিনি। কিন্তু বিশ্বকাপ স্থগিত হয়ে গেলো। এরই মধ্যে ৩৯ বছর-

পার করে ফেলা ধোনি আগামী বছর বিশ্বকাপের আগেই পার করে ফেলবেন ৪০ বছর। সুতরাং, তার যে ক্যারিয়ার প্রায় শেষ হওয়ার পথে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

লাসিথ মালিঙ্গা
টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব মালিঙ্গার। নিয়েছেন ১০৭টি উইকেট। তিনি আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০২০ টি-টোয়েন্টি-

বিশ্বকাপ খেলেই অবসরে চলে যাবেন। এখন তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন? এরই মধ্যে ৩৮ বছর পার করে ফেলবেন তিনি।

গত বছরটা ছিল মালিঙ্গার জন্য সেরা। দুর্দান্ত বোলিং করে তিনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে আরও একবার চ্যাম্পিয়ন করিয়েছেন।এরপর গত সেপ্টেম্বরে-

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা চার বলে চার উইকেট নিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। যদিও তার ফিটনেসটাই মূল। ফর্ম নিয়ে চিন্তা নেই। ফিটনেস ঠিক থাকলে হয়তো পরের বিশ্বকাপও খেলতে পারবেন তিনি।

ক্রিস গেইল ও ডোয়াইন ব্রাভো
এরই মধ্যে ৪০ বছর পার করে ফেলেছেন ক্রিস গেইল। বয়স ছুঁই ছুঁই করছে ৪১। টি-টোয়েন্টে ক্রিকেটের পোস্টারবয় বলা হয় তাকে।

এবারের বিশ্বকাপ ছিল হয়তো তার শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু বিশ্বকাপ স্থগিত হয়ে যাওয়ার কারণে গেইল কি তার ক্যারিয়ার আর লম্বা করবেন? সেটা একটা বিশাল প্রশ্ন।

গেইলের সতীর্থ ডোয়াইন ব্রাভোও আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন ২০২০ বিশ্বকাপ খেলে ব্যাট-প্যাড তুলে রাখবেন। কিন্তু বিশ্বকাপ স্থগিত হওয়ার কারণে কি তার ক্যারিয়ার এখানেই শেষ?

মোহাম্মদ হাফিজ এবং শোয়েব মালিক
পাকিস্তানের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজ এবং শোয়েব মালিকের ক্যারিয়ারও প্রায় শেষের দিকে। এই দু’জনেরও লক্ষ্য ছিল অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর।

এ বছরই অক্টোবরে ৪০-এ পা দেবেন মোহাম্মদ হাফিজ। যদিও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, যদি বিশ্বকাপের সূচি পূনঃ নির্ধারণ করা হয়, তাহলে অবসরের চিন্তাটা নতুন করে করবেন।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে ৩৯-এ পা দেবেন শোয়েব মালিক। গত কয়েক মাসে পাকিস্তান বেশ কিছু ভালো তরুণ ক্রিকেটারের খোঁজ পেয়ে গেছে।

সুতরাং সিনিয়রদের ওপর আর ভরসা রাখার মানে হয় না। শোয়েব মালিকরাও তাই এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকেই লক্ষ্য করেছিলেন।

কিন্তু এক বছর পিছিয়ে যাওয়ার কারণে, আগামী বছর বিশ্বকাপে শোয়েব মালিক খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে রয়েছে দারুন সংশয়।

ফ্যাফ ডু প্লেসিস এবং এবি ডি ভিলিয়ার্স
ফ্যাফ ডু প্লেসিস ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত তিনি নেতৃত্বটা চালিয়ে যেতে চান। কিন্তু এখন তো সময়টা অনেক বেশি হয়ে গেলো।

এদিকে কুইন্টন ডি কককে সব ফরম্যাটে নেতৃত্ব দিতে ইচ্ছুক দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের। আগামী বিশ্বকাপের আগেই ৩৭-এ পা দেবেন ডু প্লেসিস। সুতরাং, আগামী এক বছরে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।

এবি ডি ভিলিয়ার্স এমনিতেই অবসর নিয়ে রেখেছেন। তবে তাকে ঘিরে অনেক গুঞ্জনই রয়েছে। শোনা যাচ্ছিল তিনি ফিরবেন দক্ষিণ আফ্রিকা দলে এবং খেলবেন ২০২০ বিশ্বকাপ।

কিন্তু এক বছর বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়ার কারণে তার ফেরার সম্ভাবনাটা কমে গেলো। আগামী বিশ্বকাপের আগে তিনি থাকবেন মধ্য ৩৬-এ। এই বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর কত চালিয়ে যাবেন তিনি?

 

ট্যাগস

বিশ্বকাপ স্থগিতে যে কিংবদন্তিদের ক্যারিয়ার শেষ

আপডেট সময় ০৭:৪৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০

ক্রীড়া ডেস্কঃ করোনা মহামারির কারণে শেষ পর্যন্ত আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত ঘোষণা করলো আইসিসি।

এক বছর পিছিয়ে আগামী বছর অক্টোবর-নভেম্বরে নিয়ে যাওয়া হলো বিশ্বকাপের সূচি। একদিন আগেই এই খবর জেনে গেছে সবাই।

কিন্তু এক বছর বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়ার অর্থ- বিশ্ব কাঁপানো তিন কিংবদন্তি ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার তাহলে এখানেই শেষ? তিনজনই অবশ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছেন। দু’জন জিতেছেন অধিনায়ক হিসেবে।

বাকিজন ছিলেন দুটি বিশ্বকাপ জয়ে দলের অন্যতম কান্ডারি। এই তিনজন হলেন ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি, শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল।

ক্রিকেটের নিজেদের অবদান দিয়ে এরই মধ্যে কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছেন এই তিন ক্রিকেটার। মহেন্দ্র সিং ধোনি অধিনায়ক হিসেবে ক্রিকেটের এমন কোনো শিরোপা নেই যেটা হাতে তুলে নেননি।

২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তার নেতৃত্বেই জিতেছিল ভারত। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ লাসিথ-

মালিঙ্গার অধীনে জয় করেছিল শ্রীলঙ্কা। আর ২০১২ এবং ২০১৬ বিশ্বকাপজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন ক্রিস গেইল।

গত বছর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের পর আর মাঠে নামা হয়নি মহেন্দ্র সিং ধোনির। লাসিথ মালিঙ্গা ২০১৯ বিশ্বকাপের দু’একটি ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন।

ক্রিস গেইল বিশ্বকাপের পর দু’একটি ওয়ানডে খেলেছিলেন বটে। তবে টি-টোয়েন্টিকেই পরের বিশ্বকাপ পর্যন্ত চালিয়ে নেয়ার লক্ষ্য ছিল।

শুধু গেইলই নন, একই চিন্তা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডিজে বয় হিসেবে পরিচিত ডোয়াইন ব্রাভোরও।

কিন্তু বিশ্বকাপ স্থগিত করে এক বছর পিছিয়ে দেয়ার কারণে এই তারকা ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ার প্রায় শেষ হওয়ার পথে। আগামী এক বছর পর পর্যন্ত তাদের কে কে টিকে থাকেন ক্রিকেটে, কে কে খেলা চালিয়ে যাবেন, সেটা বলা মুস্কিল।

মহেন্দ্র সিং ধোনি
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর তার আর মাঠেই নামা হয়নি। নিজে থেকেই কিছুদিন ব্রেক নিয়েছিলেন। ধোনির লক্ষ্য ছিল এ বছরের আইপিএল দিয়ে মাঠে নামবেন।

কিন্তু গত ২৯ মার্চ আইপিএল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করানার কারণে সেটা পিছিয়ে যায় অনির্দিষ্টকালের জন্য। যার ফলে ধোনির ক্যারিয়ার পড়ে যায় পুরো শঙ্কার মধ্যে।

তবুও আশা ছিল যদি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে হয়তো দলে ফিরতে পারেন তিনি। কিন্তু বিশ্বকাপ স্থগিত হয়ে গেলো। এরই মধ্যে ৩৯ বছর-

পার করে ফেলা ধোনি আগামী বছর বিশ্বকাপের আগেই পার করে ফেলবেন ৪০ বছর। সুতরাং, তার যে ক্যারিয়ার প্রায় শেষ হওয়ার পথে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

লাসিথ মালিঙ্গা
টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব মালিঙ্গার। নিয়েছেন ১০৭টি উইকেট। তিনি আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০২০ টি-টোয়েন্টি-

বিশ্বকাপ খেলেই অবসরে চলে যাবেন। এখন তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন? এরই মধ্যে ৩৮ বছর পার করে ফেলবেন তিনি।

গত বছরটা ছিল মালিঙ্গার জন্য সেরা। দুর্দান্ত বোলিং করে তিনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে আরও একবার চ্যাম্পিয়ন করিয়েছেন।এরপর গত সেপ্টেম্বরে-

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা চার বলে চার উইকেট নিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। যদিও তার ফিটনেসটাই মূল। ফর্ম নিয়ে চিন্তা নেই। ফিটনেস ঠিক থাকলে হয়তো পরের বিশ্বকাপও খেলতে পারবেন তিনি।

ক্রিস গেইল ও ডোয়াইন ব্রাভো
এরই মধ্যে ৪০ বছর পার করে ফেলেছেন ক্রিস গেইল। বয়স ছুঁই ছুঁই করছে ৪১। টি-টোয়েন্টে ক্রিকেটের পোস্টারবয় বলা হয় তাকে।

এবারের বিশ্বকাপ ছিল হয়তো তার শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু বিশ্বকাপ স্থগিত হয়ে যাওয়ার কারণে গেইল কি তার ক্যারিয়ার আর লম্বা করবেন? সেটা একটা বিশাল প্রশ্ন।

গেইলের সতীর্থ ডোয়াইন ব্রাভোও আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন ২০২০ বিশ্বকাপ খেলে ব্যাট-প্যাড তুলে রাখবেন। কিন্তু বিশ্বকাপ স্থগিত হওয়ার কারণে কি তার ক্যারিয়ার এখানেই শেষ?

মোহাম্মদ হাফিজ এবং শোয়েব মালিক
পাকিস্তানের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজ এবং শোয়েব মালিকের ক্যারিয়ারও প্রায় শেষের দিকে। এই দু’জনেরও লক্ষ্য ছিল অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর।

এ বছরই অক্টোবরে ৪০-এ পা দেবেন মোহাম্মদ হাফিজ। যদিও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, যদি বিশ্বকাপের সূচি পূনঃ নির্ধারণ করা হয়, তাহলে অবসরের চিন্তাটা নতুন করে করবেন।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে ৩৯-এ পা দেবেন শোয়েব মালিক। গত কয়েক মাসে পাকিস্তান বেশ কিছু ভালো তরুণ ক্রিকেটারের খোঁজ পেয়ে গেছে।

সুতরাং সিনিয়রদের ওপর আর ভরসা রাখার মানে হয় না। শোয়েব মালিকরাও তাই এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকেই লক্ষ্য করেছিলেন।

কিন্তু এক বছর পিছিয়ে যাওয়ার কারণে, আগামী বছর বিশ্বকাপে শোয়েব মালিক খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে রয়েছে দারুন সংশয়।

ফ্যাফ ডু প্লেসিস এবং এবি ডি ভিলিয়ার্স
ফ্যাফ ডু প্লেসিস ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত তিনি নেতৃত্বটা চালিয়ে যেতে চান। কিন্তু এখন তো সময়টা অনেক বেশি হয়ে গেলো।

এদিকে কুইন্টন ডি কককে সব ফরম্যাটে নেতৃত্ব দিতে ইচ্ছুক দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের। আগামী বিশ্বকাপের আগেই ৩৭-এ পা দেবেন ডু প্লেসিস। সুতরাং, আগামী এক বছরে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।

এবি ডি ভিলিয়ার্স এমনিতেই অবসর নিয়ে রেখেছেন। তবে তাকে ঘিরে অনেক গুঞ্জনই রয়েছে। শোনা যাচ্ছিল তিনি ফিরবেন দক্ষিণ আফ্রিকা দলে এবং খেলবেন ২০২০ বিশ্বকাপ।

কিন্তু এক বছর বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়ার কারণে তার ফেরার সম্ভাবনাটা কমে গেলো। আগামী বিশ্বকাপের আগে তিনি থাকবেন মধ্য ৩৬-এ। এই বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর কত চালিয়ে যাবেন তিনি?