স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ: কোরবানী ঈদ কে ঘিরে লালণ পালন করা নওগাঁর প্রান্তিক গো খামারী গরুর নায্য দর পাওয়া নিয়ে চরম দু:চিন্তায় রয়েছে । গো খাদ্যর চড়া দাম আর বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋন নিয়ে গড়া এসব খামারী বলছেন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা কম বলছে গরুর দাম ।
এতে বড় ধরণের লোকসানের আশংকা খামারীদের । করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ খামারীদের তালিকা করে সরকারী আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলছে প্রাণী সম্পদ বিভাগ ।
কোরবাণী ঈদ কে টার্গেট করে ৫ টি ষাড় গরু নিয়ে ছোট একটি খামার গড়েছেন নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডি পুর এলাকার কামরুন্নাহার । ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় কেনা এসব গরুর বাড়তি লাভের আশায় প্রতিপালন করলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে নায্য দাম পাওয়া নিয়ে দু:চিন্তায় কাটছে দিন কামরুন্নাহারের ।
শুধু কামরুন্নাহার নয় একই এলাকার, মান্নান, রেসমা, ও মামুনের মতো প্রান্তিক গো খামারীরাদেও একই অবস্থা ।কোরবানী ঈদের আগে যেখানে বেপারী এসব খামারে দরদাম হাকতো সেখানে এবার তাদের নেই আনা গোনা, একদিকে গো- খাদ্যর চড়া দাম তার উপর করোনার মন্দা বাজার ।আর তাই উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় এসব খামারীরা । আরজি নওগাঁ চুনাতি পাড়া মহল্লার আব্দুল মান্নান । তার ৩০ টি গরু নিয়ে খামারে রয়েছে ১ লাখ থেকে দু লাখ টাকা দামের বড় বড় ষার গরু । তিনি বলেন, এবার বড় দু: চিন্তায় আছি । একদিকে গরুর দাম নাই তার উপর গরুর দুধ বিক্রি হচ্ছে পানির দরে ।
চন্ডিপুর এলাকার আরো বেশ জন প্র্রান্তিক খামারীরা বলেন, গেল বার এ সময় অনেক বেপারী এসে গরুর দারদাম বললেও এবার কিছু কশাই এসে গরুর যে দাম বলছে তাতে কেনার চেয়ে ১০ হাজার টাকা কম ।
সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে গরুর হাট চালু করা সহ ক্ষুদ্র প্রান্তিক এসব গো-খামারিদের রক্ষায় সরকারী সহযোগিতা প্রদানের আহবান খামার মালিক সমিতির নেতা।নওগাঁ জেলা ডেইরি ও গো-খামার মালিক সমিতি সভাপতি মো: ওয়াজেদ আলী বলেন, এ মুহুর্তে আমাদের দরকার গো খাদ্যর দাম কমানো । একদিকে গরুর দাম কম তার উপর আবার হাটে গরু কেনা বেচা নেই ।
আপদ কালীণ এ পরিস্থিততে খামারীদের নিয়ে সভা সেমিনার করছে প্রাণী সম্পদ বিভাগ ।আর সরকারী প্রণোদনার আওতায় আনতে প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষতিগ্রস্থ গো-খামারিদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে বলে জানান প্রাণি সম্পদের কর্মকর্তা । নওগাঁ জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,মো হেলাল খাঁন বলেন, আমরা আশা করছি ঈদের আগেই প্রণোদনার সহযোগিতা প্রদান করতে পারবো ।
বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলা ছোট বড় ৩২ হাজার গো -খামারে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ গরু প্রতিপালন করা হচ্ছে । আর এসব গরু বিক্রির জন্য জেলায় ৮৬ হাট রয়েছে ।