স্টাফ রিপোর্টার,নওগাঁঃ নওগাঁর মান্দায় মসজিদে দানের টাকা ঘোষণাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত তোফাজ্জল হোসেনের (৪০) মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৬ জুন) ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ সময় নিহতের ভাই মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মকলেছার রহমানও (৪২) আহত হয়েছেন। নিহত তোফাজ্জল হোসেন উপজেলার উত্তর বাদলঘাটা গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে।
এর আগে শুক্রবার (৫ জুন) জুমার নামাজের পর উত্তর বাদলঘাটা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় তোফাজ্জল হোসেনের ছোট ভাই হেলাল বাদী হয়ে রাতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ঘটনার পর আবদুল জলিল নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মসজিদের উন্নয়নের জন্য স্থানীয় দুই ব্যক্তি ৮০০ টাকা দান করেন।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মকলেছার রহমান সবাইকে অবগত করতে বিষয়টি ঘোষণা করেন। কিন্তু মসজিদে ফ্যান চালু থাকায় অনেকেই কথাটি শুনতে পাননি।
নামাজ শেষে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মকলেছার রহমান বাড়ি ফেরার পথে গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে শাকিল হোসেন তাকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে লাঞ্ছিত করেন।
এ নিয়ে দুই পরিবারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর কিছুক্ষণ পর জলিলসহ তার ছেলেরা জোটবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আবারও প্রতিপক্ষের ওপর হামলা করে।
হামলায় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মকলেছার রহমান ও তার ভাই তোফাজ্জল হোসেনসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন।
তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। কিন্তু তোফাজ্জল হোসেনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রামেকে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তিনি মারা যান।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আসাদ আলী বলেন, স্থানীয় দুই ব্যক্তি মসজিদের উন্নয়নকল্পে ৮০০ টাকা দান করেন। জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিদের অবহিত করতে দানের এ টাকার ঘোষণা দেন সাধারণ সম্পাদক মকলেছার রহমান।
কিন্তু মসজিদে এ সময় ফ্যান চালু থাকা ও তবারক বিতরণের কারণে অনেকেই ঘোষণাটি শুনতে পাননি।
মান্দা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
এছাড়াও মূলহোতা আবদুল জলিলকে আটক করা হয়েছে। নিহতের ভাই হেলাল বাদী হয়ে রাতে মামলা করেছেন। নিহতের মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।