স্টাফ রিপোর্টারঃ ফের প্রশ্ন উঠেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে। দেখা দিয়েছে ফের উদ্বেগ। সম্প্রতি সাংবাদিক, কার্টুনিস্টসহ কয়েকজন আটকের ঘটনায় এই আইনের প্রয়োগ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
তবে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন খারাপ না, যদি এর অপপ্রয়োগ না হয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ নিয়ে সম্প্রতি যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, সে প্রসঙ্গেই মতামত জানতে চাওয়া হয় মন্ত্রীর কাছে। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি আইন মানুষের সুরক্ষার জন্য। মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে আর আইনের প্রয়োগ সঠিক হলে কোনো উদ্বেগ থাকার কথা নয়। প্রশ্ন ওঠে আইনের প্রয়োগ নিয়ে। অপপ্রয়োগ হয় না, আমি তা অস্বীকার করছি না। কিন্তু তাই বলে কোনো আইনকে দোষারোপ করতে পারি না।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সম্প্রতি কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে যা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে-এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আটকের বিষয়ে আমি সম্পূর্ণ অবগত না। কারা, কোন অপরাধে আটক হয়েছেন, তা বিস্তারিত জানি না। না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’
মন্ত্রী তার মায়ের মৃত্যুর ঘটনার অবতারণা করে বলেন, “গত ১৮ এপ্রিল আমার মায়ের মৃত্যু হয়। এর আগে সরাইলে এক হুজুরের (মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারী) মৃত্যু হয়, যেখানে বহু মানুষ জানাজায় অংশ নেন। তবে আমি সরাইলে ওই জানাজা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিও না। করোনা পরিস্থিতিতে আমার মায়ের দাফন সম্পন্ন হয় একেবারেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। আত্মীয়-স্বজনকেও আসতে বারণ করি। মাত্র শ দেড়েক মানুষ জানাজায় অংশ নেন। অথচ সামসুর রহমান শরীফ নামের একজনের জানাজার ছবি আমার মায়ের জানাজার নামে চালিয়ে দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে লিখল, ‘সরাইলের হুজুরের জানাজায় অংশ নিলে করোনা ছড়ায়, আর মন্ত্রীর মায়ের জানাজায় অংশ নিলে করোনা ছড়ায় না।’ এমন অপপ্রচারে আমাকে ফের বিবৃতি দিতে হলো যে, সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত ছবিগুলো আমার মায়ের জানাজার না।”
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এটি তো একজন মানুষের জন্য খুবই বিব্রতকর। আমি যদি ডিজিটাল (নিরাপত্তা) আইনে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতাম, তবে অবশ্যই অন্যায় হতো না। এ কারণেই বলছি, সবাই নিজের দায়িত্ববোধ থেকে সজাগ থাকলে আইনকে ভয় করার কোনো কারণ নেই। আইনের অপপ্রয়োগরোধ করতেও সরকার বদ্ধপরিকর।’