ঢাকা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ Logo ঈদ ছাড়াও সিনেমা সুপারহিট হয়: শাকিব খান Logo যুক্তরাজ্যে গেলেই গ্রেপ্তার হবেন নেতানিয়াহু! Logo নওগাঁ ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা Logo নির্বাচন দ্রুত হওয়া প্রয়োজন, নয়তো ষড়যন্ত্র বাড়বে: তারেক রহমান Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা

লটারিতে ওঠা কৃষকের কার্ড বিক্রি হলেই ব্যবস্থা : খাদ্যমন্ত্রী

নওগাঁ,  স্টাফ রিপোর্টারঃ  খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনতে হবে। ধান ক্রয়ে কোনো রকম রাজনৈতিক বা মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব যেন না পড়ে।

লটারিতে যেসব কৃষকের নাম উঠবে সুযোগ নিয়ে তারা তাদের কার্ড মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন না। যদি বিক্রি করার প্রমাণ মেলে কৃষি কার্ড বাতিলসহ চিরদিনের জন্য তিনি সরকারি সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।

এছাড়া যিনি কার্ড কিনবেন তিনিও মোবাইল কোর্টের আওতায় আসবেন।

বৃহস্পতিবার (৭ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলা খাদ্য গুদামে অভ্যন্তরীণ বোরো চাল সংগ্রহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী চালকল মালিকদের উদ্দেশে বলেন, যেহেতু বোরো মৌসুমে সরকার চাল ক্রয় করছে, সেহেতু পুরোনো চাল পালিশ করে খাদ্যগুদামে প্রবেশের চেষ্টা করবেন না, যা কোনো ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।

পোশাক কারখানার মালিকরা যেমন প্রণোদনা পাবেন তেমনি চালকল মালিকরা প্রণোদনা পাবেন কি-না তা নিয়ে অর্থ সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

এ সময় জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাজের হাসান, সদর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম, জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার, নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক এমএ খালেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী দিনে উপজেলার এমকে অটোরাইচ মিলের স্বত্বাধিকারী খলিল উদ্দিন ১ হাজার ৭৮৩ বস্তা এবং আলহেরা রাইচমিলের স্বত্বাধিকারী জাহিদ হোসেন ৬০০ বস্তা চাল গুদামে প্রবেশ করান।

সদর উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, বোরো ধান ২৬ টাকা কেজি দরে ২ হাজার ২০৩ মেট্রিক টন, সিদ্ধ চাল ৩৬ টাকা কেজি দরে ১৬ হাজার ৭৯৮ মেট্রিক টন, আতব চাল ৩৫ টাকা কেজি দরে ২ হাজার ১১ মেট্রিক টন এবং ২৮ টাকা কেজি দরে ১৫৫ মেট্রিক

টন গম সংগ্রহ করা হবে।জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী বলেন, জেলায় সিদ্ধ চাল ৪৯ হাজার ২৬০ মেট্রিক টন, আতব চাল ৬ হাজার ৫১ মেট্রিক টন, ধান ২৩ হাজার ২৩২ মেট্রিক টন এবং গম ৪ হাজার ৬৫১ মেট্রিক টন খাদ্য সংগ্রহ করা হবে।

এর মধ্যে সদর উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে ধান ক্রয় করা হবে। ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। এছাড়া জেলার ৫৩টি অটোরাইচ মিলের মধ্যে ৫১টির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ধান কেনার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। খাদ্য বিভাগের সব নির্দেশনা মেনে কাজ করা হবে।

ট্যাগস

বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

লটারিতে ওঠা কৃষকের কার্ড বিক্রি হলেই ব্যবস্থা : খাদ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৫:১২:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মে ২০২০

নওগাঁ,  স্টাফ রিপোর্টারঃ  খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনতে হবে। ধান ক্রয়ে কোনো রকম রাজনৈতিক বা মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব যেন না পড়ে।

লটারিতে যেসব কৃষকের নাম উঠবে সুযোগ নিয়ে তারা তাদের কার্ড মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন না। যদি বিক্রি করার প্রমাণ মেলে কৃষি কার্ড বাতিলসহ চিরদিনের জন্য তিনি সরকারি সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।

এছাড়া যিনি কার্ড কিনবেন তিনিও মোবাইল কোর্টের আওতায় আসবেন।

বৃহস্পতিবার (৭ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলা খাদ্য গুদামে অভ্যন্তরীণ বোরো চাল সংগ্রহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী চালকল মালিকদের উদ্দেশে বলেন, যেহেতু বোরো মৌসুমে সরকার চাল ক্রয় করছে, সেহেতু পুরোনো চাল পালিশ করে খাদ্যগুদামে প্রবেশের চেষ্টা করবেন না, যা কোনো ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।

পোশাক কারখানার মালিকরা যেমন প্রণোদনা পাবেন তেমনি চালকল মালিকরা প্রণোদনা পাবেন কি-না তা নিয়ে অর্থ সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

এ সময় জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাজের হাসান, সদর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম, জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার, নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক এমএ খালেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী দিনে উপজেলার এমকে অটোরাইচ মিলের স্বত্বাধিকারী খলিল উদ্দিন ১ হাজার ৭৮৩ বস্তা এবং আলহেরা রাইচমিলের স্বত্বাধিকারী জাহিদ হোসেন ৬০০ বস্তা চাল গুদামে প্রবেশ করান।

সদর উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, বোরো ধান ২৬ টাকা কেজি দরে ২ হাজার ২০৩ মেট্রিক টন, সিদ্ধ চাল ৩৬ টাকা কেজি দরে ১৬ হাজার ৭৯৮ মেট্রিক টন, আতব চাল ৩৫ টাকা কেজি দরে ২ হাজার ১১ মেট্রিক টন এবং ২৮ টাকা কেজি দরে ১৫৫ মেট্রিক

টন গম সংগ্রহ করা হবে।জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী বলেন, জেলায় সিদ্ধ চাল ৪৯ হাজার ২৬০ মেট্রিক টন, আতব চাল ৬ হাজার ৫১ মেট্রিক টন, ধান ২৩ হাজার ২৩২ মেট্রিক টন এবং গম ৪ হাজার ৬৫১ মেট্রিক টন খাদ্য সংগ্রহ করা হবে।

এর মধ্যে সদর উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে ধান ক্রয় করা হবে। ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। এছাড়া জেলার ৫৩টি অটোরাইচ মিলের মধ্যে ৫১টির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ধান কেনার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। খাদ্য বিভাগের সব নির্দেশনা মেনে কাজ করা হবে।