স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁঃ নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় এক মা শিশুসন্তানকে খুঁজতে গিয়েছিলেন একটি পার্কে। কিন্তু সন্তানকে পাননি। ফেরার পথে কোনো গাড়িও পাচ্ছিলেন না।
এ সময় এক ট্রাকচালক ও তাঁর তিন সহকারী (হেলপার) তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ট্রাকে তোলেন। পথে ট্রাকেই তাঁকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে চালক ও তাঁর সহকারীদের বিরুদ্ধে। ওই নারীকে মারধরও করা হয়।
গত সোমবারের এই ঘটনায় নির্যাতিত নারী মঙ্গলবার অভিযুক্ত ট্রাকচালক সেলিম (৩০), তাঁর সহকারী সোবহান (২০), জাহিদ (১৯) ও সুমন ওরফে কিস্তিকে আসামি করে মহাদেবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নির্যাতিত নারী থানায় বলেন, তাঁর শিশুসন্তানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক সময় সে বন্ধুদের সঙ্গে নওগাঁর জননেতা আব্দুল জলিল পার্কে ঘুরতে যায়। সেখানে তিনি সন্তানকে খুঁজতে যান। সেখানে সন্তানকে না পেয়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন তিনি। তখন সন্ধ্যাবেলা, রাস্তায় কোনো যানবাহন ছিল না।
পরে তিনি মহাদেবপুরগামী একটি ট্রাক থামিয়ে বাড়িতে ফেরার জন্য চালক ও তাঁর সহকারীদের সহযোগিতা চান। তাঁকে ট্রাকে তোলার পর ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিন সহকারী। রাত ৯টার দিকে মহাদেবপুরের আত্রাই নদীর মহিশবাথান ঘাটে বালুমহালে পৌঁছে ট্রাকচালক সেলিম তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
এ সময় তাঁর (নারী) চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে সেলিমকে আটক করে পিটিয়ে বেঁধে রাখে। পরে থানার চাপের মুখে আওয়ামী লীগ নেতা বালুমহাল ইজারাদার মোয়াজ্জেম হাজী থানায় সোপর্দ করেন সেলিমকে। মহাদেবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সিদ্দিকুর রহমান রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বুজরকান্তি গ্রাম থেকে নির্যাতিত মাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম জুয়েল এবং সিদ্দিকুর রহমান জানান, ঘটনা প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।