ঢাকা ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo ’’বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর’ নাম পরিবর্তন’’ নতুন নাম যমুনা রেলসেতু Logo নওগাঁ এডুকেশন ফাউন্ডেশন এর ৫ম তম বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত Logo ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন Logo অ্যাটলির সিনেমায় সালমান খান Logo রূপালী ব্যাংকের শাখায় ডাকাত, জিম্মি কর্মকর্তারা Logo ফিফা আন্তঃমহাদেশীয় কাপে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক Logo যথাসময়ে ইজতেমা, সহিংসতাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo প্রধান উপদেষ্টার বেঁধে দেওয়া সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব: ড. বদিউল আলম Logo কক্সবাজারের পেকুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ নিহত ৫

সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে চার জনের মৃত্যু

সুনামগঞ্জের মানচিত্র

সুনামগঞ্জপ্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর, দিরাই, শাল্লা ওদক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে।শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওরে গরু চরাচ্ছিল  শিপন (৩২) নামে এক রাখাল। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার বাউধরণ গ্রামের বাসিন্দা। এসময় একটি গরুও মারা যায়।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী।

এদিকে সকাল ১০টার দিকে দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের উদগল হাওরের চিনাউরা বন্দে এলাকায় বজ্রপাতে তাপস মিয়া (৩৫) নামে এক ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এসময়ও একটি গরুর মৃত্যু হয়েছে।

তাপস মিয়া হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসূখা
গ্রামের মফিজ উল্লার ছেলে।

এছাড়াও বজ্রপাতে একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জারলিয়া গ্রামের কৃষক নরেশ দাসের একটি গরু মারা গেছে এবং আরেকটি গরু গুরুতরভাবে আহত হয়েছে।

সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান চৌধুরী জানান, তাপস মিয়াসহ একই দলে মোট ২৮ জন শ্রমিক সরমঙ্গল এলাকায় এসে কয়েকদিন ধরে ধান কাটার কাজ করছিলেন।

হঠাৎ বজ্রপাত ও দমকা হাওয়া শুরু হলে শ্রমিকরা দৌড়ে হাওর ছেড়ে গ্রামের দিকে আসতে থাকে। এসময় বজ্রপাতের আঘাতে ঘটনাস্থলে তাপসের মৃত্যু হয়। পরে অন্য শ্রমিকরা হাওর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে সরমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে আসে।

দিরাই থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল  জানান, নিহত শ্রমিক তাপস মিয়ার পরিবারের ইচ্ছায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অপরদিকে শাল্লা উপজেলার নারায়ণপুরে বজ্রপাতে শঙ্কর সরকার (২২) নামে এক কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

সাড়ে ১০টায় নিজ বাড়ি থেকে শাষখাই বাজারে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে। তিনি উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা।

শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়াও দক্ষিণ সুনামগঞ্জের হাওরে গরু নিয়ে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ফরিদ মিয়া (৩৫) নামে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত ফরিদ মিয়া  উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের উত্তর গাজীনগর (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে গাজীরখাল নামক হাওরে ২টি গরু নিয়ে যান ফরিদ মিয়া। এসময় ঝড় শুরু হলে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাত হলে গরুসহ ফরিদের মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

’’বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর’ নাম পরিবর্তন’’ নতুন নাম যমুনা রেলসেতু

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে চার জনের মৃত্যু

আপডেট সময় ০১:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০

সুনামগঞ্জপ্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর, দিরাই, শাল্লা ওদক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে।শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওরে গরু চরাচ্ছিল  শিপন (৩২) নামে এক রাখাল। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার বাউধরণ গ্রামের বাসিন্দা। এসময় একটি গরুও মারা যায়।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী।

এদিকে সকাল ১০টার দিকে দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের উদগল হাওরের চিনাউরা বন্দে এলাকায় বজ্রপাতে তাপস মিয়া (৩৫) নামে এক ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এসময়ও একটি গরুর মৃত্যু হয়েছে।

তাপস মিয়া হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসূখা
গ্রামের মফিজ উল্লার ছেলে।

এছাড়াও বজ্রপাতে একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জারলিয়া গ্রামের কৃষক নরেশ দাসের একটি গরু মারা গেছে এবং আরেকটি গরু গুরুতরভাবে আহত হয়েছে।

সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান চৌধুরী জানান, তাপস মিয়াসহ একই দলে মোট ২৮ জন শ্রমিক সরমঙ্গল এলাকায় এসে কয়েকদিন ধরে ধান কাটার কাজ করছিলেন।

হঠাৎ বজ্রপাত ও দমকা হাওয়া শুরু হলে শ্রমিকরা দৌড়ে হাওর ছেড়ে গ্রামের দিকে আসতে থাকে। এসময় বজ্রপাতের আঘাতে ঘটনাস্থলে তাপসের মৃত্যু হয়। পরে অন্য শ্রমিকরা হাওর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে সরমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে আসে।

দিরাই থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল  জানান, নিহত শ্রমিক তাপস মিয়ার পরিবারের ইচ্ছায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অপরদিকে শাল্লা উপজেলার নারায়ণপুরে বজ্রপাতে শঙ্কর সরকার (২২) নামে এক কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

সাড়ে ১০টায় নিজ বাড়ি থেকে শাষখাই বাজারে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে। তিনি উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা।

শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়াও দক্ষিণ সুনামগঞ্জের হাওরে গরু নিয়ে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ফরিদ মিয়া (৩৫) নামে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত ফরিদ মিয়া  উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের উত্তর গাজীনগর (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে গাজীরখাল নামক হাওরে ২টি গরু নিয়ে যান ফরিদ মিয়া। এসময় ঝড় শুরু হলে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাত হলে গরুসহ ফরিদের মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।