ক্রীড়া ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের কারণে খেলা বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতি হলেও এতদিন বেতন কাটা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি পিএসজি। তবে ক্লাবের পক্ষ থেকে কোনো চাপ আসার আগেই বেতনের ৫০ শতাংশ কম নিতে রাজি হয়েছেন নেইমার-এমবাপ্পেরা।
মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে ইউরোপের শীর্ষ সব ফুটবল লিগের খেলা স্থগিত রাখা হয়েছে। ফলে ক্লাবগুলোর আয়ে বেশ বড় প্রভাব পড়েছে। ক্লাবগুলোর এই দুর্দিনে এগিয়ে আসছেন খেলোয়াড়রা। কোনো কোনো ক্লাব আবার খেলোয়াড়দের বেতন কেটে রাখছে। বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা ৭০ শতাংশ বেতন কম নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। অন্য বড় ক্লাবগুলোর খেলোয়াড়রাও বেতন কাটার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন।
পিএসজির দুর্দিনে কীভাবে এগিয়ে আসা যায় তা নিয়ে আলোচনায় বসেছিল লিগ দে ফুটবল প্রফেশনেল (এলএফপি) এবং ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব প্রফেশনাল ফুটবলারস (ইউএনএফপি)। দুই সংগঠনের আলোচনার পর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে বেতন কম রাখার সিদ্ধান্ত জানান পিএসজি তারকারা।
এলএফপি ও ইউএনএফপি’র সিদ্ধান্তটি খুব শিগগিরই আলোর মুখ দেখবে। দুই সংগঠনের চুক্তি অনুযায়ী, বেতন কাটার ব্যাপারে কোনো খেলোয়াড়কে বাধ্য করা যাবে না। তবে বেতন যদি কাটতেই সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে সীমারেখা টেনে দেওয়া হয়েছে এর চেয়ে বেশি হতে পারবে না।
লে প্যারিসিয়ান’র রিপোর্ট অনুযায়ী, সবার সম্মতি অনুযায়ী যে সীমারেখা টেনে দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ ৫০ শতাংশ বেতন কেটে রাখার ব্যাপারে রাজি পিএসজি তারকারা। মূলত প্যারিসের ক্লাবটি আর্থিকভাবে ফ্রান্সের সবচেয়ে ধনী ক্লাব। ফলে বাকিদের জন্য একটা উদাহরণ তৈরি করতে চায় তারা।
তবে ৫০ শতাংশ বেতন কাটার সিদ্ধান্তটি প্রযোজ্য হবে সেসব খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে যারা প্রতি মাসে কমপক্ষে ১ লাখ ইউরো আয় করেন। লিগ ওয়ানে খেলেন এমন সর্বোচ্চ ৫০ জন খেলোয়াড় পাওয়া যাবে যারা এই বিশাল অঙ্কের অর্থ আয় করেন, যার অধিকাংশ আবার পিএসজি’তে খেলেন।
যেসব খেলোয়াড় প্রতি মাসে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ইউরো পর্যন্ত আয় করেন তাদের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ বেতন কেটে রাখার কথা বলতে পারবেন। আর যারা ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ইউরো পর্যন্ত আয় করেন তাদের ক্ষেত্রে সীমারেখা হলো ৩০ শতাংশ।
১০ হাজার থেকে ২০ হাজার ইউরো আয় করা ফুটবলারদের জন্য ২০ শতাংশ বেতন কাটার সুযোগ থাকছে। যারা এর চেয়েও কম আয় করেন তাদের বেতন কাটা যাবে না।
তবে চুক্তি অনুযায়ী, এখন বেতন কেটে রাখলেও ফুটবল আবার আগের অবস্থায় ফিরলে এই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে হবে ক্লাবগুলোকে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যমগুলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাবে পিএসজি’র আর্থিক ক্ষতি হবে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ফ্রান্সে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৪৯ এবং মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার ২১০। আর সারা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ১০ হাজার ৪৫১ এবং মৃতের সংখ্যা ৯৬ হাজার ৩৮৯।