ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

সরকার এখন চোখে সর্ষে ফুল দেখবে : ফখরুল

রাজনীতি ডেক্স : ডিজেল চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত নির্ভর করে পোষাক শিল্পের ওপরে।

সেই খাতে যখন বিদ্যুত ও জ্বালানি চাহিদার ঘাটতি হলে সমস্যা তৈরি হবে, পরিবহনে সমস্যা সৃষ্টি হবে। জ্বালানি তেল ও বিদ্যুত সম্পূর্ণভাবে অর্থনীতির সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। সেখানে যখন রেশনিং সিস্টেম চালু করা হবে তখন কিন্তু উৎপাদনের হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট থাকবে।

তিনি বলেন, অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটা একটা টেম্পোরারি ম্যাজর। এটাকে কাটাতে হলে তাদের (সরকার) স্থায়ী সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। সেদিকে কিন্তু সরকার যাচ্ছে না। তারা দাম বাড়াচ্ছে না। দাম বাড়ালে জনগণ ভিগড়ে যাচ্ছে। অলরেডি দাম তো বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু অর্থনীতিতে অত্যন্তভাবে ক্ষতির সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আপনি দেখুন যেসব পাওয়ার প্ল্যান্ট কাজ করছে না তাদেরকে পয়সা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে কিন্তু বিরাট অংশ চলে যাচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনেকে ডলারে পে করতে হয়। এই সমস্যাগুলো বলা যেতে পারে সামগ্রিক সমস্যা। এই সমস্যাগুলো সৃষ্টির বিষয়ে আমরা আগেই বলেছি, সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই এবং দুর্নীতি চরম জায়গা পৌঁছেছে। সব জায়গাতে তাদের একটাই লক্ষ্য দুর্নীতি করা। এটা অস্বীকার করলে তো চলবে না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেখা যাচ্ছে প্রায় ৭৮ হাজার কোটি টাকার দিতে হয়েছে কোনো বিদ্যুত উৎপাদন না করেই। এখন যে বলা হচ্ছে ৬টা ডিজেলচালিত বিদ্যুত কেন্দ্র বন্ধ থাকবে, বাকিগুলো কিন্তু পয়সা পেতেই থাকবে। এরা (ছয়টা)ও কিন্তু পয়সা পাবে। পত্রিকায় দেখেছি, ১৭৬০ কোটি টাকা বছরে তাদের জন্য গুনতে হবে। এতে প্রমাণিত শুধুমাত্র দুর্নীতি করার জন্য কোনো বিশেষ বিশেষ কম্পানিকে অর্থ বানানোর সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে তাতে নিজে উপকৃত হওয়ার কারণে এই কাজটা করেছে তারা।

‘‘বিদ্যুৎ না দিয়ে ওইসব কম্পানি মালিকদের এভাবে টাকা দেওয়া হচ্ছে, এরা এভাবে টাকা চুরি করেছে। একদিন তাদেরকে এর হিসাব দিতেই হবে। এই হিসাব না দিয়ে তারা যেতে পারবে না। তাদেরকে জনগণে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। ”

তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটা মেগা প্রজক্টে দুর্নীতির করার জন্য তারা (সরকার) জনগণের পকেট থেকে টাকা কেটে নিয়ে সেই টাকা প্রদান করা হচ্ছে সেটার দিকে তাদের কোনো নজর নেই। যার ফলে কী হয়েছে? আজকে যে সংকট তৈরি হয়েছে তার প্রধান কারণ দুর্নীতি।

সরকার এখন চোখে সর্ষে ফুল দেখবে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা বার বার বলেছি, এমন কোনো পরিকল্পনা, এমন কোনো প্রজেক্ট হাতে নেওয়া উচিত নয় যেটা আমরা চালাতে পারব না। আমরা ওই ধরনের জুতাই কেনা উচিত যে ধরনের জুতা আমি পড়তে পারব, আমাদের পায়ের মাপের বাইরে জুতা কিনলে তা পরা সম্ভব না। আজকে তাই ঘটছে। এটার মূল্য দিতে হচ্ছে জনগণকে। আমি এর নিন্দা জানাচ্ছি এবং আমরা অবিলম্বে এই দুর্নীতির কারণে সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে সোমবার অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তসূমহ সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন মহাসচিব।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গণঅভ্যুত্থানের ডাক বিজেপি নেতার

সরকার এখন চোখে সর্ষে ফুল দেখবে : ফখরুল

আপডেট সময় ০৩:৪৯:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০২২

রাজনীতি ডেক্স : ডিজেল চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত নির্ভর করে পোষাক শিল্পের ওপরে।

সেই খাতে যখন বিদ্যুত ও জ্বালানি চাহিদার ঘাটতি হলে সমস্যা তৈরি হবে, পরিবহনে সমস্যা সৃষ্টি হবে। জ্বালানি তেল ও বিদ্যুত সম্পূর্ণভাবে অর্থনীতির সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। সেখানে যখন রেশনিং সিস্টেম চালু করা হবে তখন কিন্তু উৎপাদনের হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট থাকবে।

তিনি বলেন, অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটা একটা টেম্পোরারি ম্যাজর। এটাকে কাটাতে হলে তাদের (সরকার) স্থায়ী সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। সেদিকে কিন্তু সরকার যাচ্ছে না। তারা দাম বাড়াচ্ছে না। দাম বাড়ালে জনগণ ভিগড়ে যাচ্ছে। অলরেডি দাম তো বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু অর্থনীতিতে অত্যন্তভাবে ক্ষতির সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আপনি দেখুন যেসব পাওয়ার প্ল্যান্ট কাজ করছে না তাদেরকে পয়সা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে কিন্তু বিরাট অংশ চলে যাচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনেকে ডলারে পে করতে হয়। এই সমস্যাগুলো বলা যেতে পারে সামগ্রিক সমস্যা। এই সমস্যাগুলো সৃষ্টির বিষয়ে আমরা আগেই বলেছি, সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই এবং দুর্নীতি চরম জায়গা পৌঁছেছে। সব জায়গাতে তাদের একটাই লক্ষ্য দুর্নীতি করা। এটা অস্বীকার করলে তো চলবে না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেখা যাচ্ছে প্রায় ৭৮ হাজার কোটি টাকার দিতে হয়েছে কোনো বিদ্যুত উৎপাদন না করেই। এখন যে বলা হচ্ছে ৬টা ডিজেলচালিত বিদ্যুত কেন্দ্র বন্ধ থাকবে, বাকিগুলো কিন্তু পয়সা পেতেই থাকবে। এরা (ছয়টা)ও কিন্তু পয়সা পাবে। পত্রিকায় দেখেছি, ১৭৬০ কোটি টাকা বছরে তাদের জন্য গুনতে হবে। এতে প্রমাণিত শুধুমাত্র দুর্নীতি করার জন্য কোনো বিশেষ বিশেষ কম্পানিকে অর্থ বানানোর সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে তাতে নিজে উপকৃত হওয়ার কারণে এই কাজটা করেছে তারা।

‘‘বিদ্যুৎ না দিয়ে ওইসব কম্পানি মালিকদের এভাবে টাকা দেওয়া হচ্ছে, এরা এভাবে টাকা চুরি করেছে। একদিন তাদেরকে এর হিসাব দিতেই হবে। এই হিসাব না দিয়ে তারা যেতে পারবে না। তাদেরকে জনগণে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। ”

তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটা মেগা প্রজক্টে দুর্নীতির করার জন্য তারা (সরকার) জনগণের পকেট থেকে টাকা কেটে নিয়ে সেই টাকা প্রদান করা হচ্ছে সেটার দিকে তাদের কোনো নজর নেই। যার ফলে কী হয়েছে? আজকে যে সংকট তৈরি হয়েছে তার প্রধান কারণ দুর্নীতি।

সরকার এখন চোখে সর্ষে ফুল দেখবে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা বার বার বলেছি, এমন কোনো পরিকল্পনা, এমন কোনো প্রজেক্ট হাতে নেওয়া উচিত নয় যেটা আমরা চালাতে পারব না। আমরা ওই ধরনের জুতাই কেনা উচিত যে ধরনের জুতা আমি পড়তে পারব, আমাদের পায়ের মাপের বাইরে জুতা কিনলে তা পরা সম্ভব না। আজকে তাই ঘটছে। এটার মূল্য দিতে হচ্ছে জনগণকে। আমি এর নিন্দা জানাচ্ছি এবং আমরা অবিলম্বে এই দুর্নীতির কারণে সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে সোমবার অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তসূমহ সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন মহাসচিব।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471