ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তৃতীয় দিনেই ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ

শেষ পর্যন্ত লিটন দাসের শতকও থামাতে পারল না বাংলাদেশের ইনিংস পরাজয়। ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ফলে দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ও ১১৭ রানে পরাজিত হলো বাংলাদেশ।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে হারের ফলে ১-১ সমতায় শেষ হলো সিরিজ।

এদিকে সবাইকে অবাক করে নিজের শেষ টেস্টে বোলিং করেন রস টেইলর। আর সরনিও শেষ টেস্টে উইকেটও পান তৃতীয় বলেই। শরিফুলকে আউট করে টেস্ট ক্রিকেটের ইতি টানলেন টেইলর। এদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে কিউইদের হয়ে ৪ উইকেট পেয়েছেন কাইল জেমিসন এবং তিনটি উইকেট পেয়েছেন ওয়াগনার।

এদিকে ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমেও বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন লিটন দাস। দ্বিতীয় ইনিংসেও যেখানে সবাই ব্যর্থ, সেখানে নিজের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে ফেলেন তিনি। তবে শতক করে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটন। ১০২ রানে জেমিসনের বলে কাঁটা পড়েন লিটন।

এদিকে তৃতীয় দিনের শুরুতে ওপেনার সাদমান এবং নাজমুলকে হারানোর পর দেখে শুনে খেলছিলেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক এবং মোহাম্মদ নাঈম। তবে তারাও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। আর প্রথম ইনিংসে ফিফটি হাঁকানো ইয়াসিরও ফিরে যান মাত্র ২ রান করেই। এরপর শত রানের জুটি গড়ে দলের হাল ধরেন লিটন ও নুরুল। তবে নুরুল আউট হলে একসময় একাই লড়ে যান লিটন। তবে লিটন যখন শতক করে আউট হওয়ার পর প্যাভিলিয়নে ফেরেন, তখনই শেষ হয় যায় সব আশা। আর তারপর ইনিংস পরাজয় আর এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।

৩৯৫ রানে পিছিয়ে থাকায় যেখানে ইনিংস মেরামতই মূল লক্ষ্য সেখানে তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত ২ উইকেট হারিয়ে ৭৪ রান তুলতে পেরেছিল সফরকারীরা।

হ্যাগলি ওভালে দ্বিতীয় দিন শেষে ১২৬ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়ে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল ৩৯৫ রানে। ফলোঅনে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসেও স্বস্তি এনে দিতে পারেনি ওপেনাররা। তবে প্রায় ঘণ্টাখানেক প্রতিরোধ গড়ে কিউইদের হতাশ করতে পেরেছে সাদমান ইসলাম ও নাঈম জুটি।

কিন্তু দলীয় স্কোর যখন ২৭ তখনই বিপদ ডেকে আনেন সাদমান। ১৪তম ওভারে কাইল জেমিসনের লেগ স্টাম্পের বাইরের বল ছেড়ে দিলেও দিতে পারতেন। কিন্তু অলস ভঙ্গিতে খেলতে গিয়ে টম ব্লান্ডেলের অসাধারণ এক ক্যাচে পরিণত হন তিনি।
প্রায় ঘণ্টা খানেক ক্রিজে পড়ে থাকলেও বামহাতি এই ব্যাটার সাজঘরে ফিরেছেন ৪৮ বলে ২১ রান করে। তার ২১ রানের ইনিংসে ছিল ৩টি চার। প্রথম ইনিংসেও ব্যর্থ হওয়া সাদমান করতে পেরেছিলেন মাত্র ৭ রান। কিন্তু নিল ওয়াগনারের শর্ট ডেলিভারিতে আর শেষ রক্ষা হয়নি শান্তর। ৩৬ বলে ২৯ রান করেন তিনি।

এদিকে সবশেষ ৩ টেস্টের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ফলোঅনে পড়ে বাংলাদেশ। সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল তারা।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

তৃতীয় দিনেই ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ

আপডেট সময় ১১:৫৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২

শেষ পর্যন্ত লিটন দাসের শতকও থামাতে পারল না বাংলাদেশের ইনিংস পরাজয়। ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ফলে দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ও ১১৭ রানে পরাজিত হলো বাংলাদেশ।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে হারের ফলে ১-১ সমতায় শেষ হলো সিরিজ।

এদিকে সবাইকে অবাক করে নিজের শেষ টেস্টে বোলিং করেন রস টেইলর। আর সরনিও শেষ টেস্টে উইকেটও পান তৃতীয় বলেই। শরিফুলকে আউট করে টেস্ট ক্রিকেটের ইতি টানলেন টেইলর। এদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে কিউইদের হয়ে ৪ উইকেট পেয়েছেন কাইল জেমিসন এবং তিনটি উইকেট পেয়েছেন ওয়াগনার।

এদিকে ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমেও বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন লিটন দাস। দ্বিতীয় ইনিংসেও যেখানে সবাই ব্যর্থ, সেখানে নিজের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে ফেলেন তিনি। তবে শতক করে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটন। ১০২ রানে জেমিসনের বলে কাঁটা পড়েন লিটন।

এদিকে তৃতীয় দিনের শুরুতে ওপেনার সাদমান এবং নাজমুলকে হারানোর পর দেখে শুনে খেলছিলেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক এবং মোহাম্মদ নাঈম। তবে তারাও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। আর প্রথম ইনিংসে ফিফটি হাঁকানো ইয়াসিরও ফিরে যান মাত্র ২ রান করেই। এরপর শত রানের জুটি গড়ে দলের হাল ধরেন লিটন ও নুরুল। তবে নুরুল আউট হলে একসময় একাই লড়ে যান লিটন। তবে লিটন যখন শতক করে আউট হওয়ার পর প্যাভিলিয়নে ফেরেন, তখনই শেষ হয় যায় সব আশা। আর তারপর ইনিংস পরাজয় আর এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।

৩৯৫ রানে পিছিয়ে থাকায় যেখানে ইনিংস মেরামতই মূল লক্ষ্য সেখানে তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত ২ উইকেট হারিয়ে ৭৪ রান তুলতে পেরেছিল সফরকারীরা।

হ্যাগলি ওভালে দ্বিতীয় দিন শেষে ১২৬ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়ে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল ৩৯৫ রানে। ফলোঅনে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসেও স্বস্তি এনে দিতে পারেনি ওপেনাররা। তবে প্রায় ঘণ্টাখানেক প্রতিরোধ গড়ে কিউইদের হতাশ করতে পেরেছে সাদমান ইসলাম ও নাঈম জুটি।

কিন্তু দলীয় স্কোর যখন ২৭ তখনই বিপদ ডেকে আনেন সাদমান। ১৪তম ওভারে কাইল জেমিসনের লেগ স্টাম্পের বাইরের বল ছেড়ে দিলেও দিতে পারতেন। কিন্তু অলস ভঙ্গিতে খেলতে গিয়ে টম ব্লান্ডেলের অসাধারণ এক ক্যাচে পরিণত হন তিনি।
প্রায় ঘণ্টা খানেক ক্রিজে পড়ে থাকলেও বামহাতি এই ব্যাটার সাজঘরে ফিরেছেন ৪৮ বলে ২১ রান করে। তার ২১ রানের ইনিংসে ছিল ৩টি চার। প্রথম ইনিংসেও ব্যর্থ হওয়া সাদমান করতে পেরেছিলেন মাত্র ৭ রান। কিন্তু নিল ওয়াগনারের শর্ট ডেলিভারিতে আর শেষ রক্ষা হয়নি শান্তর। ৩৬ বলে ২৯ রান করেন তিনি।

এদিকে সবশেষ ৩ টেস্টের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ফলোঅনে পড়ে বাংলাদেশ। সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল তারা।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471