ঢাকা ১০:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo নওগাঁয় নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান, পরিচালককে কারাদণ্ড Logo ডিবিসির সাংবাদিক সাজুর উপর হামলাকারী কনক কে ১০ দিনেও আটক করতে পারেনি পুলিশ Logo ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৫৮০ Logo পৃথিবীর কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব Logo নওগাঁ ভর্তি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে মারধর Logo পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা Logo ৫ বছর পর দেশে এসেছেন শাবানা Logo নুরাল পাগলের কবর ভাঙচুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ নেতা গ্রেপ্তার Logo মার্কিন বাণিজ্যে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে মিত্র দেশগুলো, ট্রাম্পের নতুন আদেশ Logo বরগুনায় নিজ বসতঘর থেকে স্ত্রীর গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ত্রিপুরার কফি চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে পাড়ি দিচ্ছে ইংল্যান্ডে

স্টাফ রিপোর্টারঃ চায়ের পাশাপাশি কফি ত্রিপুরা রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় ও লাভজনক বাগিচা পণ্য হয়ে উঠছে, এমনটাই অভিমত কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার।

কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সটেনশন অফিসার অসীম কর জানান, ত্রিপুরা রাজ্যে বর্তমানে মোট ৪৯৮টি কফি বাগান রয়েছে।হেক্টর হিসাবে মোট ৪০০ হেক্টর জায়গা জুড়ে এসব বাগান।

এগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং এসবের যারা মালিক তারা ক্ষুদ্র কফি চাষি। তাদের এক হেক্টর বা তারও বেশি জায়গা জুড়ে বাগান রয়েছে। তবে কফি চাষীদের চারাগাছ লাগিয়ে বাগান তৈরি, প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে আর্থিক সহায়তা সব কিছু করে থাকে কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়া।

তিনি আরও জানান, ত্রিপুরা রাজ্যের বোর্ডের অফিসটি রয়েছে ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট এলাকায়। এখান থেকে সারা রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কফি বাগানের কাজ কর্ম পরিচালনা করা হয়।

এই বাগানগুলোর মধ্যে ২০০ হেক্টর জমির বাগান থেকে কফি উৎপাদিত হচ্ছে। এর বেশির ভাগ উৎপাদন হচ্ছে উত্তর জেলার জম্পুই পাহাড় ও দক্ষিণ জেলার রূপাইছড়ি এলাকার বাগানগুলো থেকে।

কফি দুই ধরনের রয়েছে। এগুলো হলো- অ্যারাভিকা এবং রোভাস্টা। ত্রিপুরা রাজ্যে দুই ভ্যারাইটির কফিই চাষ হচ্ছে। অ্যারাভিকা মূলত উঁচু ও অপেক্ষাকৃত শীতল জায়গায় চাষ হয়।

ত্রিপুরা জম্পুই পাহাড় এই ধরনের কফি চাষের জন্য উপযুক্ত ও এখানে এই জাতের কফির ফলন হচ্ছে। আর রাজ্যের বাকি এলাকায় চাষ হচ্ছে রোভাস্টা প্রজাতির কফি, যোগ করেন তিনি। এই কর্মকর্তা আরও জানান, এবছর সব মিলিয়ে প্রায় ২০ মেট্রিক টন কফি উৎপাদিত হয়েছে রাজ্যের বাগানগুলো থেকে।

এই রাজ্যে উৎপাদিত কফি অন্য রাজ্যে রপ্তানি করা হচ্ছে এবং দক্ষিণ জেলায় উৎপাদিত কফি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি দিচ্ছে। চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী বর্তমানে ইংল্যান্ডে রয়েছেন। তিনি প্রতি বছর ত্রিপুরার রূপাইছড়ি এলাকার কফি কিনে নিচ্ছেন।

ত্রিপুরা রাজ্যে দিন দিন কফির উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এখানে কফি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা আছে কি? এর উত্তরে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার যদি কফি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র চালু করে তবে চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে।

তবে একটি কফি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের জন্য ন্যূনতম ৫০ মেট্রিক টন কফির প্রয়োজন হয় বছরে। তবে খুব দ্রুত ত্রিপুরা রাজ্য এই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ কফি উৎপাদিত হবে।

ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তর হচ্ছে কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার নোডাল এজেন্সি। তাই শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রধান সচিব হচ্ছেন, কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার সদস্য। ফলে কফি চাষিদের কথা চিন্তা করে আগামী দিনে রাজ্যে একটি কফি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র চালু করতেই পারে রাজ্য সরকার।

ট্যাগস

নওগাঁয় নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান, পরিচালককে কারাদণ্ড

ত্রিপুরার কফি চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে পাড়ি দিচ্ছে ইংল্যান্ডে

আপডেট সময় ১১:৪১:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ চায়ের পাশাপাশি কফি ত্রিপুরা রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় ও লাভজনক বাগিচা পণ্য হয়ে উঠছে, এমনটাই অভিমত কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার।

কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সটেনশন অফিসার অসীম কর জানান, ত্রিপুরা রাজ্যে বর্তমানে মোট ৪৯৮টি কফি বাগান রয়েছে।হেক্টর হিসাবে মোট ৪০০ হেক্টর জায়গা জুড়ে এসব বাগান।

এগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং এসবের যারা মালিক তারা ক্ষুদ্র কফি চাষি। তাদের এক হেক্টর বা তারও বেশি জায়গা জুড়ে বাগান রয়েছে। তবে কফি চাষীদের চারাগাছ লাগিয়ে বাগান তৈরি, প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে আর্থিক সহায়তা সব কিছু করে থাকে কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়া।

তিনি আরও জানান, ত্রিপুরা রাজ্যের বোর্ডের অফিসটি রয়েছে ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট এলাকায়। এখান থেকে সারা রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কফি বাগানের কাজ কর্ম পরিচালনা করা হয়।

এই বাগানগুলোর মধ্যে ২০০ হেক্টর জমির বাগান থেকে কফি উৎপাদিত হচ্ছে। এর বেশির ভাগ উৎপাদন হচ্ছে উত্তর জেলার জম্পুই পাহাড় ও দক্ষিণ জেলার রূপাইছড়ি এলাকার বাগানগুলো থেকে।

কফি দুই ধরনের রয়েছে। এগুলো হলো- অ্যারাভিকা এবং রোভাস্টা। ত্রিপুরা রাজ্যে দুই ভ্যারাইটির কফিই চাষ হচ্ছে। অ্যারাভিকা মূলত উঁচু ও অপেক্ষাকৃত শীতল জায়গায় চাষ হয়।

ত্রিপুরা জম্পুই পাহাড় এই ধরনের কফি চাষের জন্য উপযুক্ত ও এখানে এই জাতের কফির ফলন হচ্ছে। আর রাজ্যের বাকি এলাকায় চাষ হচ্ছে রোভাস্টা প্রজাতির কফি, যোগ করেন তিনি। এই কর্মকর্তা আরও জানান, এবছর সব মিলিয়ে প্রায় ২০ মেট্রিক টন কফি উৎপাদিত হয়েছে রাজ্যের বাগানগুলো থেকে।

এই রাজ্যে উৎপাদিত কফি অন্য রাজ্যে রপ্তানি করা হচ্ছে এবং দক্ষিণ জেলায় উৎপাদিত কফি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি দিচ্ছে। চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী বর্তমানে ইংল্যান্ডে রয়েছেন। তিনি প্রতি বছর ত্রিপুরার রূপাইছড়ি এলাকার কফি কিনে নিচ্ছেন।

ত্রিপুরা রাজ্যে দিন দিন কফির উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এখানে কফি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা আছে কি? এর উত্তরে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার যদি কফি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র চালু করে তবে চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে।

তবে একটি কফি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের জন্য ন্যূনতম ৫০ মেট্রিক টন কফির প্রয়োজন হয় বছরে। তবে খুব দ্রুত ত্রিপুরা রাজ্য এই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ কফি উৎপাদিত হবে।

ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তর হচ্ছে কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার নোডাল এজেন্সি। তাই শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রধান সচিব হচ্ছেন, কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার সদস্য। ফলে কফি চাষিদের কথা চিন্তা করে আগামী দিনে রাজ্যে একটি কফি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র চালু করতেই পারে রাজ্য সরকার।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471