ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরও ১৫১ ফিলিস্তিনি নিহত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা আরও জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। রোববার (১৮ মে) দিনভর অভিযান চালিয়ে সেখানে ১৫১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে তারা।

চিকিৎসা সূত্রের বরাতে সোমবার (১৯ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।চিকিৎসা সূত্র জানায়, নিহতদের মধ্যে প্রায় ৭০ জনই গাজার উত্তরাঞ্চল এবং গাজা সিটির বাসিন্দা।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ।

দীর্ঘ ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের পর আন্তর্জাতিক চাপ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর হস্তক্ষেপে গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। কিন্তু তার দুই মাস না যেতেই, ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দ্বিতীয় দফার এ হামলায় গত দুই মাসে নিহত হয়েছেন ৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ৮ হাজারেরও বেশি।

এদিকে, হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের মধ্যে এখনো অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের সামরিক অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধারের পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল, যার কারণে গাজায় হামলার তীব্রতা আরও বাড়ানো হয়েছে।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একাধিকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এমনকি জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসেও (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

তবে নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি নিঃশেষ এবং অকার্যকর করা এবং সব জিম্মিকে মুক্ত করা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।

ট্যাগস

গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরও ১৫১ ফিলিস্তিনি নিহত

আপডেট সময় ১২:১৭:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা আরও জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। রোববার (১৮ মে) দিনভর অভিযান চালিয়ে সেখানে ১৫১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে তারা।

চিকিৎসা সূত্রের বরাতে সোমবার (১৯ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।চিকিৎসা সূত্র জানায়, নিহতদের মধ্যে প্রায় ৭০ জনই গাজার উত্তরাঞ্চল এবং গাজা সিটির বাসিন্দা।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ।

দীর্ঘ ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের পর আন্তর্জাতিক চাপ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর হস্তক্ষেপে গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। কিন্তু তার দুই মাস না যেতেই, ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দ্বিতীয় দফার এ হামলায় গত দুই মাসে নিহত হয়েছেন ৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ৮ হাজারেরও বেশি।

এদিকে, হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের মধ্যে এখনো অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের সামরিক অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধারের পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল, যার কারণে গাজায় হামলার তীব্রতা আরও বাড়ানো হয়েছে।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একাধিকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এমনকি জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসেও (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

তবে নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি নিঃশেষ এবং অকার্যকর করা এবং সব জিম্মিকে মুক্ত করা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।