ঢাকা ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে সাময়িক বিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। ক্রেমলিন জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি ৮ মে থেকে ১১ মে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি উপলক্ষে বিজয় উদযাপনের সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুতিন ‘মানবিক বিবেচনায়’ এই যুদ্ধবিরতির নির্দেশ দিয়েছেন। বিবৃতির অনুবাদে বলা হয়েছে, ‘রাশিয়া মনে করে, ইউক্রেনীয় পক্ষেরও উচিত এই উদাহরণ অনুসরণ করা।

যদি ইউক্রেনীয় বাহিনী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে, তাহলে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী উপযুক্ত ও কার্যকর জবাব দেবে। রাশিয়া আবারও শান্তি আলোচনায় কোনো শর্ত ছাড়া অংশ নিতে প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করছে, যার লক্ষ্য হবে ইউক্রেন সংকটের মূল কারণগুলো দূরীকরণ ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে গঠনমূলক সহযোগিতা।’

ইউক্রেন অবশ্য এখনো এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এর আগে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার উপলক্ষে ৩০ ঘণ্টার একটি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল ক্রেমলিন।

তবে উভয় পক্ষই তখন লড়াই কিছুটা কমালেও শত শত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছিল একে অপরের বিরুদ্ধে।

ইউক্রেনে এর আগে ২০ বারের বেশি যুদ্ধবিরতি চেষ্টার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সব কটিই শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে, অনেক সময় কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই। সবশেষ ইস্টার যুদ্ধবিরতি ছিল খুবই সীমিত পরিসরে এবং এতে মাত্র সামান্য লড়াই কমেছিল। কিন্তু উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছিল।

রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে সময়টিকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছে, তার মধ্যে এই নতুন ঘোষণা এলো। ওয়াশিংটন দুই পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা করানোর চেষ্টা করছে, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন হুমকি দিয়েছে, অগ্রগতি না হলে তারা আলোচনার চেষ্টা থেকে সরে আসবে।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের

আপডেট সময় ০৭:৩৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে সাময়িক বিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। ক্রেমলিন জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি ৮ মে থেকে ১১ মে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি উপলক্ষে বিজয় উদযাপনের সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুতিন ‘মানবিক বিবেচনায়’ এই যুদ্ধবিরতির নির্দেশ দিয়েছেন। বিবৃতির অনুবাদে বলা হয়েছে, ‘রাশিয়া মনে করে, ইউক্রেনীয় পক্ষেরও উচিত এই উদাহরণ অনুসরণ করা।

যদি ইউক্রেনীয় বাহিনী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে, তাহলে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী উপযুক্ত ও কার্যকর জবাব দেবে। রাশিয়া আবারও শান্তি আলোচনায় কোনো শর্ত ছাড়া অংশ নিতে প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করছে, যার লক্ষ্য হবে ইউক্রেন সংকটের মূল কারণগুলো দূরীকরণ ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে গঠনমূলক সহযোগিতা।’

ইউক্রেন অবশ্য এখনো এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এর আগে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার উপলক্ষে ৩০ ঘণ্টার একটি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল ক্রেমলিন।

তবে উভয় পক্ষই তখন লড়াই কিছুটা কমালেও শত শত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছিল একে অপরের বিরুদ্ধে।

ইউক্রেনে এর আগে ২০ বারের বেশি যুদ্ধবিরতি চেষ্টার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সব কটিই শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে, অনেক সময় কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই। সবশেষ ইস্টার যুদ্ধবিরতি ছিল খুবই সীমিত পরিসরে এবং এতে মাত্র সামান্য লড়াই কমেছিল। কিন্তু উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছিল।

রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে সময়টিকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছে, তার মধ্যে এই নতুন ঘোষণা এলো। ওয়াশিংটন দুই পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা করানোর চেষ্টা করছে, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন হুমকি দিয়েছে, অগ্রগতি না হলে তারা আলোচনার চেষ্টা থেকে সরে আসবে।