ঢাকা ০৬:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনশনরত শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিতে কুয়েটে শিক্ষা উপদেষ্টা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে ক্যাম্পাসে এসেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সি আর আবরার। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০টার দিকে তিনি ক্যাম্পাসে পৌঁছান।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। উপদেষ্টা অনশনরত শিক্ষার্থীদের সামনে বসে তাদের সঙ্গে কথা বলেন। কীভাবে ছয় দফা থেকে উপাচার্য পদত্যাগের এক দফা দাবি পরিণত হলো, সেই বিষয়টি শিক্ষার্থীরা জানান। তারা উপাচার্যের অপসারণ ছাড়া কোনোভাবেই অনশন কর্মসূচি থেকে সরে আসবেন না বলেও উপদেষ্টাকে জানান।

উপদেষ্টা বলেন, ‘এই প্রচণ্ড গরমে অনশন চালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। অনুগ্রহ করে শারীরিক সুস্থতা বিবেচনায় এনে অনশন প্রত্যাহার করুন।’

তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো সরকার গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং তা সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদল এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে, যাতে অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় একাডেমিক কার্যক্রম ও হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

তবে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিক্ষার্থীরা গত ১৩ এপ্রিল থেকে পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন এবং ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

অনশনরত শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিতে কুয়েটে শিক্ষা উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১১:৩৯:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে ক্যাম্পাসে এসেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সি আর আবরার। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০টার দিকে তিনি ক্যাম্পাসে পৌঁছান।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। উপদেষ্টা অনশনরত শিক্ষার্থীদের সামনে বসে তাদের সঙ্গে কথা বলেন। কীভাবে ছয় দফা থেকে উপাচার্য পদত্যাগের এক দফা দাবি পরিণত হলো, সেই বিষয়টি শিক্ষার্থীরা জানান। তারা উপাচার্যের অপসারণ ছাড়া কোনোভাবেই অনশন কর্মসূচি থেকে সরে আসবেন না বলেও উপদেষ্টাকে জানান।

উপদেষ্টা বলেন, ‘এই প্রচণ্ড গরমে অনশন চালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। অনুগ্রহ করে শারীরিক সুস্থতা বিবেচনায় এনে অনশন প্রত্যাহার করুন।’

তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো সরকার গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং তা সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদল এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে, যাতে অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় একাডেমিক কার্যক্রম ও হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

তবে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিক্ষার্থীরা গত ১৩ এপ্রিল থেকে পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন এবং ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।