মুম্বইয়ের বাস দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত অন্তত ৪৯ জন। নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্রের ‘মহাজুটি’ সরকার।
সোমবার রাত পৌনে ১০টা নাগাদ মুম্বইয়ে কুরলা এলাকায় যাত্রিবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩০-৪০টি গাড়িতে ধাক্কা মেরে ফুটপাথে উঠে যায়। তার পর একটি আবাসনের মূল ফটকে ধাক্কা মারে। এই দুর্ঘটনায় প্রথমে চার জন পথচারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। পরে পুলিশের তরফে জানানো হয়, নিহতের সংখ্যা ছয়।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র সরকারের অধীনস্থ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বৃহন্মুম্বই ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট আন্ডারটেকিং (বেস্ট)-এর বাস ছিল সেটি। ওই বাস যাত্রীদের নিয়ে কুরলা স্টেশন থেকে আন্ধেরির উদ্দেশে যাচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হঠাৎই বাসটির গতি বাড়তে থাকে। গতি কমানোর জন্য চিৎকার করতে থাকেন যাত্রীরা। তার পরেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা।এই প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের অন্যতম ডেপুটি পুলিশ কমিশনার গণেশ গাওড়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, “কুরলায় একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কিছু গাড়িতে ধাক্কা মেরেছে।
আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।সোমবার রাতেই বাসচালক সঞ্জয় মোরেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চালকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু হয়েছে। বাস চালানোর সময় তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনাস্থলে যান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। তদন্তের পরে কী কারণে দুর্ঘটনা, তা বোঝা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাসটির কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।