ঢাকা ০৬:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা Logo আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার Logo আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বাহারুল আলম Logo সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পালমিরা শহরে ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলায়, নিহত ৩৬, আহত ৫০ Logo ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় চালকদের বিক্ষোভ Logo নওগাঁয় প্রকাশ্যে যুবককে কুপিয়ে হত্যা Logo ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট

আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের নিরাপত্তা চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন

শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা আত্মগোপনে। এ সময়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ অধিকাংশ কার্যালয় ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। অনেক কার্যালয় বিভিন্ন দল দখল করেছে, আগুন দিয়ে পুড়িয়েও দেওয়া হয়েছে কার্যালয়গুলো।এরই মধ্যে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ সংস্কারের লক্ষ্যে এবং দলীয় কার্যালয়ের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।গত ১৬ অক্টোবর এই আবেদন করা হয়।

আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, দলটির পক্ষ থেকে জাতীয় শ্রমিক লীগের একজন নেতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদনটি করেছেন। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক কার্যালয়টি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে আছে।সেখানে ভবঘুরেরা নিয়মিত যাতায়াত করে। প্রায় একই রকম অবস্থায় পরিণত হয়েছে ধানমণ্ডিতে অবস্থিত দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ও।

এ ছাড়া বেদখল হয়ে আছে তেজগাঁওয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পরিচালিত হতো।আর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কার্যালয় থেকে মূল দলের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রাথমিকভাবে ঢাকার মূল তিন কার্যালয় নিজেদের দখলে নিতে চায় আওয়ামী লীগ।আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সাংগঠনিক সম্পাদক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দেশের আইন-শৃঙ্খলা বিশৃঙ্খল হয়ে আছে। আমাদের নেতাকর্মীরা এলাকায় থাকতে পারছেন না।

পল্টন থানার এক মামলায় কেন্দ্রীয় কমিটির সবাইকে আসামি করা হয়েছে।বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের জানমালের নিরাপত্তা নেই। পুড়ে যাওয়া কার্যালয়গুলো মেরামত করতে দেওয়া হচ্ছে না। থানায় গিয়ে মামলা করা তো অনেক দূরের কথা, একটা জিডি পর্যন্ত করা যাচ্ছে না।’গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের ১০ হাজারের মতো দলীয় স্থাপনায় হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। গত ৪ সেপ্টেম্বর দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছিলেন তিনি।

বিবৃতিতে নানক দাবি করেছিলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়সহ সারা দেশে ১০ হাজারের মতো দলীয় স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্মৃতিবিজড়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবন ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ভস্মীভূত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর শেষ স্মৃতি চিহ্নটুকুও মুছে ফেলা হয়েছে।’

ট্যাগস

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের নিরাপত্তা চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন

আপডেট সময় ০৪:৪০:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা আত্মগোপনে। এ সময়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ অধিকাংশ কার্যালয় ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। অনেক কার্যালয় বিভিন্ন দল দখল করেছে, আগুন দিয়ে পুড়িয়েও দেওয়া হয়েছে কার্যালয়গুলো।এরই মধ্যে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ সংস্কারের লক্ষ্যে এবং দলীয় কার্যালয়ের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।গত ১৬ অক্টোবর এই আবেদন করা হয়।

আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, দলটির পক্ষ থেকে জাতীয় শ্রমিক লীগের একজন নেতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদনটি করেছেন। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক কার্যালয়টি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে আছে।সেখানে ভবঘুরেরা নিয়মিত যাতায়াত করে। প্রায় একই রকম অবস্থায় পরিণত হয়েছে ধানমণ্ডিতে অবস্থিত দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ও।

এ ছাড়া বেদখল হয়ে আছে তেজগাঁওয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পরিচালিত হতো।আর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কার্যালয় থেকে মূল দলের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রাথমিকভাবে ঢাকার মূল তিন কার্যালয় নিজেদের দখলে নিতে চায় আওয়ামী লীগ।আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সাংগঠনিক সম্পাদক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দেশের আইন-শৃঙ্খলা বিশৃঙ্খল হয়ে আছে। আমাদের নেতাকর্মীরা এলাকায় থাকতে পারছেন না।

পল্টন থানার এক মামলায় কেন্দ্রীয় কমিটির সবাইকে আসামি করা হয়েছে।বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের জানমালের নিরাপত্তা নেই। পুড়ে যাওয়া কার্যালয়গুলো মেরামত করতে দেওয়া হচ্ছে না। থানায় গিয়ে মামলা করা তো অনেক দূরের কথা, একটা জিডি পর্যন্ত করা যাচ্ছে না।’গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের ১০ হাজারের মতো দলীয় স্থাপনায় হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। গত ৪ সেপ্টেম্বর দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছিলেন তিনি।

বিবৃতিতে নানক দাবি করেছিলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়সহ সারা দেশে ১০ হাজারের মতো দলীয় স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্মৃতিবিজড়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবন ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ভস্মীভূত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর শেষ স্মৃতি চিহ্নটুকুও মুছে ফেলা হয়েছে।’