গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের পেসারদের পারফরম্যান্সের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। সেই ধারায় অনন্য একটি অর্জনের অভিজ্ঞতা মিলল তাদের। টেস্টে প্রথমবার কোনো ইনিংসে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেটের সবগুলো নিলেন তারা।
সোমবার রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনে আগুনঝরা বোলিং করেন হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। এই দুই তরুণের তাণ্ডবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অভিজ্ঞ তাসকিন আহমেদ। পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রান গুটিয়ে দেওয়ার পথে ১০ উইকেটের সবগুলোই মিলেমিশে নেন তারা।
১০.৪ ওভারে ৪৩ রানে ৫ উইকেট নেন হাসান। সুইং আদায়ের পাশাপাশি তিনি ছিলেন লাইন ও লেংথে নিখুঁত। গতি আর বাউন্স দিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটারদের রীতিমতো নাজেহাল করেন নাহিদ। ১১ ওভারে তার শিকার ৪৪ রানে ৪ উইকেট। তাসকিন ১ উইকেট নিতে ১০ ওভারে খরচ করেন ৪০ রান।
ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ স্পিননির্ভর হলেও ক্রমেই পেসারদের দাপট হয়ে উঠছে লক্ষণীয়। এবার হাসান, নাহিদ ও তাসকিন মিলে গড়লেন স্মরণীয় কীর্তি। এর আগে চারবার ইনিংসে ৯ করে উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখান টাইগার পেসাররা।
তিন টেস্টের ক্যারিয়ারে ২৪ বছর বয়সী হাসান নিলেন প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সপ্তম পেসার হিসেবে এই সংস্করণে এক ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন তিনি। পাকিস্তানের মাটিতে তো বটেই, পাকিস্তানের বিপক্ষেই তিনিই প্রথম।
টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেট শিকার করা আগের বাংলাদেশিরা সবাই ছিলেন স্পিনার। তারা হলেন মোহাম্মদ রফিক, তাইজুল ইসলাম, সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এদের মধ্যে রফিক ও তাইজুল দুবার করে এই স্বাদ নেন।