বিপুল পরিমাণ ভোটার উপস্থিত না হলে দেশ-বিদেশে শেখ হাসিনার সম্মান থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। গতকাল রোববার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহেরাতৈল ইউনিয়নের আটটি পথসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এবার ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে হবে। কেন্দ্রে ভোটার না এলে আমার কিছু হবে না। সরকারি দলের লোকদের উচিত ভোটারদের পায়ে ধরে কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। তা না হলে সারা দুনিয়ায় শেখ হাসিনার সম্মান থাকবে না। শেখ হাসিনার সম্মান বাঁচাইতে হইলে ভোটকেন্দ্রে ভোটার নিতে হবে। কোন দল নির্বাচনে এল, আর না এল—এটা বড় কথা নয়। যাদের জন্য ভোট, তারা ভোটকেন্দ্রে গেল কি না, এটাই বড় কথা। এই ভোট নিয়ে শেখ হাসিনা যে কত কষ্টে আছে, তা শেখ হাসিনা বুঝলেও এখানকার আওয়ামী লীগাররা বুঝে না।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে নিজের দল থেকে গামছা প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন অনুপম শাহজাহান ওরফে জয়। এ ছাড়া এ আসনে আরও চারজন রেজাউল করিম (জাতীয় পার্টি), পারুল আক্তার (তৃণমূল বিএনপি), আবুল হাশেম (বিকল্পধারা বাংলাদেশ) ও মোস্তফা কামাল (বাংলাদেশ কংগ্রেস) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
পথসভায় ভোটারদের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আপনারা কেন্দ্রে যাবেন, ভোট দেবেন। ভোট গুণে কেন্দ্র থেকে আসবেন। কেউ জোরাজুরি করলে বাধা দিবেন। আমি আছি। শেষ পর্যন্ত আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব।’
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের অনুপম শাহজাহানের বয়স নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই প্রচারণার সময় কটাক্ষ করেন কাদের সিদ্দিকী। গতকাল তিনি বলেন, ‘কী বলব। আমার বুইনে (শেখ হাসিনা) ছোট্ট একটা বাচ্চারে (অনুপম শাহজাহান) দিছে আমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য। মুক্তিযুদ্ধ করেছি। তার (শেখ হাসিনা) বাবার হত্যার প্রতিবাদ করেছি। এসবের উপহার যদি এটা হয়, তাহলে আমি কী করব?’
পথসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুস সবুর খান, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ মিয়া প্রমুখ।