ঢাকা ০২:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মান্দায় ১০টি প্রদর্শনী প্লটে কৃষি বিভাগের পরার্মশে চাষ হচ্ছে ‘গড়ালু’

কালের বিবর্তনে হারিয়ে বসা এক সময় বসতভিটার আনাচে-কানাচে ও আশপাশের ঝোপঝাড়ে এটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত। যা আঞ্চলিক ভাষায় ‘মেটে আলু কিংবা গড়ালু’ হিসেবে পরিচিত। তবে এই আলু চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি বিভাগ। 

চলতি মৌসুমে নওগাঁর মান্দায় ১০টি প্রদর্শনী প্লটে বাণিজ্যিকভাবে এই আলু চাষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের কুন্দল কর্মসূচির আওতায় জঙ্গল কিংবা বসতভিটার গাছ আলু বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন প্রদর্শনী প্লটে চাষ হওয়া এই আলুতে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন কৃষকরা। এসব প্রদর্শনী খেত এলাকার কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনেক কৃষক জমিতে এ আলু চাষের আগ্রহ নিয়ে কৃষি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন।

উপজেলার নুরুল্লাবাদ গ্রামের কৃষক আসলাম হোসেন বলেন, এক সময় গাছ আলু বা গড়ালু বসতভিটাসহ আশপাশের বনে জঙ্গলের গাছে ও বাঁশ ঝাড়ে লতানো আকারে জন্মাতো। খাদ্য হিসেবে মানুষের কাছে তেমন পরিচিতি ছিল না। তবে অনেকে এ আলু আগুনে পুড়িয়ে কেউবা আবার তরকারি রান্না করে খেতেন।

উপজেলার গাইহানা গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, কৃষি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আমি ২৩ শতক জমিতে গাছ আলু চাষ করেছি। জমিতে বীজ আলু, সার, পরিচর্যাসহ আনুষঙ্গিক খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। এ থেকে মাটির ওপরে কমপক্ষে ৩৫ মণ এবং মাটির নিচে আরও ১০ মণ আলু উৎপাদন হবে।

বাজার অনুযায়ী প্রতি মণ পাইকারি ১ হাজার ৬০০ টাকা হিসেবে আয় হতে পারে ৬০ থেকে ৬২ হাজার টাকা। চাষের খরচ বাদে লাভ হতে পারে ৪৫ থেকে ৪৮ হাজার টাকা। মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, গাছ আলু অনেক গুণগত মানের এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। চাষ করতে তেমন কোনো ঝক্কিঝামেলা নেই।

মান্দায় ১০টি প্রদর্শনী প্লটে কৃষি বিভাগের পরার্মশে চাষ হচ্ছে ‘গড়ালু’

আপডেট সময় ০৪:৫৫:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

কালের বিবর্তনে হারিয়ে বসা এক সময় বসতভিটার আনাচে-কানাচে ও আশপাশের ঝোপঝাড়ে এটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত। যা আঞ্চলিক ভাষায় ‘মেটে আলু কিংবা গড়ালু’ হিসেবে পরিচিত। তবে এই আলু চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি বিভাগ। 

চলতি মৌসুমে নওগাঁর মান্দায় ১০টি প্রদর্শনী প্লটে বাণিজ্যিকভাবে এই আলু চাষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের কুন্দল কর্মসূচির আওতায় জঙ্গল কিংবা বসতভিটার গাছ আলু বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন প্রদর্শনী প্লটে চাষ হওয়া এই আলুতে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন কৃষকরা। এসব প্রদর্শনী খেত এলাকার কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনেক কৃষক জমিতে এ আলু চাষের আগ্রহ নিয়ে কৃষি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন।

উপজেলার নুরুল্লাবাদ গ্রামের কৃষক আসলাম হোসেন বলেন, এক সময় গাছ আলু বা গড়ালু বসতভিটাসহ আশপাশের বনে জঙ্গলের গাছে ও বাঁশ ঝাড়ে লতানো আকারে জন্মাতো। খাদ্য হিসেবে মানুষের কাছে তেমন পরিচিতি ছিল না। তবে অনেকে এ আলু আগুনে পুড়িয়ে কেউবা আবার তরকারি রান্না করে খেতেন।

উপজেলার গাইহানা গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, কৃষি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আমি ২৩ শতক জমিতে গাছ আলু চাষ করেছি। জমিতে বীজ আলু, সার, পরিচর্যাসহ আনুষঙ্গিক খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। এ থেকে মাটির ওপরে কমপক্ষে ৩৫ মণ এবং মাটির নিচে আরও ১০ মণ আলু উৎপাদন হবে।

বাজার অনুযায়ী প্রতি মণ পাইকারি ১ হাজার ৬০০ টাকা হিসেবে আয় হতে পারে ৬০ থেকে ৬২ হাজার টাকা। চাষের খরচ বাদে লাভ হতে পারে ৪৫ থেকে ৪৮ হাজার টাকা। মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, গাছ আলু অনেক গুণগত মানের এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। চাষ করতে তেমন কোনো ঝক্কিঝামেলা নেই।