কুমিল্লায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র ঐক্যপরিষদের বিক্ষোভ মিছিলে হামলার ঘটনায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ঐক্যপরিষদ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ তাপস কুমার বকসী বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাতে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ একথা জানানা । গ্রেফতাররা হলেন কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলি এলাকার নুর হোসেন স্বপন ও রাজবাড়ী কম্পাউন্ড এলাকার মহসিন আহমেদ শিপন। তারা যুবলীগের কর্মী বলে জানা গেছে।
মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা নিয়ে কটূক্তি, মুন্সিগঞ্জের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাসকে স্থানীয় মেয়র কর্তৃক প্রকাশ্যে সাম্প্রদায়িক গালমন্দ, চারণ কবি রাধা রমণকে মারধর, সারাদেশে দুর্গামূর্তি ভাঙচুর ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লা জেলা শাখা প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে কান্দিরপাড় অভিমুখে রওয়ানা হন তারা। মিছিলটি কর ভবনের সামনে নজরুল অ্যাভিনিউ এলাকায় গেলে বাধা দেয় পুলিশ।
এসময় তারা অগ্রসর না হয়ে ফিরে আসতে থাকলে হঠাৎ অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা অস্ত্র, রড, লাঠি, ইট ও পাথর নিয়ে ধাওয়া করে। ‘যুবলীগ-ছাত্রলীগের’ নামে স্লোগান দিতে দিতে ইট-পাথর নিক্ষেপ করতে থাকেন তারা। মিছিলে অংশগ্রহণকারী নারী ও পুরুষ সদস্যদের এলোপাতাড়ি মারধর করে জখম করা হয়।
এ বিষয়ে মামলার বাদী তাপস বকসী বলেন, ‘আমরা কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন পাঠিয়েছি। পুলিশ আবেদন গ্রহণ করেছে।’ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, রোববার রাতে আমরা মামলা নিয়েছি। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এজাহারে উল্লেখিত অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।