ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে যখন রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে তখন আরব রাষ্ট্রগুলোতে চষে বেড়াচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। যুদ্ধ শুরুর পরপরই তিনি ইসরায়েল সফর করেন। প্রতিশ্রুতি দেন সামরিক সহায়তার। এরপর একের পর এক আরব রাষ্ট্র সফর করছেন ব্লিঙ্কেন। মূল উদ্দেশ্য হলো সংঘাত যাতে অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে।
সফরের অংশ হিসেবে এবার তিনি পৌঁছেছেন সৌদি আরবে। এর আগে তিনি আরও চারটি দেশে যান। জানা গেছে, সৌদি আরব ভ্রমণ শেষে আরও একটি দেশে যাবেন। ব্লিঙ্কেন চান আরব রাষ্ট্রগুলো হামাসের নিন্দা করুক। তাছাড়া আরব রাষ্ট্রগুলোকে সংযত রাখাও তার অন্যতম উদ্দেশ্য। তবে এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলার সমালোচনা করেছে সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। বিশেষ করে সাধারণ নাগরিকদের ওপরর হামলার বিষয়ে।
সৌদি ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার যে প্রক্রিয়া চলছিল সেটাও এখন স্থগিত রয়েছে। এবছরের শুরুর দিকে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে সৌদি। জানা গেছে, সৌদি সফর শেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশর যাবেন। সেখানে তিনি মানবিক করিডর তৈরির বিষয়ে আলোচনা করবেন।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাসের মধ্যে শুরু হয় এই রক্তক্ষয়ী লড়াই। ইসরায়েলে রকেট হামলার বিপরীতে গাজায় অব্যাহত বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। এরই মধ্যে শুরু করেছে স্থল অভিযানও। এতে গাজায় নিহতের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। শনিবার (১৪ অক্টোবার) প্রেসটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দখলদারদের হামলায় এখন পর্যন্ত এক হাজার নয়শ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ অঞ্চলে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে সাত দিনে ৬১৪ শিশু, ৩৭০ জন নারীসহ কমপক্ষে ১৯০০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় আট হাজার ফিলিস্তিনি।