প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর হয়, সে জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রয়াসের কোনো ঘাটতি থাকবে না।আজ শনিবার সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন।
এতটা নৈতিকতা বিবর্জিত হইনি, বললেন সিইসি বৈঠকে সিইসি বলেন, ‘আমাদের সরকারের সহায়তার ওপর নির্ভর করতে হবে। সরকারের জনপ্রশাসন, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কীভাবে সুদৃঢ় ও সহজ হবে, তা বের করে নির্বাচনের যে উদ্দেশ্য, অর্থাৎ অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচনের ফলাফল উঠে আসবে, আমরা সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।’
সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ৬৪ জেলা ও ১০টি আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এটা মূলত প্রাথমিক সভা। কিছু জানতে চাওয়া হয়েছে, কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মূলত, ভোটার তালিকা, ভোটকেন্দ্রের প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। তাঁদের সুনির্দিষ্ট সমস্যা আছে কি না, একেক অঞ্চলে একেক সমস্যা থাকতে পারে। সেটা জানতে চাওয়া হয়েছে। অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার—সবার সহযোগিতা নিয়ে তাঁদের কাজ করতে হবে।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের চাপ আমাদের ওপর পড়েছে: সিইসিকোনো রাজনৈতিক সমস্যার কথা তাঁরা বলেননি। সামনে ডিসি–এসপিদের প্রশিক্ষণের সময় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে, এটা প্রশাসনিক বিষয়।এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, মাঠ কর্মকর্তারা কোনো ঘাটতির কথা উল্লেখ করেননি। নির্বাচনী আচরণবিধি যাতে সবাই মেনে চলে, এ জন্য তাঁরা সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন। এ বিষয়েই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।