গণ-অবস্থানের জন্য রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সকাল থেকেই তারা আসতে শুরু করেছেন।
ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসছেন তারা। কার্যালয়ের সামনে ফুটপাত এবং রাস্তায় শামিয়ানা বিছিয়ে অবস্থান নিয়েছেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) এ গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে দলের ১৩টি অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরও অংশ নেয়ার কথা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি এ গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। এটি তাদের সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি।
এদিকে ভোর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বিএনপির যত কর্মসূচি
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে এ গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে ঢাকাসহ দেশের ১০ সাংগঠনিক বিভাগীয় শহরে। কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অন্যান্য বিভাগেও বিএনপির এ কর্মসূচি পালিত হবে। এ ছাড়া যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আরও প্রায় ৫২ দল ও সংগঠন পৃথকভাবে রাজধানীর সাতটি স্থানে এ কর্মসূচি পালন করবে।
এ গণঅবস্থান শেষে নতুন কর্মসূচি দিতে পারে বিএনপি ও তার মিত্ররা। তার মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ১৬ জানুয়ারি ১০টি বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি। ২৬ জানুয়ারি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে জোট ও দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে এখনও তা চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা গেছে। এছাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯ জানুয়ারি পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করবে দলটি। ২৫ জানুয়ারি ‘বাকশাল দিবস’ উপলক্ষে নতুন কর্মসূচির পরিকল্পনা নিয়েছে বিএনপি। ওই দিনকে ঘৃণা প্রদর্শনের জন্য কালো পতাকা প্রদর্শন, মানববন্ধন কিংবা সমাবেশের কর্মসূচি নির্ধারণ করা হতে পারে।