ঢাকা ০৮:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ব-ইচ্ছায় কেউ সড়কে মানুষ মারে না; প্রধানমন্ত্রী

দুর্ঘটনা ঘটলে জনগণকে আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে চালককে আটক করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে দেশের ৫০টি জেলায় ১০০টি জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা মহাসড়ক উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

গাড়ি চালকদের মারধর না করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো দুর্ঘটনা হলে যিনি দুর্ঘটনা কবলিত অনেক সময় জনগণ তাকে সাহায্য না করে গাড়ি চালককে মারধর করার শুরু করে এবং গণপিটুনিতে গাড়িচালক মারা যায়। এ কাজটা কেউ দয়া করে করবেন না। কেউ ইচ্ছা করে মানুষকে মারে না বা ইচ্ছা করে ধাক্কা দেয় না।
তিনি বলেন, যদি অপরাধ করে আপনারা ধরেন। থানায় দিয়ে দেন। পুলিশে দিয়ে দেন। তার বিচার হবে। আমরা সড়ক আইনও করে দিয়েছি এটা বিচারের জন্য।

শেখ হাসিনা বলেন, কাজেই আমি অনুরোধ করবো আপনারা কেউ আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে ওই ড্রাইভারকে মেরে ফেললে সমাধান হবে না বরং যিনি দুর্ঘটনার শিকার হলেন সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ডেকে তাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সে কাজটা করবেন। যে আঘাতপ্রাপ্ত তাকে সাহায্য করেন। ড্রাইভারকে মেরে সমাধান হবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ রাস্তায় পড়ে গেলে গণপিটুনির ভয়ে গাড়িচালক গাড়ি না থামিয়ে তার উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে চলে যেতে পারে যদিও যিনি পড়ে গিয়েছেন আরেকবার তার উপর দিয়ে গাড়ি না গেলে হয়তো সে বেঁচেও যেতে পারতো। এ ভীতিটা থেকে ড্রাইভারকে মুক্ত করতে হবে। এটা জনগণের দায়িত্ব।

এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ শিক্ষক, জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বারবার এটা বলতে হবে। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে।

সড়কে চলাচলের নিয়ম কানুনগুলো শিশুকাল থেকেই শেখানোর তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একেবারে স্কুল জীবন থেকেই শিশুদের শিক্ষা দিতে হবে যে সড়কে চলতে গেলে রাস্তা ব্যবহারের যে নিয়ম কানুনগুলো সেগুলো ট্রেনিং দেওয়া। এবং এটা আমি প্রশাসনের সকল স্তরেই বলবো যে শুধু স্কুল থেকে এখনই ট্রেনিং দেওয়া না,সাধারণ মানুষকে এই ব্যাপারে সচেতন করতে হবে। দরকার হলে প্রতিটি জায়গায় সাইন বোর্ড টানিয়ে টানিয়ে বা হাটে বাজারে বা রাস্তার মোড়ে মোড়ে এগুলো প্রদর্শন করতে হবে।

সড়ক নিরাপদ করতে গাড়ি চালকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন সরকার প্রধান।

৫০ টি জেলায় নির্মিত ২০২১ কিলোমিটার মহাসড়কের মধ্যে ২০৬ দশমিক ৫৪ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক, ৬২১ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং ১১৯৩ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার জেলা মহাসড়ক। এসব মহাসড়ক নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা।

উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী টাঙ্গাইল ও খুলনা জেলা প্রান্তে সংযুক্ত হয়ে উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্ত থেকে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

গত ৭ নভেম্বর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে দেশের ২৫টি জেলায় নবনির্মিত ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

স্ব-ইচ্ছায় কেউ সড়কে মানুষ মারে না; প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৬:৪২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২

দুর্ঘটনা ঘটলে জনগণকে আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে চালককে আটক করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে দেশের ৫০টি জেলায় ১০০টি জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা মহাসড়ক উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

গাড়ি চালকদের মারধর না করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো দুর্ঘটনা হলে যিনি দুর্ঘটনা কবলিত অনেক সময় জনগণ তাকে সাহায্য না করে গাড়ি চালককে মারধর করার শুরু করে এবং গণপিটুনিতে গাড়িচালক মারা যায়। এ কাজটা কেউ দয়া করে করবেন না। কেউ ইচ্ছা করে মানুষকে মারে না বা ইচ্ছা করে ধাক্কা দেয় না।
তিনি বলেন, যদি অপরাধ করে আপনারা ধরেন। থানায় দিয়ে দেন। পুলিশে দিয়ে দেন। তার বিচার হবে। আমরা সড়ক আইনও করে দিয়েছি এটা বিচারের জন্য।

শেখ হাসিনা বলেন, কাজেই আমি অনুরোধ করবো আপনারা কেউ আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে ওই ড্রাইভারকে মেরে ফেললে সমাধান হবে না বরং যিনি দুর্ঘটনার শিকার হলেন সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ডেকে তাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সে কাজটা করবেন। যে আঘাতপ্রাপ্ত তাকে সাহায্য করেন। ড্রাইভারকে মেরে সমাধান হবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ রাস্তায় পড়ে গেলে গণপিটুনির ভয়ে গাড়িচালক গাড়ি না থামিয়ে তার উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে চলে যেতে পারে যদিও যিনি পড়ে গিয়েছেন আরেকবার তার উপর দিয়ে গাড়ি না গেলে হয়তো সে বেঁচেও যেতে পারতো। এ ভীতিটা থেকে ড্রাইভারকে মুক্ত করতে হবে। এটা জনগণের দায়িত্ব।

এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ শিক্ষক, জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বারবার এটা বলতে হবে। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে।

সড়কে চলাচলের নিয়ম কানুনগুলো শিশুকাল থেকেই শেখানোর তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একেবারে স্কুল জীবন থেকেই শিশুদের শিক্ষা দিতে হবে যে সড়কে চলতে গেলে রাস্তা ব্যবহারের যে নিয়ম কানুনগুলো সেগুলো ট্রেনিং দেওয়া। এবং এটা আমি প্রশাসনের সকল স্তরেই বলবো যে শুধু স্কুল থেকে এখনই ট্রেনিং দেওয়া না,সাধারণ মানুষকে এই ব্যাপারে সচেতন করতে হবে। দরকার হলে প্রতিটি জায়গায় সাইন বোর্ড টানিয়ে টানিয়ে বা হাটে বাজারে বা রাস্তার মোড়ে মোড়ে এগুলো প্রদর্শন করতে হবে।

সড়ক নিরাপদ করতে গাড়ি চালকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন সরকার প্রধান।

৫০ টি জেলায় নির্মিত ২০২১ কিলোমিটার মহাসড়কের মধ্যে ২০৬ দশমিক ৫৪ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক, ৬২১ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং ১১৯৩ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার জেলা মহাসড়ক। এসব মহাসড়ক নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা।

উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী টাঙ্গাইল ও খুলনা জেলা প্রান্তে সংযুক্ত হয়ে উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্ত থেকে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

গত ৭ নভেম্বর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে দেশের ২৫টি জেলায় নবনির্মিত ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।