নওগাঁ শহরের কুমাইগাড়ী মহল্লার এক জঙ্গলে মিলল প্রায় ৬০০ বছরের পুরাতন মসজিদ। সরেজমিনে দেখা যায়, মসজিদটির তিনটি গম্বুজ ছিল। যার একটি ভেঙে গেছে।
এখনও কালের সাক্ষী হয়ে গোলাকৃতির দুটি গম্বুজ অক্ষত আছে। প্রাচীরগুলো গড়ে উঠেছে লাল ইট সুরকিতে। শরীরে বেশ কিছু কারুকাজ ও পাথর দিয়ে সুসজ্জিত আছে এখনও।
ধারনা করা হচ্ছে, প্রায় ৬০০ বছর আগে মুঘল সাম্রাজ্যের সময়কালে ইসলাম ধর্মের প্রসারে ওই মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। মুঘল আমল বিলুপ্ত হলে ধীরে ধীরে এটি পরিত্যক্ত হয়। তখন ওই অঞ্চলে বসতিও ছিল খুবই কম। তাই দীর্ঘদিন মানুষের পদচারণা না থাকায় জঙ্গলে ঢাকা পড়ে মসজিদটি।
বর্তমানে যায়গাটি মাসুম বিল্লা নামে এক ব্যক্তির তত্বাবধানে পরিষ্কার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, শহরের একটি ভাড়া বাসায় এতিম খানা চালাচ্ছিলেন তিনি। স্থানীয় ভূমি অফিস থেকে জানতে পারেন এই যায়গাটি পরিত্যক্ত আছে। এরপর যায়গার মালিক জিন্নাত মোস্তাফির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অনুমতি পেয়ে জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে ওই মসজিদটির ভগ্নাবশেষ বের হয়ে আসে।
তিনি বলেন, এখন এখানে এতিমখানা পরিচালনার পাশাপাশি নামাজ আদায়ের ব্যবস্থাও থাকবে। সংস্কার করা হবে প্রাচীন মসজিদটিও।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় জিন্নাত মোস্তাফি’র নামে ওই ব্যক্তি দাবি তিনি ও জাকারিয়া পিন্টু নামে দুই ব্যক্তি পৈত্রিক সূত্রে ওই জমির মালিক। ১৫ শতাংশ জমি মসজিদ ও কবরস্থানের নামে ওয়াকফো করে দেয়া হয় অনেক আগেই। বর্তমানে মসজিদটি সংস্কার ও এতিম খানা নির্মাণের জন্য মাসুম বিল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এতদিন জঙ্গলে ঢাকা ছিল যায়গাটি।