ঢাকা ০৮:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ Logo ঈদ ছাড়াও সিনেমা সুপারহিট হয়: শাকিব খান Logo যুক্তরাজ্যে গেলেই গ্রেপ্তার হবেন নেতানিয়াহু! Logo নওগাঁ ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা Logo নির্বাচন দ্রুত হওয়া প্রয়োজন, নয়তো ষড়যন্ত্র বাড়বে: তারেক রহমান Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা

নওগাঁর রেজিয়া বেগমের এক বছরের ভাতার টাকা তুলে নিল আরেকজন

রেজিয়া বেগম বয়স (৬২) বছর। তিনি উপজেলার ঘাটকের গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামী আব্বাস আলী বিগত ২০০৭ সালে দূরারোগ্য ঘাতক ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর মান্দা সদর ইউনিয়নের স্থানীয় জনপ্রতিধিরা তাকে একটি বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার প্রতিশ্রতি ব্যাক্ত করেন।

পরবর্তীতে তিনি ওই এলাকার এক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে পূনরায় কার্ড করে নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে থাকেন। এরপর তার কথামত ওই এলাকার এক গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে তিনি এবং তাদের এলাকার অনেকেই বিধবা অথবা বয়স্ক ভাতার কার্ড করে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং ০১৭৬৫-৫৮৫৭৯৬ মোবাইল নাম্বার) প্রদান করেন । ভাতার জন্য একইসাথে কাগজপত্রগুলো প্রদান করার পর তার প্রতিবেশীদের মধ্য থেকে যাদের কার্ড করে দেওয়া হয়েছে, তারা সেসময় থেকে অধ্যবধি ভাতার টাকা পাচ্ছেন ।

অথচ, বিগত দিনে স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে কার্ড করে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করার পর হতে অদ্যবধি কখনোই জানতে পারেননি যে, তার নামে বিধবা ভাতার কার্ড করা আছে। এমতাবস্থায় হঠাৎ করেই মান্দা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার অফিস থেকে তার মোবাইলে ফোন দিয়ে জানানো হয় যে, তিনি তার বিধবা ভাতার টাকা পান কি না? সমাজসেবা অফিস থেকে ফোন পেয়ে অফিসে এসে বিষয়টি নিশ্চিত হন যে, তার দেয়া মোবাইল নাম্বরের একটি ডিজিট ভুলের কারণে ভাতার টাকা চলে গেছে অন্যের ০১৭৬৫-৫৮৫৭৯৫ মোবাইল নাম্বারে। এতে বিপাকে পড়ে প্রতিকার চেয়ে গত রবিবার মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।

তবে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ বলেছেন, উপকার ভোগী ভুল নম্বর দিয়েছেন বলেই এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। দু-একটা ফিঙ্গারিংয়ে ভুল হতে পারে, কিন্তু পুরো নম্বরটা পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর গত মাস থেকে তার ভাতার টাকা সঠিক মোবাইল নাম্বারে প্রদান করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে যেন এমন অনাকাঙ্খিত ভুল না হয়, সেটার ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।

ট্যাগস

বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

নওগাঁর রেজিয়া বেগমের এক বছরের ভাতার টাকা তুলে নিল আরেকজন

আপডেট সময় ০৫:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২

রেজিয়া বেগম বয়স (৬২) বছর। তিনি উপজেলার ঘাটকের গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামী আব্বাস আলী বিগত ২০০৭ সালে দূরারোগ্য ঘাতক ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর মান্দা সদর ইউনিয়নের স্থানীয় জনপ্রতিধিরা তাকে একটি বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার প্রতিশ্রতি ব্যাক্ত করেন।

পরবর্তীতে তিনি ওই এলাকার এক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে পূনরায় কার্ড করে নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে থাকেন। এরপর তার কথামত ওই এলাকার এক গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে তিনি এবং তাদের এলাকার অনেকেই বিধবা অথবা বয়স্ক ভাতার কার্ড করে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং ০১৭৬৫-৫৮৫৭৯৬ মোবাইল নাম্বার) প্রদান করেন । ভাতার জন্য একইসাথে কাগজপত্রগুলো প্রদান করার পর তার প্রতিবেশীদের মধ্য থেকে যাদের কার্ড করে দেওয়া হয়েছে, তারা সেসময় থেকে অধ্যবধি ভাতার টাকা পাচ্ছেন ।

অথচ, বিগত দিনে স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে কার্ড করে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করার পর হতে অদ্যবধি কখনোই জানতে পারেননি যে, তার নামে বিধবা ভাতার কার্ড করা আছে। এমতাবস্থায় হঠাৎ করেই মান্দা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার অফিস থেকে তার মোবাইলে ফোন দিয়ে জানানো হয় যে, তিনি তার বিধবা ভাতার টাকা পান কি না? সমাজসেবা অফিস থেকে ফোন পেয়ে অফিসে এসে বিষয়টি নিশ্চিত হন যে, তার দেয়া মোবাইল নাম্বরের একটি ডিজিট ভুলের কারণে ভাতার টাকা চলে গেছে অন্যের ০১৭৬৫-৫৮৫৭৯৫ মোবাইল নাম্বারে। এতে বিপাকে পড়ে প্রতিকার চেয়ে গত রবিবার মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।

তবে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ বলেছেন, উপকার ভোগী ভুল নম্বর দিয়েছেন বলেই এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। দু-একটা ফিঙ্গারিংয়ে ভুল হতে পারে, কিন্তু পুরো নম্বরটা পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর গত মাস থেকে তার ভাতার টাকা সঠিক মোবাইল নাম্বারে প্রদান করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে যেন এমন অনাকাঙ্খিত ভুল না হয়, সেটার ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।