ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: গত মাসে একমাত্র সম্বল সাতটি গরু চুরি হয়ে যায় হতদরিদ্র গনজের আলীর। আয়ের একমাত্র উৎস হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। অবশেষে পুলিশের সহায়তায় চুরি যাওয়া হালের বলদ ফিরে পেয়ে হাঁসি ফুটেছে তার মুখে।
রোববার (৩১ অক্টোবর) রাতে খুলনা ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গরু চুরির সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ছোট বড় ১৫টি গরু উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১ নভেম্বর) সকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার জানান, ১২ অক্টোবর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা গ্রামের গনজের আলীর সাতটি ও ১৯ অক্টোবর দিনগত রাতে ঝিনাইদহ সদর থানার হামদহ ঘোষপাড়া এলাকা থেকে মৃত তাজুল গাজীর ছেলে জালাল গাজীর ছয়টি গরু চুরি হয়। ঘটনার পর কালীগঞ্জ ও সদর থানায় পৃথক দুটি চুরি মামলা হয়। এরপর অভিযানে নামে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- বাগেরহাটের কচুয়া থানার নরেন্দ্রপুর গ্রামের আকুব্বর কাজীর ছেলে উজ্জ্বল কাজী (৩৫), একই জেলার ফকিরহাট উপজেলার বড় খাজুরা গ্রামের মৃত মজিদ শেখের ছেলে শেখ ওহাব (৫০)। চিতলমারী উপজেলার শ্যামপাড়ার মৃত লিয়াকত আলীর খানের ছেলে সুজন খান ওরফে মিলন (৪২), ফকিরহাট উপজেলার ছোট বাহিরদিয়া গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদ কাজীর ছেলে আল আমিন কাজী (২৯), খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার জিলেরডাংগা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ ফকিরের ছেলে সেকেন্দার আলী ফকির (৪৫), খলসি গ্রামের আব্দুল হালিম গাজীর ছেলে রুবেল গাজী (৩৫) ও বটিয়াঘাটি উপজেলার লক্ষীখোলা গ্রামের মৃত আব্দুল্লাহ শেখের ছেলে জিয়া শেখ (৪২)।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গরুর মালিকা গনজের আলী বলেন, পুলিশ আমাদের গরু উদ্ধার করে দিবে এটা আমরা কখনো ভাবতেও পারিনি। পুলিশ সম্পর্কে আমাদের ধারলা পাল্টে গেছে।