টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে যমুনা নদিসহ বিভিন্ন নদনদির পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সিমার ৪১ সে.মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে টাঙ্গাইল সদরসহ ৫টি উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভেসে গেছে রাস্তা ঘাট সবজি ক্ষেতসহ বিস্তির্ন এলাকার ফসলী জমির ফসল। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিলেও এখনও কোন প্রকার ত্রান সহায়তা পায়নি বলে অভিযোগ বানভাসীদের।
উজানের পাহাড়ী ঢল আর লাগাতার বর্ষনের কারনে টাঙ্গাইলের যমুনা ধলেশ্বরীসহ সবকয়টি নদির পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই টাঙ্গাল সদর, কালিহাতি,ভূয়াপুর,গোপালপুর, নাগরপুর ও বাসাইল উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পরেছে।
অনেকেরই বাড়ি ঘরে পানি উঠে গরু ছাগল হাস মুরগী নিয়ে বিপাকে পরেছে। সুখনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছে এসব মানুষ জন। রাস্তা ঘাটসহ বিস্তির্ন এলাকার ফসলি জমি ও সবজির ক্ষেত তলিয়ে কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
অনেকে বাড়ি ঘর ছেড়ে আত্বিয় স্বজনদের বাড়ি আবার অনেকেই রাস্তার পাশে উচু স্থানে আশ্রয় নিলেও হাস মুরগী গরু ছাগল নিয়ে চরম দূর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে তাদের। অসময়ে এমন বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় চরম দূশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের।
এদিকে জেলা প্রশাসক ড. মোঃ আতাউল গনি বানভাসী মানুষের দূর্ভোগের কথা স্বিকার করে জানিয়েছেন, সম্প্রতি যমুনা নদিতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে। এতে বানভাসি মানুষের খুব কষ্ট হয়েছে।অন্যদিকে যমুনা তীরবর্তি এলাকায় নদি ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
তবে ইতিমধ্যেই ভাঙ্গন কবলিতদের মধ্য আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রান সামগ্রী রয়েছে।দ্রুত বানভাসিদের মাঝে এসব ত্রান বিতরন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।