ঢাকা ০৯:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপদসীমার ৬৬ সে.মি. ওপরে বইছে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  যমুনার নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় বসতভিটা-ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সিরাজগঞ্জের বন্যা কবলিতরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

টিউওয়েব তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। সারাক্ষণ পানিতে থাকায় পানিবাহিত রোগ ঘা-পচড়া দেখা দিতে শুরু হয়েছে। রান্নার চুলা তলিয়ে যাওয়া রান্না করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাফেরা করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। ছোট ছোট নৌকা ও কলার ভেলা একমাত্র চলাচলের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাদের নৌকা বা ভেলা নেই তাদেরকে কোমরপানি ভেদ করে চলাচল করতে হচ্ছে। আর যারা ওয়াপদা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে তারাও নানা সংকটে পড়েছে। বৃষ্টি হলে ঝুপড়ির মধ্যে রাতভর জেগে থাকতে হচ্ছে। ফসল নষ্ট হয়ে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে, যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। কাজিপুরের নাটুয়ারপাড়া বাজার রক্ষা মাটির বাঁধে ধ্বস নেমে প্রায় ৭০ মিটার এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়রা নিজেদের প্রচেষ্টায় বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করছে। তবে বন্যা কবলিতদের অভিযোগ, কষ্টে থাকলেও জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের কেউ তাদের পাশে দাঁড়ায়নি।

সিরাজগঞ্জ ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, বন্যা কবলিত পাঁচটি উপজেলায় ১২৫ মেট্টিক চাল ও নগদ টাকা ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

ট্যাগস

সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপদসীমার ৬৬ সে.মি. ওপরে বইছে

আপডেট সময় ০৫:২৮:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  যমুনার নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় বসতভিটা-ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সিরাজগঞ্জের বন্যা কবলিতরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

টিউওয়েব তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। সারাক্ষণ পানিতে থাকায় পানিবাহিত রোগ ঘা-পচড়া দেখা দিতে শুরু হয়েছে। রান্নার চুলা তলিয়ে যাওয়া রান্না করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাফেরা করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। ছোট ছোট নৌকা ও কলার ভেলা একমাত্র চলাচলের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাদের নৌকা বা ভেলা নেই তাদেরকে কোমরপানি ভেদ করে চলাচল করতে হচ্ছে। আর যারা ওয়াপদা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে তারাও নানা সংকটে পড়েছে। বৃষ্টি হলে ঝুপড়ির মধ্যে রাতভর জেগে থাকতে হচ্ছে। ফসল নষ্ট হয়ে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে, যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। কাজিপুরের নাটুয়ারপাড়া বাজার রক্ষা মাটির বাঁধে ধ্বস নেমে প্রায় ৭০ মিটার এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়রা নিজেদের প্রচেষ্টায় বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করছে। তবে বন্যা কবলিতদের অভিযোগ, কষ্টে থাকলেও জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের কেউ তাদের পাশে দাঁড়ায়নি।

সিরাজগঞ্জ ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, বন্যা কবলিত পাঁচটি উপজেলায় ১২৫ মেট্টিক চাল ও নগদ টাকা ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।