শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের নকলায় ফাঁসিতে ঝুলে প্রেমিক হেলাল (৩০) এবং প্রেমিকা হাসি (২৫) আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ উপজেলার ৬নং পাঠাকাঠা ইউনিয়নের গোয়ালের কান্দা এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
এলাকাবাসীর ধারণা, পরকীয়া প্রেম জানাজানি হওয়ার ভয়ে তারা আত্মহত্যা করেন। হেলাল ওই এলাকার ইয়াদ আলীর ছেলে এবং প্রেমিকা একই এলাকার সোবাহানের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয়রা হাসির মরদেহ বাড়ির পাশে কাঠ বাগানের একটি গাছের উপর ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
একই সময়ে হেলালও নিখোঁজ হয়। পরে রাতে খোঁজাখুঁজি করে আর পাওয়া যায়নি। অবশেষে শনিবার ভোরের দিকে হেলালকে হাসির ঘরের পিছনে একটি গাছের সাথে ফাঁসিতে ঝুলে থাকতে দেখে। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এলাকাবাসীল ধারণা, দুজন একই সময়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।
স্থানীয় চেয়ারম্যান ফয়েজ মিল্লাত বলেন, ‘এলাকাবাসী অনেকেই আমাকে হেলাল ও হাসির মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানিয়েছে’।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) রাজিব ভৌমিক বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ কিছু বলছে না। আসল ঘটনা কি তা তদন্ত করে দেখা হবে। এখন দুজনের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ বছর আগে হাসির সাথে বিয়ে হয় ওই এলাকার সোবাহানের সাথে। হাসির সাত বছরের একটি ছেলে আছে। হেলাল নিজেও বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক।
প্রেমিক হেলাল ও হাসির স্বামী সোবাহান দূর-সম্পর্কের চাচা-ভাতিজা। সোবাহান ঢাকার গাজীপুরে পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ৩-৪ বছর ধরে হাসির বাসায় হেলাল নিয়মিত যাতায়াত করছিল বলে জানা গেছে।