ঢাকা ০৬:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সমর্থকেরা বিক্ষোভকারীদের ওপর সমন্বিত হামলা চালায় Logo প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলেন Logo গুলি ও ভারতীয় শাড়িসহ ডিবি পুলিশের ২ কনস্টেবল গ্রেফতার Logo আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের কর্মসূচি ঘোষণা Logo আয়নাঘরেই আটকে রাখা হয়েছিল, চিনতে পারলেন নাহিদ ও আসিফ Logo চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে টাইগারদের অফিসিয়াল ফটোসেশন Logo দেশ ক্ষমতা ধরে রাখতেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নৃশংস হত্যাকাণ্ড: জাতিসংঘ Logo গণমাধ্যম ও ভুক্তভোগী দের সঙ্গে নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা Logo হত্যা মামলায় নওগাঁর ৫ চেয়ারম্যান সহ ৯ আওয়ামীলীগ নেতা কারাগারে Logo নওগাঁর পত্নীতলায় শেষ সময়ে বোরো চাষে ব্যস্ত চাষিরা

মায়ের ইচ্ছেতেই ক্রিকেট ছাড়েননি রশিদ

SRH star bowler Rashid Khan celebrates win over DC during match 47 of season 13 of the Dream 11 Indian Premier League (IPL) between the Sunrisers Hyderabad and the Delhi Capitals held at the Dubai International Cricket Stadium, Dubai in the United Arab Emirates on the 27th October 2020. Photo by: Samuel Rajkumar / Sportzpics for BCCI

ক্রীড়া ডেস্ক: বিশ্ব ক্রিকেটে অল্প সময়েই বেশ ভাল অবস্থান গড়ে নিয়েছে আফগানিস্তান। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে একসময় খেলাধুলা ছিল বিলাসিতার মত। অথচ সেখান থেকেই উঠে এসেছেন রশিদ খানের মত বিশ্ব কাঁপানো লেগ স্পিনার।

মূলত মায়ের ইচ্ছেতেই এতদূর আসা বলে জানিয়েছেন এই ক্রিকেটার। কাগজে-কলমে রশিদের বয়স খুব বেশি নয়। তবে অভিজ্ঞতা আর পরিপক্কতায় ভরপুর এক বোলার তিনি।

চলতি আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাদের হয়ে খেলছেন আফগান অধিনায়ক। সেখানেই এক ভিডিও বার্তায় রশিদ জানিয়েছেন, মায়ের পরামর্শে কীভাবে তার ক্যারিয়ার থেমে যায়নি।

এশিয়ার দেশগুলোতে যে কারো জন্যই পরিবারকে বুঝিয়ে ক্রিকেটে আসা রীতিমত আরেক যুদ্ধ। তবে অবশ্য রশিদকে সেই যুদ্ধ করতে হয়নি।

বরং অন্যরা যখন ক্রিকেট ছেড়ে দিতে বলছিলেন, তখন মা-ই তাকে ক্রিকেট চালিয়ে যেতে বলেন। মায়ের পরামর্শ মেনেই রশিদ হাল ছাড়েননি, পেয়েছেন সফলতা।

এ ব্যাপারে রশিদ বলেন, ‘আমি আফগানিস্তান ‘এ’ দলে ডাক পাই। ক্যাম্পে থাকলেও কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি। এরপর তো আমাকে স্কোয়াড থেকেই বাদ দেয়া হয়।

আমি তখনই ক্রিকেট ছাড়তে চেয়েছিলাম। আমার ভাই তো ওদের ওপর রেগেমেগে আগুন ছিল! আমাকে বলল, এখন ক্রিকেট ছেড়ে পড়াশোনায় মন দে!’

সাধারণত পড়াশোনার কথা শুনলে মায়েরা বেশ খুশি হন। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিলেন রশিদের মা। তিনি ছেলেকে উল্টো ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

এই লেগস্পিনার বলেন, ‘আমি মাকে ফোন করলাম। তিনি আমাকে বললেন, যাও ক্রিকেট উপভোগ করো। ফলাফল যেটাই হোক, চেষ্টা করতে থাকো। আজ না হোক, একদিন সফল হবে।’

এরপর মায়ের পরামর্শেই ক্রিকেটে পড়ে থাকেন রশিদ। তিনি জানান, ‘একটি ঘরোয়া টুর্নামেন্টে মাত্র ৩ ম্যাচে ২১ উইকেট শিকার করি। এতে ২০১৫ সালে জাতীয় দলে ডাক পেয়ে যাই। এর পেছনে কৃতিত্ব অবশ্যই মায়ের।’

ছেলের অর্জনগুলো অবশ্য খুব বেশি দিন উপভোগ করতে পারেননি রশিদের রত্নগর্ভা মা। চলতি বছরের জুন মাসে শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

ট্যাগস

পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সমর্থকেরা বিক্ষোভকারীদের ওপর সমন্বিত হামলা চালায়

মায়ের ইচ্ছেতেই ক্রিকেট ছাড়েননি রশিদ

আপডেট সময় ০৭:৫০:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০

ক্রীড়া ডেস্ক: বিশ্ব ক্রিকেটে অল্প সময়েই বেশ ভাল অবস্থান গড়ে নিয়েছে আফগানিস্তান। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে একসময় খেলাধুলা ছিল বিলাসিতার মত। অথচ সেখান থেকেই উঠে এসেছেন রশিদ খানের মত বিশ্ব কাঁপানো লেগ স্পিনার।

মূলত মায়ের ইচ্ছেতেই এতদূর আসা বলে জানিয়েছেন এই ক্রিকেটার। কাগজে-কলমে রশিদের বয়স খুব বেশি নয়। তবে অভিজ্ঞতা আর পরিপক্কতায় ভরপুর এক বোলার তিনি।

চলতি আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাদের হয়ে খেলছেন আফগান অধিনায়ক। সেখানেই এক ভিডিও বার্তায় রশিদ জানিয়েছেন, মায়ের পরামর্শে কীভাবে তার ক্যারিয়ার থেমে যায়নি।

এশিয়ার দেশগুলোতে যে কারো জন্যই পরিবারকে বুঝিয়ে ক্রিকেটে আসা রীতিমত আরেক যুদ্ধ। তবে অবশ্য রশিদকে সেই যুদ্ধ করতে হয়নি।

বরং অন্যরা যখন ক্রিকেট ছেড়ে দিতে বলছিলেন, তখন মা-ই তাকে ক্রিকেট চালিয়ে যেতে বলেন। মায়ের পরামর্শ মেনেই রশিদ হাল ছাড়েননি, পেয়েছেন সফলতা।

এ ব্যাপারে রশিদ বলেন, ‘আমি আফগানিস্তান ‘এ’ দলে ডাক পাই। ক্যাম্পে থাকলেও কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি। এরপর তো আমাকে স্কোয়াড থেকেই বাদ দেয়া হয়।

আমি তখনই ক্রিকেট ছাড়তে চেয়েছিলাম। আমার ভাই তো ওদের ওপর রেগেমেগে আগুন ছিল! আমাকে বলল, এখন ক্রিকেট ছেড়ে পড়াশোনায় মন দে!’

সাধারণত পড়াশোনার কথা শুনলে মায়েরা বেশ খুশি হন। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিলেন রশিদের মা। তিনি ছেলেকে উল্টো ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

এই লেগস্পিনার বলেন, ‘আমি মাকে ফোন করলাম। তিনি আমাকে বললেন, যাও ক্রিকেট উপভোগ করো। ফলাফল যেটাই হোক, চেষ্টা করতে থাকো। আজ না হোক, একদিন সফল হবে।’

এরপর মায়ের পরামর্শেই ক্রিকেটে পড়ে থাকেন রশিদ। তিনি জানান, ‘একটি ঘরোয়া টুর্নামেন্টে মাত্র ৩ ম্যাচে ২১ উইকেট শিকার করি। এতে ২০১৫ সালে জাতীয় দলে ডাক পেয়ে যাই। এর পেছনে কৃতিত্ব অবশ্যই মায়ের।’

ছেলের অর্জনগুলো অবশ্য খুব বেশি দিন উপভোগ করতে পারেননি রশিদের রত্নগর্ভা মা। চলতি বছরের জুন মাসে শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।