ঢাকা ১২:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ Logo ঈদ ছাড়াও সিনেমা সুপারহিট হয়: শাকিব খান Logo যুক্তরাজ্যে গেলেই গ্রেপ্তার হবেন নেতানিয়াহু! Logo নওগাঁ ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা Logo নির্বাচন দ্রুত হওয়া প্রয়োজন, নয়তো ষড়যন্ত্র বাড়বে: তারেক রহমান Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা

কক্সবাজারে সাঁতরে নদী পার হতে গিয়ে ডুবে মারা গেছে‘চোর’

সাঁতরে নদী পার হতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ সাঁতার কেটে নদী পার হতে গিয়ে বাঁকখালী নদীতে তলিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। কক্সবাজার সদর ও রামু উপজেলার সীমান্তবর্তী চাকমারকুল ও ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়া উমখালী-নয়াপাড়ার পুরনো ঘাট এলাকায় বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে ওই যুবক নিখোঁজ হন।

পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ছলিম উল্লাহ (৩৬) খরুলিয়া নয়াপাড়া গ্রামের মৃত ছৈয়দ আহাম্মদের ছেলে।

নদীতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে সকাল থেকে নিখোঁজকে উদ্ধারে রামু উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের সাত সদস্যের ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা চালায়।

পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মরদেহ মেলে বলে জানিয়েছেন উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিদারুল হক। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে ছলিম উমখালীর ওপার থেকে নিজ গ্রামে ফিরতে বাঁকখালী নদীতে সাঁতার দেন।

কিন্তু নদীর মাঝ বরাবর আসার পর ধীরে ধীরে তলিয়ে যেতে থাকেন। এ সময় তাকে বাঁচাতে চিৎকার দেন। লোকজন বের হয়ে পরিস্থিতি বোঝার আগেই নদীতে তলিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।

পরে খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রামু উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে আসে এবং উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে তার মরদেহের হদিস পান ডুবুরিরা।

স্থানীয়রা জানান, ছলিম পেশাদার চোর। এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়ির মোটর, মূল্যবান পণ্য চুরি তার নিত্য কাজ ছিল। অসংখ্যবার বিচার সালিশ হলেও তার স্বভাব পাল্টানো যায়নি।

তাকে নিয়ে সবাই অতিষ্ঠ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে নদীর ওপারে উমখালীতে রাতে চুরি করতে গিয়েছিলেন তিনি। কোথাও সুযোগ করতে না পেরে ভোরে এপারে ফিরছিলেন-

এবং লোকজনের চোখ ফাঁকি দিতে সাঁতারে নদীতে পার হচ্ছিলেন। কারণ যেখান থেকে সাঁতার দেয়া হয় সে স্থান থেকে দুশ গজ পূর্বে দীর্ঘ ব্রীজ আর পশ্চিমে খেয়া পারাপার রয়েছে।

ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান টিপু সুলতান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি অকল্পনীয়। নদী তীরের প্রায় সকলে ভালো সাঁতার জানে।

কারণে অকারণে তারা সাঁতরিয়ে নদী পার হয়। নিখোঁজ যুবকও ভালো সাঁতার জানা। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে নদীতে তার তলিয়ে যাওয়া সবাইকে হতবাক করেছে।

ট্যাগস

বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

কক্সবাজারে সাঁতরে নদী পার হতে গিয়ে ডুবে মারা গেছে‘চোর’

আপডেট সময় ০৫:০৪:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২০

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ সাঁতার কেটে নদী পার হতে গিয়ে বাঁকখালী নদীতে তলিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। কক্সবাজার সদর ও রামু উপজেলার সীমান্তবর্তী চাকমারকুল ও ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়া উমখালী-নয়াপাড়ার পুরনো ঘাট এলাকায় বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে ওই যুবক নিখোঁজ হন।

পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ছলিম উল্লাহ (৩৬) খরুলিয়া নয়াপাড়া গ্রামের মৃত ছৈয়দ আহাম্মদের ছেলে।

নদীতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে সকাল থেকে নিখোঁজকে উদ্ধারে রামু উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের সাত সদস্যের ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা চালায়।

পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মরদেহ মেলে বলে জানিয়েছেন উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিদারুল হক। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে ছলিম উমখালীর ওপার থেকে নিজ গ্রামে ফিরতে বাঁকখালী নদীতে সাঁতার দেন।

কিন্তু নদীর মাঝ বরাবর আসার পর ধীরে ধীরে তলিয়ে যেতে থাকেন। এ সময় তাকে বাঁচাতে চিৎকার দেন। লোকজন বের হয়ে পরিস্থিতি বোঝার আগেই নদীতে তলিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।

পরে খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রামু উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে আসে এবং উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে তার মরদেহের হদিস পান ডুবুরিরা।

স্থানীয়রা জানান, ছলিম পেশাদার চোর। এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়ির মোটর, মূল্যবান পণ্য চুরি তার নিত্য কাজ ছিল। অসংখ্যবার বিচার সালিশ হলেও তার স্বভাব পাল্টানো যায়নি।

তাকে নিয়ে সবাই অতিষ্ঠ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে নদীর ওপারে উমখালীতে রাতে চুরি করতে গিয়েছিলেন তিনি। কোথাও সুযোগ করতে না পেরে ভোরে এপারে ফিরছিলেন-

এবং লোকজনের চোখ ফাঁকি দিতে সাঁতারে নদীতে পার হচ্ছিলেন। কারণ যেখান থেকে সাঁতার দেয়া হয় সে স্থান থেকে দুশ গজ পূর্বে দীর্ঘ ব্রীজ আর পশ্চিমে খেয়া পারাপার রয়েছে।

ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান টিপু সুলতান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি অকল্পনীয়। নদী তীরের প্রায় সকলে ভালো সাঁতার জানে।

কারণে অকারণে তারা সাঁতরিয়ে নদী পার হয়। নিখোঁজ যুবকও ভালো সাঁতার জানা। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে নদীতে তার তলিয়ে যাওয়া সবাইকে হতবাক করেছে।