ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ জয় Logo নওগাঁয় চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে মানব বন্ধন Logo নওগাঁয় মোবাইল কোর্টে ব্যবসায়ী ও ট্রাক চালকের জরিমানা Logo সেবা প্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য নিজ উদ্যোগে ব্রেঞ্চ দিলেন বেলাল Logo বাংলাদেশ ব্যাটিং ব্যর্থতায় এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হার Logo মানুষ আমার প্রেমে পড়ে, আমি পড়ি না: পরীমণি Logo বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ব্যবসা বন্ধ করলে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত Logo অন্তর্বর্তী সরকার আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে না: জিএম কাদের Logo দ্বিতীয়বার রাজপথে নামতে প্রস্তুত আছি,,প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত: সারজিস আলম Logo এমএলএসের মৌসুম সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি

মিয়ানমারের পার্লামেন্ট নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা

মিয়ানমারের জনগণের হাতে অং সান সু চির পোস্টার

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  মিয়ানমারের পরবর্তী পার্লামেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে দেশটির ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশন (ইউইসি)।

ইউইসি চেয়ারম্যানের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ নভেম্বরে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তার এ বিবৃতি প্রচার করা  হয়েছে। বুধবার (১ জুলাই) প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

নির্বাচনটিকে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হিসাবে দেখা হচ্ছে। কেননা অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশটিতে এটিই প্রথম কোনো পার্লামেন্ট নির্বাচন।

এবারের নির্বাচনেও সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’ (এনএলডি) ভালো করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তবে গতবারের চেয়ে এবার তাদের আসন সংখ্যা কিছুটা কমতে পারে। কেননা সাধারণভাবে সু চির দল জনপ্রিয় হলেও সংখ্যালঘুদের আর আস্থা ধরে রাখতে পারছে না।

২০১৭ সালে মিয়ানমারে  রোহিঙ্গা গণহত্যার পর দেশটিতে এটিই প্রথম নির্বাচন। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে গাম্বিয়ার করা মামলায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে দেশটিকে।

এর আগে মিয়ানমারে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালে। ওই নির্বাচনে ক্ষমতায় আসেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি।

তবে ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার ব্যাপক সমালোচনা হয়। এ ঘটনায় তাকে দেওয়া সম্মানজনক ডিগ্রি কেড়ে নেয় বহু খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়।

কানাডায় তার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিল করে দেশটির পার্লামেন্ট। মিয়ানমারে ক্ষমতায় যিনিই থাকুন না কেন, তাকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বোঝাপড়া করেই সরকার চালাতে হয়।

কেননা দেশটির সংবিধানে সেনাবাহিনীকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসন ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোও তাদের নিয়ন্ত্রণে।

সূত্র : রয়টার্স

 

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ জয়

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

মিয়ানমারের পার্লামেন্ট নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা

আপডেট সময় ০৭:০১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  মিয়ানমারের পরবর্তী পার্লামেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে দেশটির ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশন (ইউইসি)।

ইউইসি চেয়ারম্যানের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ নভেম্বরে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তার এ বিবৃতি প্রচার করা  হয়েছে। বুধবার (১ জুলাই) প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

নির্বাচনটিকে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হিসাবে দেখা হচ্ছে। কেননা অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশটিতে এটিই প্রথম কোনো পার্লামেন্ট নির্বাচন।

এবারের নির্বাচনেও সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’ (এনএলডি) ভালো করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তবে গতবারের চেয়ে এবার তাদের আসন সংখ্যা কিছুটা কমতে পারে। কেননা সাধারণভাবে সু চির দল জনপ্রিয় হলেও সংখ্যালঘুদের আর আস্থা ধরে রাখতে পারছে না।

২০১৭ সালে মিয়ানমারে  রোহিঙ্গা গণহত্যার পর দেশটিতে এটিই প্রথম নির্বাচন। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে গাম্বিয়ার করা মামলায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে দেশটিকে।

এর আগে মিয়ানমারে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালে। ওই নির্বাচনে ক্ষমতায় আসেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি।

তবে ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার ব্যাপক সমালোচনা হয়। এ ঘটনায় তাকে দেওয়া সম্মানজনক ডিগ্রি কেড়ে নেয় বহু খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়।

কানাডায় তার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিল করে দেশটির পার্লামেন্ট। মিয়ানমারে ক্ষমতায় যিনিই থাকুন না কেন, তাকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বোঝাপড়া করেই সরকার চালাতে হয়।

কেননা দেশটির সংবিধানে সেনাবাহিনীকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসন ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোও তাদের নিয়ন্ত্রণে।

সূত্র : রয়টার্স