ঢাকা ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নবাবগঞ্জে মায়ের হাতে মেয়ে খুন, মা আটক

প্রতীকী ছবি

দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ   দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মায়ের হাতে ফাতেমা বেগম (১৪) নামে এক কিশোরী খুন হয়েছে। ঘটনার পর মা রহিমা বেগমকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদনগর ইউনিয়নের বিনোদনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সোমবার (১৫ জুন) ভোরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার চৌহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কয়েকদিন আগে নবাবগঞ্জ উপজেলার পাঠানগঞ্জে মায়ের সঙ্গে নানাবাড়ি বেড়াতে যায় ফাতেমা। সেখানে এক ছেলে ফাতেমাকে একটি মোবাইল উপহার দেয়।

বিষয়টি সে মাকে না জানিয়ে গোপন রাখে। রোববার বিকেলে বাড়ির আম গাছে আম পাড়তে উঠলে মা মোবাইল ফোনটি দেখে ফেলেন।

পরে তিনি মোবাইলটি ঘরের শো-কেসে রেখে পাশের গ্রামে বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়ি যান। এ সুযোগে ফাতেমা শো-কেসের ড্রয়ার ভেঙে মোবাইল বের করে নেয়।

পরে মা বাড়িতে এসে বিষয়টি দেখে লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করেন ফাতেমাকে। একপর্যায়ে মেয়ের গায়ের ওড়না দিয়ে গলা বেঁধে চাপ দেন। এতে শ্বাসরোধ হয়ে ঘটনাস্থলেই ফাতেমা মারা যায়।

বিষয়টি এলাকাবাসী দেখে রহিমা বেগমকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।

সোমবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মাকে আটক করে এবং ফাতেমার মরদেহ উদ্ধার করে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় মেয়ের চাচা আলম মিয়া বাদী হয়ে রহিমা বেগমের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

ট্যাগস

নবাবগঞ্জে মায়ের হাতে মেয়ে খুন, মা আটক

আপডেট সময় ০১:১৩:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুন ২০২০

দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ   দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মায়ের হাতে ফাতেমা বেগম (১৪) নামে এক কিশোরী খুন হয়েছে। ঘটনার পর মা রহিমা বেগমকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদনগর ইউনিয়নের বিনোদনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সোমবার (১৫ জুন) ভোরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার চৌহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কয়েকদিন আগে নবাবগঞ্জ উপজেলার পাঠানগঞ্জে মায়ের সঙ্গে নানাবাড়ি বেড়াতে যায় ফাতেমা। সেখানে এক ছেলে ফাতেমাকে একটি মোবাইল উপহার দেয়।

বিষয়টি সে মাকে না জানিয়ে গোপন রাখে। রোববার বিকেলে বাড়ির আম গাছে আম পাড়তে উঠলে মা মোবাইল ফোনটি দেখে ফেলেন।

পরে তিনি মোবাইলটি ঘরের শো-কেসে রেখে পাশের গ্রামে বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়ি যান। এ সুযোগে ফাতেমা শো-কেসের ড্রয়ার ভেঙে মোবাইল বের করে নেয়।

পরে মা বাড়িতে এসে বিষয়টি দেখে লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করেন ফাতেমাকে। একপর্যায়ে মেয়ের গায়ের ওড়না দিয়ে গলা বেঁধে চাপ দেন। এতে শ্বাসরোধ হয়ে ঘটনাস্থলেই ফাতেমা মারা যায়।

বিষয়টি এলাকাবাসী দেখে রহিমা বেগমকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।

সোমবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মাকে আটক করে এবং ফাতেমার মরদেহ উদ্ধার করে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় মেয়ের চাচা আলম মিয়া বাদী হয়ে রহিমা বেগমের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।