আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মহামারি হয়ে গর্জে ওঠা প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের ‘নতুন কেন্দ্র’ হয়ে উঠেছে লাতিন আমেরিকা।
দেশগুলোতে প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা। ইতোমধ্যেই সেখানে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, লাতিন আমেরিকায় করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত অন্তত ৫০ হাজার ১০৫ জন মারা গেছেন।
আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৭৬ হাজার ৪২৫ জন। এর মধ্যে আক্রান্ত-মৃতের অর্ধেকের বেশি ঘটনাই ঘটেছে ব্রাজিলে। এছাড়া চিলি, মেক্সিকো, পেরুর মতো দেশগুলোতেও দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, লাতিন আমেরিকায় সর্বোচ্চ তো বটেই, বিশ্বের মধ্যেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত দেশ ব্রাজিল।
সেখানে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪০ জনের শরীরে ধরা পড়েছে করোনাভাইরাস। মারা গেছেন ২৮ হাজার ৮৩৪ জন।
মেক্সিকোয় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ হাজার ৫১২ জন, মারা গেছেন ৯ হাজার ৭৭৯ জন। পেরুতে আক্রান্ত ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৭১ জন, মৃত্যু ৪ হাজার ৩৭১ জনের। এছাড়া, চিলিতে আক্রান্ত ৯৪ হাজার ৮৫৮ জন। মারা গেছেন ৯৯৭ জন।
সম্প্রতি প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের (পিএএইচও) পরিচালক ডা. ক্যারিসা এটিন্নে জানিয়েছেন, প্রতিদিন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের সংখ্যায় ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে লাতিন আমেরিকা।
নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের নতুন কেন্দ্র এখন তারা। সংস্থাটি লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ ব্রাজিলকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। গত সপ্তাহে দেশটিতে সংক্রমেণের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।
প্রথম দিকে তালিকার অনেক নিচে থাকলেও এখন রোগী শনাক্তের সংখ্যায় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের পরেই তাদের অবস্থান।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই) এক বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে ব্রাজিলে মৃতের সংখ্যা ছাড়াতে পারে এক লাখ ২৫ হাজারের বেশি। যা সর্বোচ্চ ২ লাখ ২১ হাজার ছাড়াতে পারে।
এ দিকে, পেরু ও চিলিতে সর্বোচ্চ সংখ্যায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হচ্ছে প্রতিদিন।
এখনই এসব দেশ থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জারি করা বিভিন্ন বিধিনিষেধ ও সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ শিথিল করার সময় আসেনি বলে সতর্ক করেছেন পিএএইচও পরিচালক। তথ্যসূত্র: রয়টার্স, ডেইলি মেইল