বিনোদন ডেস্কঃ যারা আয়নাবাজি সিনেমা দেখেছেন তারা ‘আয়না’, ‘হৃদি’ ও সাংবাদিক সাবেরকে ভালো করেই চেনেন। সিনেমাটিকে আয়না চরিত্রে অভিনয় করে বাজিমাত করেছিলেন চঞ্চল চৌধুরী।
এখনো মানুষের মুখে মুখে ঘোরে ‘বোঝনাই ব্যাপারটা’ ডায়ালগটি। করোনাভাইরাসের কারণে সংকটের এই দিনে আবারও নতুন রূপে সামনে আসবে চরিত্রগুলো।
আয়নাবাজি নিয়ে তিন পর্বের একটি সিরিজি নির্মাণ করেছেন অমিতাভ রেজা। এরই মধ্যে শুটিংও শেষ হয়েছে। ঘরে বসেই তারকার শুটিং করেছেন।
এবার আয়নাকে ক্যামেরায় বন্দি করেছেন চঞ্চল চৌধুরীর ১২ বছরের ছেলে শৈশব রোদ্দুর শুদ্ধ। সে পড়াশোনা করছে একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে।
এই সিরিজ নিয়ে চঞ্চলচৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আয়নাবাজির তিনটা চরিত্র নিয়ে অমিতাভ রেজা ছোট ছোট তিনটা পর্ব বানিয়েছে, করোনা থেকে মানুষকে সচেতন করার জন্য।
এরই মধ্যে তিন পর্বেরই শুটিং হয়ে গেছে। এখন চলছে এডিটিংয়ের কাজ। কয়েকদিনের ভিতরে টিজার প্রকাশ করা হবে। এরপরই অনলাইনে ফেসবুক পেইজ ও ইউটিউবে এগুলো মুক্তি দেওয়া হবে।’
চঞ্চল চৌধুরী আরও বলেন, ‘অমিতাভ রেজা আমাদের কাছে স্ক্রিপ্ট পাঠিয়েছেন। আমরা যার যার বাসায় শুটিং করে পাঠিয়েছি। যেমন, আমার ক্যামেরা চালিয়েছে আমার ছেলে শুদ্ধ।
ওর মা ওকে হেল্প করেছে। আমি অভিনয় করেছি। এরকম প্রত্যেকের বাসায় কারো কারো স্বামী-কারো স্ত্রী বা পরিবারের অন্য কেউ সহযোগিতা করেছে শুটিং করতে। আমরা শুটিং করে ফুটেজটা পাঠিয়েছি অমিতাভ রেজার কাছে। বাকিটা সে সাজিয়েছে।’
আয়নাবাজি সিরিজের চরিত্রগুলো প্রসঙ্গে চঞ্চল বলেন, ‘প্রতিটা পর্ব হয়তো ৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের হবে। এখানে হাজির হবে আয়নাবাজি সিনেমার চরিত্র ‘আয়না’।
যে চরিত্রটিতে আমি অভিনয় করেছি। ‘হৃদি’ চরিত্রটিতে নাবিলা অভিনয় করেছেন ও ক্রাইম রিপোর্টার সাবের চরিত্রে পার্থ বড়ুয়া অভিনয় করেছেন। আয়নাবাজি সিনেমার জনপ্রিয় এই তিনটি চরিত্র মূলত করোনা থেকে মানুষদের সচেতন করবে এই পর্বগুলোতে।’
চঞ্চল চৌধুরী জানালেন, আয়নাবাজি টিমের পক্ষ থেকে করোনাকালীন সময়ে এটা একটা উদ্যোগ। ব্যাকের ব্যানারে এটা প্রচার হবে। পরবর্তীতে এটা থেকে যা আয় হবে, সেটা করোনা আক্রান্ত রোগী কিংবা যারা অসহায় দিনযাপন করছেন তাদের সহযোগিতা জন্য ব্যয় করা হবে।