ঢাকা ১১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ জয় Logo নওগাঁয় চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে মানব বন্ধন Logo নওগাঁয় মোবাইল কোর্টে ব্যবসায়ী ও ট্রাক চালকের জরিমানা Logo সেবা প্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য নিজ উদ্যোগে ব্রেঞ্চ দিলেন বেলাল Logo বাংলাদেশ ব্যাটিং ব্যর্থতায় এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হার Logo মানুষ আমার প্রেমে পড়ে, আমি পড়ি না: পরীমণি Logo বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ব্যবসা বন্ধ করলে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত Logo অন্তর্বর্তী সরকার আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে না: জিএম কাদের Logo দ্বিতীয়বার রাজপথে নামতে প্রস্তুত আছি,,প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত: সারজিস আলম Logo এমএলএসের মৌসুম সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি

নওগাঁয় চালের দর বস্তা প্রতি আড়াইশো টাকা কমেছে

কমেছে চালের দাম

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁঃ  উত্তরাঞ্চলের মধ্যে খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলা নওগাঁ। এখানে রয়েছে ধান চালের সবচেয়ে বড় মোকাম। জেলার চালকলগুলোতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জনবল সংকটে চাল উৎপাদন অনেকাংশে কমে গেছে।

অন্যদিকে পরিবহন জটিলতা ও হঠাৎ করে মোকামে চাহিদা কমে যাওয়ায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চাল সরবরাহ আগের তুলনায় ৩০ ভাগ কমে গেছে। এতে করে কেজিতে চালের দাম কমেছে ৪ থেকে ৫ টাকা।

নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপ এবং ধান চাল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রতি বছর ১৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন হয়। জেলার প্রায় চার লাখ মেট্রিক টন খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা রাজধানীসহ সারাদেশে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। করোনার পূর্বে দেশের বিভিন্ন জেলায় সাধারণত প্রতিদিন ৭০/৮০ ট্রাক চাল সরবরাহ করা হতো। বিগত ১৫-২০ দিন আগে বেশ কয়েকদিন মোটা চালের ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতিদিন প্রায় ১৫০ ট্রাক চাল সরবরাহ করা হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবত মোকামে চালের চাহিদা কমে যাওয়ায় প্রতিদিন ২৫-৩০ ট্রাক চাল সরবরাহ করা হচ্ছে।

বর্তমান বাজারে ব্রি-২৮ চালের দাম ৫০ কেজির বস্তা ১ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। স্বর্ণা-৫ চালের দাম ১ হাজার ৮৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা। যা পূর্বে ছিল ২ হাজার ৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ১৫০ টাকা। মিনিকেট নতুন চালের দাম ২ হাজার ১৫০ টাকা। যা পূর্বে ছিল পুরাতন চাল ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা। নাজিরশাইল চালের দাম ২ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা।

 

 

নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৯৬০টি চালকল চলমান আছে। এর মধ্যে হাসকিং ৯০৫টি ও অটোমেটিক ৫৫টি। যেখানে নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সব শ্রমিক কাজে না আসায় চালকলগুলো চালু করতে পারছেন না মিলাররা। এছাড়া লকডাউনের কারণে ধান চাল পরিবহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

তবে জেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্নভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে আসা শ্রমিকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

 

 

নওগাঁ ধান চাল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরদ বরণ সাহা চন্দন বলেন, চলমান লকডাউন এবং করোনা আতঙ্কে শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক চালকল এখনও চালু হয়নি। এরপরও যে পরিমাণ চাল উৎপাদন হচ্ছে মোকামে পর্যাপ্ত চাহিদা না থাকায় দিন দিন দাম কমতে শুরু করেছে।

এছাড়া সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল হলে ধান চালের বাজার আবারও স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ জয়

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

নওগাঁয় চালের দর বস্তা প্রতি আড়াইশো টাকা কমেছে

আপডেট সময় ১১:০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মে ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁঃ  উত্তরাঞ্চলের মধ্যে খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলা নওগাঁ। এখানে রয়েছে ধান চালের সবচেয়ে বড় মোকাম। জেলার চালকলগুলোতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জনবল সংকটে চাল উৎপাদন অনেকাংশে কমে গেছে।

অন্যদিকে পরিবহন জটিলতা ও হঠাৎ করে মোকামে চাহিদা কমে যাওয়ায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চাল সরবরাহ আগের তুলনায় ৩০ ভাগ কমে গেছে। এতে করে কেজিতে চালের দাম কমেছে ৪ থেকে ৫ টাকা।

নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপ এবং ধান চাল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রতি বছর ১৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন হয়। জেলার প্রায় চার লাখ মেট্রিক টন খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা রাজধানীসহ সারাদেশে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। করোনার পূর্বে দেশের বিভিন্ন জেলায় সাধারণত প্রতিদিন ৭০/৮০ ট্রাক চাল সরবরাহ করা হতো। বিগত ১৫-২০ দিন আগে বেশ কয়েকদিন মোটা চালের ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতিদিন প্রায় ১৫০ ট্রাক চাল সরবরাহ করা হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবত মোকামে চালের চাহিদা কমে যাওয়ায় প্রতিদিন ২৫-৩০ ট্রাক চাল সরবরাহ করা হচ্ছে।

বর্তমান বাজারে ব্রি-২৮ চালের দাম ৫০ কেজির বস্তা ১ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। স্বর্ণা-৫ চালের দাম ১ হাজার ৮৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা। যা পূর্বে ছিল ২ হাজার ৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ১৫০ টাকা। মিনিকেট নতুন চালের দাম ২ হাজার ১৫০ টাকা। যা পূর্বে ছিল পুরাতন চাল ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা। নাজিরশাইল চালের দাম ২ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা।

 

 

নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৯৬০টি চালকল চলমান আছে। এর মধ্যে হাসকিং ৯০৫টি ও অটোমেটিক ৫৫টি। যেখানে নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সব শ্রমিক কাজে না আসায় চালকলগুলো চালু করতে পারছেন না মিলাররা। এছাড়া লকডাউনের কারণে ধান চাল পরিবহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

তবে জেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্নভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে আসা শ্রমিকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

 

 

নওগাঁ ধান চাল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরদ বরণ সাহা চন্দন বলেন, চলমান লকডাউন এবং করোনা আতঙ্কে শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক চালকল এখনও চালু হয়নি। এরপরও যে পরিমাণ চাল উৎপাদন হচ্ছে মোকামে পর্যাপ্ত চাহিদা না থাকায় দিন দিন দাম কমতে শুরু করেছে।

এছাড়া সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল হলে ধান চালের বাজার আবারও স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।