ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo নওগাঁ ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা Logo নির্বাচন দ্রুত হওয়া প্রয়োজন, নয়তো ষড়যন্ত্র বাড়বে: তারেক রহমান Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা Logo আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার Logo আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বাহারুল আলম

নওগাঁয় চালের দর বস্তা প্রতি আড়াইশো টাকা কমেছে

কমেছে চালের দাম

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁঃ  উত্তরাঞ্চলের মধ্যে খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলা নওগাঁ। এখানে রয়েছে ধান চালের সবচেয়ে বড় মোকাম। জেলার চালকলগুলোতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জনবল সংকটে চাল উৎপাদন অনেকাংশে কমে গেছে।

অন্যদিকে পরিবহন জটিলতা ও হঠাৎ করে মোকামে চাহিদা কমে যাওয়ায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চাল সরবরাহ আগের তুলনায় ৩০ ভাগ কমে গেছে। এতে করে কেজিতে চালের দাম কমেছে ৪ থেকে ৫ টাকা।

নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপ এবং ধান চাল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রতি বছর ১৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন হয়। জেলার প্রায় চার লাখ মেট্রিক টন খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা রাজধানীসহ সারাদেশে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। করোনার পূর্বে দেশের বিভিন্ন জেলায় সাধারণত প্রতিদিন ৭০/৮০ ট্রাক চাল সরবরাহ করা হতো। বিগত ১৫-২০ দিন আগে বেশ কয়েকদিন মোটা চালের ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতিদিন প্রায় ১৫০ ট্রাক চাল সরবরাহ করা হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবত মোকামে চালের চাহিদা কমে যাওয়ায় প্রতিদিন ২৫-৩০ ট্রাক চাল সরবরাহ করা হচ্ছে।

বর্তমান বাজারে ব্রি-২৮ চালের দাম ৫০ কেজির বস্তা ১ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। স্বর্ণা-৫ চালের দাম ১ হাজার ৮৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা। যা পূর্বে ছিল ২ হাজার ৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ১৫০ টাকা। মিনিকেট নতুন চালের দাম ২ হাজার ১৫০ টাকা। যা পূর্বে ছিল পুরাতন চাল ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা। নাজিরশাইল চালের দাম ২ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা।

 

 

নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৯৬০টি চালকল চলমান আছে। এর মধ্যে হাসকিং ৯০৫টি ও অটোমেটিক ৫৫টি। যেখানে নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সব শ্রমিক কাজে না আসায় চালকলগুলো চালু করতে পারছেন না মিলাররা। এছাড়া লকডাউনের কারণে ধান চাল পরিবহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

তবে জেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্নভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে আসা শ্রমিকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

 

 

নওগাঁ ধান চাল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরদ বরণ সাহা চন্দন বলেন, চলমান লকডাউন এবং করোনা আতঙ্কে শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক চালকল এখনও চালু হয়নি। এরপরও যে পরিমাণ চাল উৎপাদন হচ্ছে মোকামে পর্যাপ্ত চাহিদা না থাকায় দিন দিন দাম কমতে শুরু করেছে।

এছাড়া সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল হলে ধান চালের বাজার আবারও স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

ট্যাগস

নওগাঁ ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

নওগাঁয় চালের দর বস্তা প্রতি আড়াইশো টাকা কমেছে

আপডেট সময় ১১:০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মে ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁঃ  উত্তরাঞ্চলের মধ্যে খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলা নওগাঁ। এখানে রয়েছে ধান চালের সবচেয়ে বড় মোকাম। জেলার চালকলগুলোতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জনবল সংকটে চাল উৎপাদন অনেকাংশে কমে গেছে।

অন্যদিকে পরিবহন জটিলতা ও হঠাৎ করে মোকামে চাহিদা কমে যাওয়ায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চাল সরবরাহ আগের তুলনায় ৩০ ভাগ কমে গেছে। এতে করে কেজিতে চালের দাম কমেছে ৪ থেকে ৫ টাকা।

নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপ এবং ধান চাল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রতি বছর ১৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন হয়। জেলার প্রায় চার লাখ মেট্রিক টন খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা রাজধানীসহ সারাদেশে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। করোনার পূর্বে দেশের বিভিন্ন জেলায় সাধারণত প্রতিদিন ৭০/৮০ ট্রাক চাল সরবরাহ করা হতো। বিগত ১৫-২০ দিন আগে বেশ কয়েকদিন মোটা চালের ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতিদিন প্রায় ১৫০ ট্রাক চাল সরবরাহ করা হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবত মোকামে চালের চাহিদা কমে যাওয়ায় প্রতিদিন ২৫-৩০ ট্রাক চাল সরবরাহ করা হচ্ছে।

বর্তমান বাজারে ব্রি-২৮ চালের দাম ৫০ কেজির বস্তা ১ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। স্বর্ণা-৫ চালের দাম ১ হাজার ৮৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা। যা পূর্বে ছিল ২ হাজার ৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ১৫০ টাকা। মিনিকেট নতুন চালের দাম ২ হাজার ১৫০ টাকা। যা পূর্বে ছিল পুরাতন চাল ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা। নাজিরশাইল চালের দাম ২ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা।

 

 

নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৯৬০টি চালকল চলমান আছে। এর মধ্যে হাসকিং ৯০৫টি ও অটোমেটিক ৫৫টি। যেখানে নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সব শ্রমিক কাজে না আসায় চালকলগুলো চালু করতে পারছেন না মিলাররা। এছাড়া লকডাউনের কারণে ধান চাল পরিবহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

তবে জেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্নভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে আসা শ্রমিকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

 

 

নওগাঁ ধান চাল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরদ বরণ সাহা চন্দন বলেন, চলমান লকডাউন এবং করোনা আতঙ্কে শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক চালকল এখনও চালু হয়নি। এরপরও যে পরিমাণ চাল উৎপাদন হচ্ছে মোকামে পর্যাপ্ত চাহিদা না থাকায় দিন দিন দাম কমতে শুরু করেছে।

এছাড়া সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল হলে ধান চালের বাজার আবারও স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।