ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনায় মাথাপিছু আয়ে ধাক্কা খাবে ১৭০ দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  ১৯৩০ সালের মহামন্দার পর সবচেয়ে বেশি খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে বিশ্ব, এমন সতর্কতা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। খবর বিবিসির।

আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, ১৭০টি দেশে মাথাপিছু আয়ে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে উদীয়মান বাজার এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো, শত শত বিলিয়ন ডলার বিদেশি সহায়তার প্রয়োজন হবে তখন।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউনে পড়ে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে পুরো বিশ্ব। দেশে দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্তিমিত হয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। বিপুলসংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন।

এমন পরিস্থিতিতে জর্জিয়েভা বলেন, তিন মাস আগেও আশা করেছিলাম ২০২০ সালে আমাদের সদস্যভুক্ত ১৬০টি দেশের মাথাপিছু আয়ে প্রবৃদ্ধি ঘটবে। কিন্তু আজ এই পরিসংখ্যান একেবারে ঘুরে গেছে। প্রকৃতপক্ষে ১৯৩০ সালের মহামন্দার পর সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের আশঙ্কা করছি আমরা।

তিনি আরও জানান, করোনভাইরাসের কারণে চলতি বছর বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ‘তীব্র নেতিবাচক’ হবে। তবে ২০২১ সালের দিকে আংশিক পুনরুদ্ধার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফাম সতর্ক করে, করোনা পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে ৫০ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যের মুখে ঠেলে দেবে। মহামারি শেষে বিশ্বের অর্ধেক লোক দারিদ্র্যের মধ্যে জীবনযাপন করতে পারে।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

করোনায় মাথাপিছু আয়ে ধাক্কা খাবে ১৭০ দেশ

আপডেট সময় ০৫:০১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  ১৯৩০ সালের মহামন্দার পর সবচেয়ে বেশি খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে বিশ্ব, এমন সতর্কতা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। খবর বিবিসির।

আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, ১৭০টি দেশে মাথাপিছু আয়ে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে উদীয়মান বাজার এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো, শত শত বিলিয়ন ডলার বিদেশি সহায়তার প্রয়োজন হবে তখন।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউনে পড়ে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে পুরো বিশ্ব। দেশে দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্তিমিত হয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। বিপুলসংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন।

এমন পরিস্থিতিতে জর্জিয়েভা বলেন, তিন মাস আগেও আশা করেছিলাম ২০২০ সালে আমাদের সদস্যভুক্ত ১৬০টি দেশের মাথাপিছু আয়ে প্রবৃদ্ধি ঘটবে। কিন্তু আজ এই পরিসংখ্যান একেবারে ঘুরে গেছে। প্রকৃতপক্ষে ১৯৩০ সালের মহামন্দার পর সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের আশঙ্কা করছি আমরা।

তিনি আরও জানান, করোনভাইরাসের কারণে চলতি বছর বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ‘তীব্র নেতিবাচক’ হবে। তবে ২০২১ সালের দিকে আংশিক পুনরুদ্ধার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফাম সতর্ক করে, করোনা পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে ৫০ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যের মুখে ঠেলে দেবে। মহামারি শেষে বিশ্বের অর্ধেক লোক দারিদ্র্যের মধ্যে জীবনযাপন করতে পারে।